<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট যানবাহনের জট। যত্রতত্র পার্কিং আর ভোগান্তি। এই চিত্র খুলনা মহানগরীর সড়কের। খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) লাইসেন্স থেকে শহরের কয়েক গুণ ইজি বাইক, রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে বাইরের যানবাহন বাধাহীন নগরীতে প্রবেশ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় ইজি বাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি চলাচলে প্রতিদিনই এ ভোগান্তি বাড়ছে। অদক্ষ চালকের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেসিসি ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নগরীতে প্রায় ৩০ হাজার ইজি বাইক ও ২০ হাজার রিকশা চলাচল করছে। সড়ক ও যাত্রীর তুলনায় এ যানবাহনের সংখ্যা বেশি হওয়া ও শৃঙ্খলা না থাকায় নগরজুড়ে দুর্ভোগে শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা সিটি করপোরেশন যানবাহন শাখার কর্মকর্তা শেখ মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত সাত হাজার ৯৮০টি যাত্রীবাহী ও পণ্য পরিবহনের জন্য দুই হাজার ৯৬টি লাইসেন্স দিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশ্য কেএমপি বলছে, নগরীতে প্রায় ৩০ হাজার ইজি বাইক চলাচল করে। এর সঙ্গে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার রিকশা। যত্রতত্র পার্কিং, যাত্রী ওঠানামা করানো, সড়ক আটকে ভ্যানের ওপর ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা ও ট্রাফিক আইন না মানায় সড়কে যানজট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর ময়লাপোতা মোড়, ডাকবাংলো, ক্লে রোড, হেলাতলা মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, নিরালা মোড়, গল্লামারী মোড়, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড়, শিববাড়ী মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, নিউ মার্কেটসংলগ্ন এলাকা ও দৌলতপুর মোড় এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। অন্যদিকে মহানগরীর প্রবেশপথ গল্লামারী, সোনাডাঙ্গা, আড়ংঘাটা, রূপসা দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে শহরতলি বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার ইজি বাইক, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও রিকশা অবাধে নগরীতে প্রবেশ করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাগমারার বাসিন্দা ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মো. আসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগে একবেলা কাজ করলে ভাড়া উঠে যেত। এখন মালিকের টাকা তুলতেই কষ্ট হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেএমপির ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আবু তারেক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যানজটের কারণগুলো চিহ্নিত করেছি। এরই মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য সচেতনতার কাজ করা হয়েছে। আমরা যত্রযত্র পার্কিং, যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল, লাইসেন্সবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা নগরীকে যানজট ও ভোগান্তিমুক্ত করতে চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>