<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী জেলা জয়পুরহাট। মধ্য কার্তিক থেকেই আলুবীজ রোপণের জন্য কৃষকরা তাদের জমিতে হাল চাষ করেন। এরপর প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে বীজ আলু রোপণ করেন। তবে এবার বীজ আলু কিনতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা উচ্চ ফলনশীল আলুবীজে সরকার কিংবা কম্পানি নির্ধারিত দামের চেয়ে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া কিছু অসৎ ব্যবসায়ী প্রয়োজনীয় সার বিক্রিতেও নিচ্ছেন বেশি দাম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলায় এবার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বীজ প্রয়োজন ১৫ হাজার মেট্রিক টন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষকরা জানান, আলুবীজের দাম অত্যন্ত বেশি। পাশাপাশি সারও কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। এভাবে চললে আলু চাষ বাদ দিতে হবে। কিন্তু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় ডিলারদের দাবি, কম্পানি ও সরকার নির্ধারিত মূল্যেই আলুবীজ ও সার বিক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে বেশি দামে আলুবীজ বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৫০টির অধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের এরই মধ্যে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত আছে। গত ১৫ দিনে ৫০টির মতো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একাধিক ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও তাদের ডিলারশিপ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম আগামীতেও চলমান থাকবে।</span></span></span></span></p>