<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের ১৩টি জেলার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া জৌকুড়া ও পাবনার নাজিরগঞ্জ নৌরুট। এ নৌরুটে ফেরি সংকট ও সার্ভিস অনিয়মের কারণে স্পিডবোট ও ট্রলারে কয়েক গুণ ভাড়ায় নদী পারাপার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে টিকিট মূল্যের  চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এতে বেড়েছে যাত্রী দুর্ভোগ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, রাজবাড়ী ও পাবনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম ও জনগুরুত্বপূর্ণ রাজবাড়ী ধাওয়াপাড়া জৌকুড়া ও পাবনা নাজিরগঞ্জ নৌরুট এটি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ নৌপথে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার দুই শ সাধারণ যাত্রী পার হয়ে থাকে। ফেরি, স্পিডবোট ও ট্রলারে পারাপার হয় এসব যাত্রী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাধারণ যাত্রীসহ ফেরি পারাপার হয় যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহন। অথচ এ নৌরুটে করবী ও ক্যামেলিয়া নামে দুটি ফেরি চলাচল করার<br /> কথা থাকলেও মাত্র ক্যামেলিয়া নামে একটি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চারটি নির্ধারিত সময়ে সকাল ৯টা, দুপুর ১২টা, বিকেল সাড়ে ৫টা ও রাত ১০টা এই চার সময়ে ফেরি চলাচল করার কথা থাকলেও সঠিক ও নির্ধারিত সময়ে ফেরি চলাচল করা হচ্ছে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফেরিতে সাধারণ যাত্রীদের জন্য ৩০ টাকার টিকিট নিয়ে পার হতে পারলেও ফেরি সংকট ও সঠিক সময়ে ফেরি সার্ভিস না পাওয়ায় স্পিডবোটে ১৫০ টাকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে ৭০ টাকা দিয়ে পার হতে হচ্ছে। স্পিডবোটের টিকিটের গায়ে ১২০ টাকা লেখা থাকলেও সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে আরো ৩০ টাকা ও ট্রলারে ৫০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা বাড়িয়ে ৭০ টাকা ভাড়া আদায় করছে বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধাওয়াপাড়া ফেরির টিকিট ইজারাদার নয়ন সরদার বলেন, ফেরি কম ও সঠিক সময়ে ফেরি চলাচল না করার কারণে ফেরি ভাড়া কম হলেও তা যাত্রী পারাপার করতে পারছে না। এতে ফেরির যাত্রীরা বাধ্য হয়ে স্পিডবোট ও ট্রলারে কয়েক গুণ বেশি ভাড়ায় পাবনার নাজিরগঞ্জে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে ফেরি সার্ভিস করা হলে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে কম সময়ে অল্প টাকায় পার হতে পারবে।</span></span></span></span></p>