<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি-দুটি নয়, ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ছয় রাউন্ড গুলি ছুড়ে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে গিয়ে ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আলোচিত সাহিদা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৌহিদ শেখ তন্ময় (২৪)। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ আগস্টে ঢাকার ওয়ারী থানা থেকে লুট করা অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজ হাতে গুলি করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার মোহম্মদ শামসুল আলম সরকার। তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাজধানীর ওয়ারী থানা থেকে গুলি ও পুলিশের ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল লুট করেন তৌহিদ। পরে ইউটিউব দেখে সেটি চালানো আয়ত্ত করেন। গত শনিবার ভোরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের দোগাছিতে ওই অস্ত্র দিয়ে ছয় রাউন্ড গুলি ছুড়ে খুন করেন প্রেমিকা সাহিদা ইসলাম রাফাকে। পরে মহাসড়ক থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি কেরানীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচ থেকে গত সোমবার দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত প্রেমিকার ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয় মহাসড়কের ছনবাড়ী এলাকা থেকে।</span></span></span></span></p>