<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ধুঁকছে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে। অবকামোগত উন্নয়ন হলেও হয়নি মানবসম্পদের উন্নয়ন। শুধু উত্তরের তিন জেলার (কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা) প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকের এক হাজার ৫০টি পদ শূন্য। আর ওই সব জেলায় সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য এক হাজার ৩৬০টি। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভেঙে পড়ছে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাও। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বলছে, কুড়িগ্রাম জেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এক হাজার ২৩৮টি। এর মধ্যে ৭৩৪টি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক রয়েছে। প্রধান শিক্ষকহীন বিদ্যালয় রয়েছে ৫০৪টি। তবে প্রধান শিক্ষকহীন এসব বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক রয়েছে ১৮৪ জন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। জেলার বিদ্যালয়গুলোতে সর্বমোট সহকারী শিক্ষক রয়েছে ছয় হাজার ৮৫৭ জন। তবে এর মধ্যে শূন্যপদ রয়েছে ৪৪২টি আর কর্মরত সহকারী শিক্ষক রয়েছে ছয় হাজার ৪১৫ জন।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সদ্যোবিদায়ি কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমরেশ মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষকদের তথ্য-উপাত্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। এখন নিয়োগ হলেই শূন্যপদ পূরণ হবে বলে আশা করি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এক হাজার ৪৬৫টি। এর মধ্যে জেলার ১৬৫টি চরাঞ্চলে বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৫। বিদ্যালয় অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের সংখ্যা এক হাজার ১৮৬ জন হওয়ার কথা থাকলেও শূন্য ২৭৯টি পদ। অন্যদিকে সাত হাজার ১৭৩ জন সহকারী শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও শূন্য রয়েছে ৫২৮টি পদ। সহকারী শিক্ষকদের দিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাজ চালানোর ফলে প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই অবস্থা নীলফামারী জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। এ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এক হাজার ৮৪টি। এর মধ্যে ২৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি। পাশাপাশি ছয় হাজার ৩৮৫ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে ৩৯০ পদ শূন্য। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাইবান্ধা জেলা সদরের স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদ ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের পর থেকে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ হচ্ছে না। পাশাপাশি অবসর, স্বেচ্ছায় অবসরেও যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা। বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে সরাসরি প্রধান শিক্ষক দেওয়া হলেও তা সংখ্যায় নগণ্য। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দীন সরকার বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা কিন্ডারগার্টেন, মাদরাসাসহ অন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা চান অভিভাবকরা। অন্যদিকে শিক্ষকসংকটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে প্রথম ধাপের শূন্যপদের তালিকা মাঠ পর্যায় থেকে না নিয়ে এক বছর আগের তালিকা ধরে নিয়োগ দেওয়ায় পুরো রংপুর বিভাগে শিক্ষকসংকটের ঘটনা ঘটেছে। তিনি মাত্র তিন-চার দিন হলো গাইবান্ধায় যোগ দিয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ের মনিটরিংয়ের বিষয়টি নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন। অন্যান্য সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>