<p>বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস মানুষের কাছে সরকারি বাস হিসেবেই পরিচিত। কখনো দেশের পরিবহনব্যবস্থায় অরাজকতার আশঙ্কা দেখা দিলে সরকার লাল-সবুজের এই বাস দিয়েই যাত্রীসেবা দিয়ে থাকে এমন নজির রয়েছে অনেক, যদিও বিগত দেড় দশকের চিত্র ছিল অনেকটা ভিন্ন। কেননা তখন পরিকল্পিতভাবে খুলনাসহ দেশের প্রায় সব এলাকায়ই শ্রমিক সংগঠনগুলো দখল হয়ে যায়। রাতারাতি শ্রমিক দলের নেতারা হয়ে যান শ্রমিক লীগ নেতা।</p> <p>অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও খুলনা-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের দেওয়া ২০২২ সালের একটি ডিও লেটারে মো. সোলায়মান নামের এক ব্যক্তিকে খুলনা সোলায়মাননগরের মিনারা মসজিদ রোডের বাসিন্দা দেখানো হয়। কিন্তু কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী এলাকার বাসিন্দা। অথচ ওই ডিও লেটারের আলোকেই সোলায়মানকে দেওয়া হয় লং লিজের (বিআরটিসির ভাষায় ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেওয়াকে লং লিজ বলা হয়) দুই রুটের চারটি বাস, যার একটি চলে খুলনা-পাথরঘাটা এবং তিনটি খুলনা-মুন্সীগঞ্জ রুটে। এর আগেও ওই ব্যক্তি ২০১২ সাল থেকে ওই রুটে বিআরটিসির বাস লিজ নিয়ে পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগ পরিচয়ে। ২০২২ সালে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে গিয়ে তিনি নেন এমন মিথ্যার আশ্রয়। জনশ্রুতি রয়েছে, খুলনা-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের ব্যক্তিগত সহকারী ড. সাইদুর রহমানকে ম্যানেজ করে ওই রুটে পুনরায় লিজ পান সোলায়মান। এরপর গত ৫ আগস্ট পরিবর্তন হয় সরকারের। কিন্তু সরকারি পরিবহন লিজ নিয়ে ব্যবসা করা সোলায়মানের পরিবর্তন হয়নি।</p> <p>বিআরটিসির খুলনা ডিপো ম্যানেজার ওমর ফারুক মেহেদী বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করার নেই। তবে খুলনার পশ্চিম রূপসাসহ যেসব কাউন্টার বিগত দিনে চুক্তিবিহীন পরিচালিত হতো, এখন সেগুলো চুক্তির আওতায় নতুন লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে।</p> <p>এদিকে সরকারি গাড়ি ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হওয়ায় যেকোনো সময় নাশকতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খুলনার নাগরিক সমাজের নেতারা।</p> <p> </p>