<p>বাল্যবিবাহকে ‘না’ বলে পড়ালেখার পাশাপাশি কাপড়ের ব্যবসা ও ছাগল পালন করে সফল হয়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মীম জান্নাতুল ও মৌসুমী নামের দুই কিশোরী। বর্তমানে তারা নিজেদের পড়ালেখার খরচ বহন করার পাশাপাশি পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারছে। মীম ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং মৌসুমী চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। মৌসুমী বিচারক এবং মীম আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখে।</p> <p>জানা যায়, দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই মৌসুমী ও মীমের বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। কিন্তু তারা মা-বাবাকে বুঝিয়ে বিয়ের বিষয়টি বাদ দিয়ে স্বপ্নজয়ের পথে এগোতে থাকে। মিজানুর রহমান রিন্টু ও মনোয়ারা খাতুন দম্পতির মেয়ে মীম। তার বাবা নতুন হাট বাজারে একটি চায়ের দোকান চালান। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে পড়ালেখার খরচ চালাতে না পেরে মীমের বিয়ের চাপ বাড়তে থাকে। বিয়ের জন্য চাপ দিলে মীম প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার হুমকি দেয় তার বাবাকে। পরে সে মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি থেকে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষণ শেষে পাওয়া ১৭ হাজার টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে শুরু করে কাপড়ের ব্যবসা। পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে যাচ্ছে। এই আয় দিয়ে পড়ালেখার খরচ ও পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেও সঞ্চয় করেছে।</p> <p>অন্যদিকে আব্দুস সামাদ ও ফজিলা খাতুন দম্পতির মেয়ে মৌসুমী। হতদরিদ্র পরিবারে ছয় সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কৃষক আব্দুস সামাদ। এ অবস্থায় পরিবার তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মৌসুমী পরিবারের সিদ্ধান্তকে ‘না’ বলে দেয়। পরে সে মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি থেকে ছাগল পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। সমিতির ১৭ হাজার টাকায় দুটি ছাগল ও হাঁস-মুরগি কিনে সে স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রা শুরু করে।</p> <p> </p>