<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানিসম্পদ, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্প্রতি হাওর পরিদর্শনে এসে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ফসল রক্ষা বাঁধের প্রকল্প গ্রহণ না করার স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জেলায় হাওরের ফসল রক্ষা নির্মাণসংক্রান্ত কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াও বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নিয়োজিত উপজেলা কমিটিকেও অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এসব নির্দেশনার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তা মানছেন না। বেড়েই চলছে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের তালিকা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৬০০ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে বললেও গতকাল পর্যন্ত অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭৫টি। এই সংখ্যা সাত শর ঘরে পৌঁছে যাবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এবার হাওরের অস্থায়ী ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সরকারের কাছে ১২৫ টাকা প্রাথমিক বরাদ্দ চেয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর হাওরের বরাদ্দে নেতাকর্মীদের বাড়ির সড়ক, স্থায়ী সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয়, অতিরিক্ত প্রকল্পও গ্রহণ করা হয় বলে হাওরবাসীর অভিযোগ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলায় কর্মরত এসও (সাবস্টেশন অফিসার) বাইরের জেলা থেকে মৌসুমি বাঁধের প্রাক্কলন করতে আসা সার্ভেয়ারদের দিয়ে অক্ষত, অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পেও সমান বরাদ্দের বাজেট করে নেন। এবারও একই কারণে বাঁধের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সপ্তাহে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছিলেন চলতি মৌসুমে ছয় শর অধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না। গত ২৬ নভেম্বর হাওর পরিদর্শনে আসেন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি ওই দিন সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো অতিরিক্ত প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গত ৫ ডিসেম্বর ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণসংক্রান্ত জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া শাল্লা উপজেলায় গিয়েও হাওরের বাঁধে প্রয়োজনের চেয়ে এবার কম টাকা লাগবে বলে মন্তব্য করে প্রচ্ছন্নভাবে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশনা দেন। তবে পাউবোসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত ৬৭৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছর জেলায় ৭৩৪টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাউবো সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ৫৩টি হাওরের ৫৩৪ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণসংক্রান্ত জেলা কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণের সঙ্গে অল্প ক্ষতিগ্রস্ত ও অক্ষত প্রকল্পেও সমান বরাদ্দ দিয়ে নকশা করেন সার্ভেয়াররা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুনামগঞ্জ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, খুব সাবধানে এবার প্রকল্প গ্রহণ করছি। অনিয়ম যাতে না হয় স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা শুরু থেকেই পিআইসি গঠন অনিয়মমুক্ত করার চেষ্টা করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>