<p>ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে ১১২টি সৌরবিদ্যুতের সড়কবাতি স্থাপন করা হয়। এসব বাতি বছর না পেরোতেই হারাতে বসেছে কার্যকারিতা। সন্ধ্যার দিকে কিছু বাতি জ্বললেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আলো এবং রাতের আঁধার কাটার আগেই নিভে যায়। নিম্নমানের যন্ত্রপাতিতে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।</p> <p>জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে সৌরবিদ্যুতের খুঁটিসহ সড়কবাতি স্থাপন করার কথা থাকলেও ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অর্ধেক এবং বাকিটা আগস্ট মাসে সম্পন্ন করে মেসার্স কুন্ডু ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।</p> <p>কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কবির হাচান বলেন, ‘এখন শীতকাল হওয়ায় রাত বড়, যে কারণে সৌরবিদ্যুতের সড়কবাতিগুলোতে শেষরাতের দিকে আর চার্জ থাকে না। তাই বাতিগুলো হয়তো নিভে যায়। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শিডিউল অনুযায়ী কাজ বুঝে নিয়েছি। এর পরও যদি কোথাও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, সেগুলো ঠিক করা হবে।’</p> <p>প্রকল্পে প্রতিটি বাতির ব্যয় এক লাখ ২২ হাজার টাকা ধরা হয়েছে, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তা এড়িয়ে যান।</p> <p>কালীগঞ্জ পৌরসভায় সৌরবিদ্যুতের সড়কবাতি স্থাপনকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কুন্ডু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী প্রলয় কুন্ডু বলেন, ‘মানসম্মত সোলার প্যানেল দিয়েই সৌর সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। এই সড়কবাতির কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিক করে দেব।’</p> <p>কালীগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কবাতি স্থাপনে যদি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাহলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p> </p>