<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোরের বেজিয়াতলা গ্রামে বিরাজ করছে সম্প্রীতির বন্ধনের এক অনন্য চিত্র। সেখানে মুসলমান পরিবারের সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে পূজামন্দির। ৯ বছর ধরে সেই মন্দিরে বাজছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঢাক। কপোতাক্ষ নদের পারে দাঁড়িয়ে মন্দিরটি ছড়িয়ে দিচ্ছে দৃঢ় বন্ধনের সুর। গাইছে এ দেশে মুসলমান-হিন্দুর সহাবস্থানের গান। স্থাপন করেছে সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোর শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝিকরগাছা উপজেলা। উপজেলার মহিলা কলেজ মোড় থেকে পূর্ব দিকে পাঁচ কিলোমিটার গেলে বেজিয়াতলা গ্রাম। গত মঙ্গলবার মালোপাড়ায় গিয়ে জানা যায়, মন্দিরটিতে এখন নিয়মিত পূজা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেজিয়াতলা মন্দির কমিটি সূত্রে জানা যায়, এ গ্রামের মৃত নেছার আলী মোড়লের চার ছেলে। ছেলেরা হলেন আবু তালেব, সুলতান আহম্মেদ, আব্দুস সোবহান ও আনারুল ইসলাম। চার ছেলেই যাঁর যাঁর পেশায় প্রতিষ্ঠিত। বর্তমান এ যুগেও চার ভাই যৌথ পরিবারে বসবাস করেন। বেঁচে থাকতে নেছার আলী গ্রামের মানুষের বিপদে-আপদে সাধ্যমতো সহযোগিতা করতেন। তাঁর চার ছেলের মধ্যেও বিকশিত হয়েছে সেই গুণ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির নির্মাণ করা ছাড়াও নিজেদের গ্রাম বেজিয়াতলায় মসজিদ, মাদরাসাসহ নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে আর্থিকভাবে সহযোগিতা রয়েছে এই চার ভাইয়ের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মালোপাড়া মন্দির প্রাঙ্গণে কথা হয় মালোপাড়া পূজামন্দির কমিটির সভাপতি হারান চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি জানালেন মন্দির নির্মাণের ইতিহাস। বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৩ সালের দিকে মন্দির পাকা করার কাজে হাত দেওয়া হয়। এরপর দুই বছর বন্ধ থাকে মন্দির নির্মাণের কাজ। ২০১৫ সালে মে মাসের দিকে আমরা গ্রামের নেছার আলীর ছেলেদের সহযোগিতা চাই। মুসলমান হলেও তাঁরা মন্দির নির্মাণে সহযোগিতায় কোনো কার্পণ্য করেননি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>