<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের কাজ তিন বছরেও শুরু হয়নি। এ কারণে মাত্র ১২টি বেড দিয়ে অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসা চলছে। জনবল এবং অবকাঠামো সংকট থাকায় সংকটাপন্ন এসব রোগীর উন্নত চিকিৎসায় হিমশিম খেতে হচ্ছে এই ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর একনেক সভায় রংপুরসহ পাঁচ জেলায় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ৪৫৬ কোটি টাকা সরকারি অর্থায়ন ছাড়াও প্রকল্পে ঋণ দিয়েছে সৌদি সরকার। প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেই কাজের কোনো অস্তিত্বই নেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রংপুরসহ পাঁচ জেলায় বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের জন্য নোয়াজেস শাহ নামের একজনকে প্রকল্প পরিচালক করা হয়। তবে তিনি অবসরে যাওয়ায় এই প্রকল্পের আর কোনো অগ্রগতির খবর মেলেনি। ঝুলে যায় প্রকল্পের কাজ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে আগুনে দগ্ধ সংকটাপন্ন রোগীতে পরিপূর্ণ থাকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। শীত মৌসুমে ৭০ থেকে ১০০ পেরিয়ে যায় অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা। এ অবস্থায় কখনো শয্যাসংকট, কখনো আইসিইউ সুবিধা দিতে না পারাসহ নানাবিধ ভোগান্তির অভিযোগে ওঠে প্রায়ই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গেল পাঁচ বছরে ১০৮ জন অগ্নিদগ্ধ রোগীর মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে বার্ন ইউনিট। এর মধ্যে ২০২০ সালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া ৬৩০ পোড়া রোগীর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৮ জন। ২০২১ সালে ৫৪৮ জন পোড়া রোগী ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২২ জন। ২০২২ সালে ৬০৮ জন পোড়া রোগীর মধ্যে মারা গেছে ৩০ জন। ২০২৩ সালে ভর্তি হয়েছে ৫৮০ জন, মারা গেছে ৩৫ জন। ২০২৪ সালে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন। চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় তিন হাজার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর বিভাগের আট জেলায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য একমাত্র মাধ্যম রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। কিন্তু সেখানে ২৪টি বেড থাকলেও দুটি নষ্ট হওয়ায় এখন আছে মাত্র ১২টি বেড। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসব মাত্র দুজন। বাকি পাঁচজনকে অন্য বিভাগ থেকে দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বার্ন ইউনিটপ্রধান ডা. শাহিন শাহ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা দুজন চিকিৎসক দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রকল্পের কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। যেভাবে শুরু হয়েছে সেভাবেই থেমে আছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান, বর্তমানে ১০০ শয্যার বার্ন ইউনিট প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।</span></span></span></span></span></p>