<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৮ জন শহীদ ও ৩৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন হলেন আহত রুমা আক্তার (২৬)। তাঁর বাড়ি জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামে। রুমা আক্তার আহত হয়েছেন গাজীপুরের টঙ্গীর আজিমপুর এলাকায় (টিঅ্যান্ডটি মোড়)। ৪ আগস্ট তিনি আহত হন। পুলিশ ও কিছু সাদা পোশাকধারী যুবকের পিটুনি এবং পড়ে গিয়ে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ অবস্থা নিয়েই ৫ আগস্ট আবারও আন্দোলনে শরিক হন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধীরে ধীরে শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে রুমা আক্তারের। প্রথম দিকে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খেতেন। সমস্যা বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জানতে পারেন মেরুদণ্ডে সমস্যা। কোথাও বসতে হলে এক ধরনের টিউবে বসার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তবে আর্থিক সমস্যার কারণে সেটা কেনা হয়নি। যে কারণে কাপড় পেঁচিয়ে এটাতে তিনি বসেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নুরপুর গ্রামের আন্নর আলীর মেয়ে রুমা তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকেন ঢাকার আজিমপুরে। রাজশাহীর বাসিন্দা স্বামী রুবেল আহমেদ একটি বেসরকারি চাকরি থেকে মাসে ১৫ হাজার টাকার মতো আয় করেন। এক সন্তানকে নিয়ে তাঁদের বেশ টানাপড়েনের সংসার। তবে মাদরাসার কিছু শিক্ষার্থী পড়িয়ে সংসারে জোগান দেন রুমা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলন নিয়ে কথা হলে রুমা আক্তার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন আন্দোলনে ছিল। আমার চাচাতো ভাই মাহবুবও আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত হন। এসব বিষয় মাথায় কাজ করছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন কী বলবে সেটার ভয়ে কিছু করতে পারছিলাম না। তবে প্রতিদিনই আন্দোলন যেখানে হতো সেখানে ছুটে যেতাম। ৪ আগস্ট স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে সরাসরি যোগ দিই। দুজন একসঙ্গেই ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। আমি পড়ে যাই। আমার ওপর দিয়ে লোকজন ছুটতে থাকে। পুলিশ ও সাদা পোশাকে থাকা কিছু যুবক আমাকে বেদম পেটায়। স্বামী আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। শরীরে ব্যথা নিয়ে আবার পরদিন যাই। শুরুর দিকে শরীরের অবস্থা বুঝতে পারিনি। কিন্তু দিন দিন অবস্থা খারাপ হতে থাকে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>