<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টুং টাং শব্দের সঙ্গে সখ্য এখন আলামিনের (৩২)। চামড়া আর রঙের গন্ধে মিশে আছে তাঁর কারখানার মালিক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেওয়ার গল্প। গারো পাহাড়ের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল বাজারে ছোট্ট জুতার কারখানা আলামিনের। কারখানার সঙ্গেই রয়েছে দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো নানা ডিজাইনের সব বয়সীর জুতা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলামিন ২০০৯ সালে ঢাকার সিদ্দিক বাজারে একটি জুতা কারখানায় সামান্য বেতনে কাজ করতেন। এতে তাঁর নিজের চলা এবং বয়স্ক মা-বাবার খরচ জোগাড় করা খুবই কষ্টের ছিল। এরপর আবার মালিকের তাঁবেদারি করা। নানা পরিস্থিতিতে ভালো-মন্দ কথা শুনতে হতো। কিন্তু তার পরও ধৈর্যের সঙ্গে জুতা তৈরির কাজ শিখতে থাকেন তিনি। স্বপ্ন ছিল একদিন কারো অধীনে কাজ করবেন না, বরং এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন। ২০১৯ সালে বাড়িতে এসে তাঁর বেতনের জমানো ২০ হাজার টাকাসহ কিছু ধারদেনা করে মোট ৭০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে জুতা তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলামিন জানান, এখন তাঁর কারখানায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার পুঁজি রয়েছে। দুজন সহযোগী কাজ করে কারখানায়। দোকান ভাড়া কর্মচারীদের বেতন দিয়েও এখন আলামিনের মাসিক আয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা থাকে। নয়াবিল বাজার এলাকার লোকজন আলামিনের দোকান থেকে নিজের পছন্দমতো ডিজাইনের জুতা বানিয়ে নেয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় ক্রেতারা জানান, নালিতাবাড়ীতে আর কোনো জুতার কারখানা নেই। উদ্যোগ ছোট হলেও আলামিন করে দেখিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলামিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বড় ধরনের লোন পাইলে ফ্যাক্টরিটা আরো বড় করতে পারতাম। আমার তো বাড়ি-ভিটা ছাড়া কিছুই নাই। দোকানটাও ভাড়া নিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>