<p>রেলের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ অমান্য করে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রেলের জমিতে উল্টো ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রেললাইনের বড়াল ব্রিজ রেলস্টেশন পশ্চিমে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা এই ভবন নির্মাণ কাজ করছেন। অথচ ভবন নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে রেল কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগেও মাইকিং করেছে।</p> <p>জানা যায়, বড়াল ব্রিজ রেলস্টেশনের পশ্চিমে প্রায় তিন একর আয়তনের একটি খালে মাছ চাষ করত স্থানীয় ব্যক্তিরা। চার বছর আগে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহির উদ্দিনসহ কয়েকজন এই খালটি অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট করেন। এরপর মহির উদ্দিন ও অন্য দখলদাররা এই জায়গা বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করেন। সে সময় দখলদাররা এই জায়গায় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও রেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে দখলদাররা রেল অফিসের (ঈশ্বরদী অফিস) লোকজনের যোগসাজশে জায়গাটি কৃষিজমি দেখিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইজারা নেন। এরপর দীর্ঘদিন জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা মহির উদ্দিন, সাবেক ইউপি সচিব গোলাম আম্বিয়া, ব্যবসায়ী ডি এম আব্দুস সাত্তার, কুরবান আলীসহ সাত-আটজন ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। অথচ রেলের জমি ইজারা নিলেও স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করা নিষিদ্ধ।</p> <p>গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনের পাশে ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই জমিতে সাত-আটজন দখলদার একসঙ্গে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এক মাস ধরে এই নির্মাণকাজ চলছে। কেউ কেউ রাতের বেলায় নির্মাণকাজ করছেন।</p> <p>অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মহির উদ্দিন বলেন, ‘রেলের জমি শ্রেণি পরিবর্তন করে ভবন নির্মাণ করছি। রেলের জমিতে ভবন নির্মাণ করলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?’</p> <p>অভিযুক্ত কুরবান আলী জানান, ভবন নির্মাণের লিখিত কোনো অনুমতি নেই। তবে উল্লাপাড়া রেলওয়ের কানুনগো শরিফুল ইসলাম তাঁদের মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন।</p> <p>রেলওয়ের কানুনগো শরিফুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি কাউকেই রেলের জমিতে ভবন নির্মাণ করার মৌখিক অনুমতি দেননি।</p> <p>ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, রেলের জমিতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।</p> <p>বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) রেজাউল করিম জানান, রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই। ভাঙ্গুড়ার বিষয়টি দেখা হবে।</p> <p> </p>