ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামে রাতের বেলা চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। ধরখার সেতু থেকে পূর্ব-উত্তরে তিতাস যেদিকে গেছে সেদিকে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থানে বাঁধ দিয়ে চলছে মাটি কাটা।
জানা যায়, মূলত আওয়ামী লীগ আমলেই এখান থেকে মাটি কাটা শুরু। কিছুদিন মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে আবার মাটি কাটা শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযান চালিয়েও দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না মাটিখেকোদের। প্রতিদিন রাতে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক মাটি এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নদীতে বাঁধ দিয়ে মাটি কাটার কারণে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একটি প্রভাবশালী চক্র এই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত। বছরখানেকের আরো আগেই এখান থেকে মাটি কাটা শুরু হয়। মাঝে মাটি কাটা বন্ধ ছিল। এখন আবার আগের চক্রটির সঙ্গে নতুন আরেকটি পক্ষ যোগ দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেছে।
মূলত সন্ধ্যার পর থেকে একাধিক ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হয়। এরপর ট্রাকে করে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।
মো. শাহজাহান নামের এক কৃষক বলেন, ‘নদীতে বাঁধ দেওয়ায় আমার জমিতে পানি দিতে সমস্যা হয়। আমরা চাই বাঁধ খুলে দেওয়া হোক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কৃষক বলেন, ‘নদীর কিছু অংশ সরকারিভাবে খনন করা হয়েছিল।
আরো কিছু অংশ খনন করা বাকি রয়েছে। এখানে বাঁধ দিয়ে নদী ও এর আশপাশের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মাটি কাটার লোকের পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। কিন্তু আমাদের সুবিধা হয়নি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন জায়গায়ই অবাধে মাটি কাটা হচ্ছে। আখাউড়া এলাকায় নদীতে দেওয়া বাঁধটি একবার কেটে দেওয়া হয়েছে। আবার প্রয়োজনে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’