রাজস্ব খাতের কোনো জনবল ছাড়াই চলছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দর্শনায় অবস্থিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র। এলডিডিপি প্রজেক্টের দুজন জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের কার্যক্রম। জনবল না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি খামারিরা। যেখানে রাজস্ব খাতের সাতজন জনবল থাকার কথা থাকলেও সব কটিই শূন্য।
উপজেলার দর্শনা এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশুর খামার রয়েছে। জনবল না থাকায় সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না খামারিরা। প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিল্পনগরী দর্শনায় ২০০৭ সালে ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানটির দৃষ্টিনন্দন দ্বিতীয় ভবন নির্মাণ করা হয়। এর পর খেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে প্রায় জনবলবিহীন অবস্থায় চলছে।
দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আর জে অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক সাজ্জাদ হোসেন জানান, চিকিৎসার অভাবে অনেক প্রাণী মারা যাওয়ায় ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। প্রাণী চিকিৎসক না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেক সময় গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে গরু-ছাগল চিকিৎসা করাতে হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, ‘দর্শনা পৌর এলাকায় অনেক ছোট-বড় গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগির খামার রয়েছে। কিন্তু এখানে দক্ষ জনবল নেই।
নিজেরই দামুড়হুদা প্রাণিসম্পদ ও দর্শনা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রটি দেখাশোনা করতে হয়।’