<p style="text-align:justify"><span style="color:#c0392b"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাপিয়া সারোয়ারের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। নিজের নামেই অ্যালবামের নামকরণ করেছিলেন শিল্পী। জনপ্রিয়তা পান </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">না সজনী না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> রবীন্দ্রসংগীতটি গেয়ে</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাবা ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মা লিখতেন কবিতা। সম্ভবত মায়ের কাছ থেকেই শিল্প-সংস্কৃতির প্রবাহ এসেছিল পাপিয়া সারোয়ারের মাঝে। সেই প্রবাহকে তিনি পরম যত্ন, ভালোবাসা আর একাগ্র চেষ্টায় বয়ে এনেছেন প্রায় ছয় দশক। সমৃদ্ধ করেছেন দেশের সংগীতাঙ্গন, হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রসংগীতের সফলতম শিল্পী। গতকাল সকালে দীর্ঘ সেই সুরেলা পথচলার হয়েছে ইতি। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে অনন্তলোকে চলে গেছেন পাপিয়া সারোয়ার। আজ জুমার নামাজের পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে শিল্পীকে সমাহিত করা হবে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নামটা সুরেলা পাখির। মানুষ পাপিয়াও ছিলেন তেমনই। মিষ্টি কণ্ঠ দিয়ে রবীন্দ্রসংগীতকে পৌঁছে দিয়েছিলেন দেশজুড়ে। আধুনিক গানেও কি কম ছিলেন? মোটেও নয়। সংখ্যা কম বটে, তবু গানের আবেদনে বরাবরই মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকায় জন্মেছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। পড়েছেন ঢাকার আজিমপুর গার্লস স্কুল ও বদরুন্নেসা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে ছোটবেলায় ছায়ানট ও বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে নিয়েছিলেন সংগীতের দীক্ষা। ১৯৭৩-এ তিনি যখন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, তখন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীতের ওপর ডিগ্রি নিতে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন। সেখানে রবীন্দ্রসংগীতের দীক্ষা নিয়েছেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীলিমা সেনের কাছে। আর ধ্রুবতারা যোশীর কাছ থেকে নিয়েছিলেন উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম। সংগীতে প্রথম শ্রেণির স্নাতক নিয়ে ১৯৭৭-এ তিনি ফিরে আসেন দেশে। অতঃপর পুরোটা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন সুরের সমুদ্রে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পাপিয়া সারোয়ারের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। নিজের নামেই অ্যালবামের নামকরণ করেছিলেন শিল্পী। জনপ্রিয়তা পান </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">না সজনী না</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> রবীন্দ্রসংগীতটি গেয়ে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীদের একজন তিনি। গায়কীর পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীত প্রচার ও প্রসারে বিপুল ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে চালু করেছিলেন সংগীতশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গীতসুধা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। এখান থেকে অনেক শিল্পী তালিম নিয়ে নিজেদের মেলে ধরেছেন। দুই মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদ ও একবার বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন পাপিয়া। রবীন্দ্রসংগীতে এমন অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। এর দুই বছর পর একাডেমি থেকে পান ফেলোশিপ। ২০২১ সালে তিনি পেয়েছেন রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আধুনিক গানেও পাপিয়া সারোয়ারের বিচরণ ছিল। তাঁর কণ্ঠে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাই রে টেলিগ্রাম</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> গানটি দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। যদিও আধুনিক গান বাছাইয়ে তিনি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। ফলে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আধুনিক গানের সংখ্যা খুব কম। শিল্পীর সর্বশেষ অ্যালবাম </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আকাশপানে হাত বাড়ালাম</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।</span></span></span></span></span></p>