হবিগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি : ১৪ বছর আগে সর্বশেষ স্নানঘাটে এসেছিলেন হামজা চৌধুরী। দীর্ঘদিন পর আবার সেই গ্রামে ফেরায় গ্রামবাসী, হামজা ও তাঁর পরিবার যেন আবেগে মিলেমিশে একাকার। হামজাকে একনজর দেখতে দূরদুরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন কেউ কেউ। এত বড় তারকাকে দেখার সুযোগ কি আর হাতছাড়া করা যায়!
স্নানঘাটের দেওয়ানবাড়িতে তাই উৎসবের আমেজ।
সাজ সাজ রব। রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত করা হয়েছে আলোকসজ্জা। বাড়ির চারপাশে মানুষের ঢল নামে। ইংলিশ ফুটবলে খেলা এমন একজনকে দেখতে কত আকুতি তাদের! বাড়ির পাশের মাঠেই প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। সেখানে শত শত মানুষের উপস্থিতি। হামজা যখন মঞ্চে গেলেন, তখন জনস্রোত আটকানো দায়! গ্রামবাসীর সামনে হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। আপনাদের কথা রাখার চেষ্টা করব আমি। আমরা ভালো করব ইনশাল্লাহ।’
হামজাকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাস বয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীর মধ্যে। হামজার প্রতিবেশী সাহেদ আহমেদ। সম্পর্কে চাচাতো ভাই। হামজাকে নিয়ে অনেক আশা, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ফুটবল এবার নতুন মাত্রা পাবে। অনেক কিছু বদলে যাবে।
হামজার মতো খেলোয়াড় দলে থাকা মানে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাওয়া। ওর ছোটবেলা আমি দেখেছি। আমার কাছের একজন এত বড় খেলোয়াড়, মাঝে মাঝে ভাবতেও অবাক লাগে।’
এর আগে বাবা মোর্শেদ দেওয়ানের হাত ধরে ইংল্যান্ড থেকে গ্রামে ঘুরতে আসতেন হামজা। এবার অবশ্য নিজের ইচ্ছায় শিকড়ের টানে এসেছেন তিনি। চাইলেই সরাসরি ঢাকায় গিয়ে দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু শিকড়ের টান কি আর ভোলা যায়? সেই টানেই এবার তিনি হবিগঞ্জে এসেছেন বলে জানালেন বাবা মোর্শেদ দেওয়ান, ‘ওকে তো আমি ছোটবেলা থেকেই সঙ্গে করে নিয়ে আসতাম। এবার হামজাই চেয়েছিল এখানে এক দিন থাকতে। পরে তাবিথ সাহেবও (বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল) বলেছেন, ঠিক আছে। শিকড়ের টানেই সে গ্রামের বাড়িতে এসেছে।’
হামজার এবারের আসা বিশেষ বলে মোর্শেদ দেওয়ানের গর্বের শেষ নেই। কতটা গর্ব হচ্ছে তার উত্তর দিতে গিয়েও থমকে যেতে হয়েছে তাঁকে। এরপর আবেগ জড়ানো কণ্ঠে বললেন, ‘আজ আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের দিন। খুব ভালো লাগা কাজ করছে।’