<p>ক্রীড়া প্রতিবেদক : শিরোনাম দেখেই ভ্রু কুঁচকে ওঠার কথা, আদতে সে রকমই ঘটেছে গত বাংলাদেশ গেমসে। কারাতেকা হোসেন খান মুন এই মুহূর্তে বিকেএসপির কোচ। তবে তিনি খেলাও ছাড়েননি পুরোপুরি। গত বাংলাদেশ গেমসে যেমন খেলেছেন বাংলাদেশ আনসারের হয়ে। সে আসরে আবার অংশ নেয় বিকেএসপি। গুরু-শিষ্যের মুখোমুখি হয়ে যাওয়া সেভাবেই।</p> <p>কুমিতে ৮৪ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালে মুনের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ান বিকেএসপির সিয়াম আহমেদ। সিয়ামকে যেমন খেলার কলাকৌশল শিখিয়েছেন মুন, তেমনি খুব ভালো করে জানার কথা তাঁর শিষ্যের দুর্বলতাও। ফলে সেটি একটি অসম লড়াই হয়ে দাঁড়ায়। তাতে শিষ্যকে হারানোয় কোচের গলায় ওঠে সোনার পদক। বাংলাদেশ গেমসের এই আসরটি হয়েছে ২০২১ সালে। এত দিন পর তা আলোচনায় উঠে আসার কারণ বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থীদের মহাপরিচালককে দেওয়া একটি স্মারকলিপি, যেখানে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম চিহ্নিত করে দেওয়ার পাশাপাশি কোচ হিসেবে মুনের নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিকেএসপিতে চাকরিরত অবস্থায় সরকারি আরেকটি সংস্থার হয়ে খেলার বিষয়টি নীতিমালাবিরোধী বলেও তাঁরা উল্লেখ করেছেন।</p> <p>এ বিষয়ে বিকেএসপির কারাতে বিভাগের মূল কোচ মোহাম্মদ সোলায়মান বলেছেন, ‘মুন আনসারের চাকরি পুরোপুরিভাবে ছেড়েই ২০১৮ সালে বিকেএসপির কোচ হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ গেমসে হয়তো বা কোনোভাবে নাম দিয়ে আনসারের হয়ে খেলেছে। তবে সেটা সে তখন অনুমতি নিয়েই করেছে।’ মুন ২০১০ এসএ গেমসে বাংলাদেশের হয়ে সোনা জিতেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরপর নিয়মিতই খেলে এসেছেন তিনি। বিকেএসপির সাবেকদের সেই স্মারকলিপিতে আরো বেশ কয়েকজন কোচ, কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ আনা হয়েছে, যার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকেও।</p> <p> </p>