<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/11-10-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" height="179" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/11-10-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" style="float:left" width="186" />ক্রীড়া প্রতিবেদক : যথারীতি সেবারও বাংলাদেশের কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছিল। অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ সালে বিশ্ব আসর থেকে ফেরার পর এই সংস্করণে তাঁদের অভ্যস্ত হয়ে উঠতে না পারা নিয়ে হাহাকারের মধ্যে হঠাৎ করেই বাঁকবদল। মাস চারেক পর উল্টো বলাবলি হতে শুরু করে যে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টির তাল-লয়-সুরটা ধরে ফেলেছে। কারণ ২০২৩ সালের মার্চে সফরে আসা তখনকার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবায় স্বাগতিকরা। তাতেই অনেকের মনোভাবে বদল এলেও আসলেই কি এই সংস্করণে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ? </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিল্লিতে ভারতের কাছে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বিধ্বস্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন আহমেদের মুখ থেকেই মিলেছে এই প্রশ্নের জবাব, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমিও দলের অংশ। অনেক দিন ধরে আমিও খেলছি। আসলে টি-টোয়েন্টিতে আমাদের খুব একটা উন্নতি হয়নি। চেষ্টার কোনো কমতি না থাকার পরও আমাদের হচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সেই সঙ্গে আরো যোগ করেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উইকেট যেমনই হোক, ভালো কন্ডিশন ও উইকেটে আমরা প্রায়ই ব্যর্থ হচ্ছি। আমাদের উন্নতি টি-টোয়েন্টিতে কম। আশা আর চেষ্টা করা ছাড়া এই মুহূর্তে কিছু করারও নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ফাস্ট বোলারের এমন অসহায় স্বীকারোক্তির সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে পাওয়া কিছু সাফল্যের কারণে তৈরি হওয়া বিভ্রমেরও যোগসূত্র আছে। সেটি বোঝাতে এই সংস্করণে দেশে এবং দেশের বাইরে সাফল্যের হার তুলে ধরলেই চলছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার বছরে নিজেদের মাঠে খেলা ৩১টি টি-টোয়েন্টির ২০টিতেই জিতেছে তারা। সাফল্যের হার প্রায় ৬৫ শতাংশ। অথচ একই সময়ে যে হার নেমে এসেছে ৩১ শতাংশে। ৫১ ম্যাচের মধ্যে হার ৩৩টিতে, জয় ১৬টিতে। দেশে দারুণ সফল বলে মনে হওয়া দলটিকেই বিদেশের মাটিতে ভীষণ ব্যর্থ দেখাচ্ছে। এই চার বছরে দেশের মাটিতে তিন-তিনবার ২০০ পেরোনো ইনিংস খেলা বাংলাদেশ বাইরে গিয়ে একবারও তা পারেনি। এমনকি তা পাপুয়া নিউ গিনির মতো দলের বিপক্ষেও নয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বৈপরীত্যের একটি ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে তাসকিনের কাছ থেকে। দুর্বলতা শুধু নিজেদের স্কিলেই নয়, তিনি দেখেছেন আরেকটি জায়গায়ও, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের নিজেদের স্কিলে আরো উন্নতি করতে হবে। দেশে আরো ভালো উইকেট তৈরি করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে নিজেদের বিস্তর ব্যবধানটা নিজ নিজ দেশের উইকেট দিয়েই চিহ্নিত করতে চাইলেন এই পেসার, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটি সত্যি কথা যে আইপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচই হাই স্কোরিং হয়। ওরা (ভারতীয় ব্যাটাররা) জানে কিভাবে হাই স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে হয়। ওরা জানে কিভাবে বড় স্কোর করতে হয়। ১৮০ থেকে ২০০ রান ওদের এখানে নিয়মিত হয়, যেটি আমাদের দেশে হয় ১৩০ থেকে ১৪০ বা ১৫০। এই অভ্যাসটি (বড় রান করার) আমাদের খুবই কম। এটিই বাস্তবতা। আশা করি, সামনে হোম কন্ডিশন আরো ভালো হবে। আরো ভালো উইকেটে বড় রান করা এবং (প্রতিপক্ষের বড় রান) তাড়া করার সামর্থ্যও বাড়বে আমাদের।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এ ক্ষেত্রে বিদেশের লিগে খেলাও কাজের হতে পারে বলে বিশ্বাস তাসকিনের, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা যদি অবসর সময়ে আরো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে পারি, তাহলে খুব ভালো হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p>