<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রীড়া প্রতিবেদক : নিজেই বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">“</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনাজপুরে আমাকে অনেকেই </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফুটবলপাগল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে ডাকে। খেলোয়াড়দের কাছে আমি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিজান স্যার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">”</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এই দুই নামেই মিজানুর রহমান চৌধুরীর একটা চরিত্র দাঁড় করিয়ে ফেলা যেতে পারে, যিনি এলাকার কিশোর, তরুণ ফুটবলারদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র, ভরসার স্থল। আবার সমবয়সী বা বয়স্কদের কাছে তাঁর সেই ফুটবল প্রেমটাই একধরনের পাগলামি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভিড়ে সেই দিনাজপুরের ফুটবল ক্লাব ও একাডেমি চালানো, খেলোয়াড়দের টাকা-পয়সা দিয়ে সহায়তা করা মিজানুর রহমান এক লাখ টাকা খরচ করে যখন সভাপতি প্রার্থীর ফরমও কিনে ফেললেন, তখন এটিকে অনেকে অনায়াসে পাগলামি বলেও ধরে নিচ্ছে। তবে মিজানুর রহমানের কাছে এটি একটি স্বপ্নপূরণের চেষ্টা মাত্র, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফুটবলের সভাপতি হওয়া নয়, আমার স্বপ্ন ফুটবলটাকে বদলে দেওয়ার। যেভাবে পরিকল্পনা করলে আমার দেশের খেলোয়াড়রাই বিশ্বমানের হয়ে উঠতে পারে, সেটা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। দিনাজপুর থেকে আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্যে আমি অন্তত ৯৫ জন ফুটবলার তৈরি করেছি। এই মুহূর্তে জাতীয় দলে খেলছে যেমন মজিবুর রহমান জনি, হেমন্ত ভিনসেন্টও আমার খেলোয়াড়। ফুটবলের সর্বোচ্চ পদে থেকে সারা দেশ থেকে খেলোয়াড় তৈরির এই কাজটাই আমি করতে চাই সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিজানুর রহমানের বিশ্বাস, সত্যিকার অর্থেই ফুটবলের ভালো চাইলে তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারে কেউ কেউ। তাবিথ আউয়ালের পাশাপাশি গতকাল তাঁর মনোনয়নপত্র নিয়েছেন একজন প্রতিনিধি। মিজানুর রহমানের পারিবারিক পরিচয় উল্লেখ করার মতোই। তাঁর ভাই মাহবুবুর রহমান বীর-উত্তম, একাত্তরের যে শহীদের নামে এখন পার্বতীপুরের খোলাহাটি সেনানিবাস। মিজান নিজেও এলাকায় ফুটবল একাডেমি, ফুটবল ক্লাব চালান তাঁর সেই ভাইয়ের নামেই, অনেক টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করেছেন।</span></span></span></span></p>