<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনের খেলা শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে হঠাৎ আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারি। দারুণ এক ডেলিভারিতে ট্রিস্টান স্টাবসকে বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে এমন উপলক্ষ অবশ্য বাংলাদেশের জন্য সামান্যই এসেছে, মোটে দুইবার। প্রতিবারই বোলার সেই বাঁহাতি তাইজুল। বাকি চার বোলার মিলে পারেননি একটি উইকেটও তুলে নিতে!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="চট্টগ্রাম টেস্টে" height="201" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/17-10-2024/mk/kalerkantho-sp-14-2024-10-30-02a.jpg" style="float:left" width="156" />সারা দিন খাটুনির পর অল্পস্বল্প এই প্রাপ্তির বিপরীতে দিনভর স্বাগতিকদের হতাশায় ডুবিয়ে প্রথম দিনেই রানপাহাড়ে চড়ে বসার অপেক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ উইকেট হাতে রেখেই তারা স্কোর বোর্ডে জমা করে ফেলেছে ৩০৭ রান। আলোর স্বল্পতায় আগেভাগে খেলা শেষ না হলে রান আরো বাড়িয়েও নিতে পারত সফরকারীরা। বলে রাখা ভালো, এই মাঠে প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করা দলগুলোর গড় রান ৩৮০।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="চট্টগ্রাম টেস্টে" height="500" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/17-10-2024/mk/kalerkantho-sp-14-2024-10-30-02b.jpg" style="float:right" width="300" />বোলিংয়ে হতাশার দিনে বোলাররা যে একেবারেই সুযোগ তৈরি করতে পারেননি, সে কথা বলারও উপায় নেই। বেশ কয়েকবার ভুল করেছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি স্বাগতিক দলের ফিল্ডাররা। সব মিলিয়ে দুটি ক্যাচ, একটি স্টাম্পিং ও একটি রান আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন মাহিদুল ইসলাম, জাকির হাসানরা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন টনি ডি জর্জি ও স্টাবস। এতে টেস্টে পাঁচ বছর পর একই ইনিংসে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার। স্টাবস ফিরলেও জর্জি অপরাজিত আছেন ১৪১ রান নিয়ে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাগরিকার উইকেট ব্যাটারদের জন্য সহায়ক হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন বার্তা টসের আগেই দেন ধারাভাষ্যকার এডওয়ার্ড রেইন্সফোর্ড। তবে টস থেকে সুখবর পায়নি স্বাগতিকরা। ফলে আগে ব্যাট করার ইচ্ছা থাকলেও বলই তুলে নিতে হয় নাজমুল হোসেনদের। দুঃসংবাদ ছিল আরো একটি, ম্যাচ শুরুর আগে জ্বর অনুভব করায় একাদশের বাইরে থাকতে হয়েছে লিটন দাসকে। তাঁর জায়গায় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে অভিষেক হয় মাহিদুলের। তবে তাঁর অভিষেকের দিনটি বিবর্ণ হয়ে যায় শুরুতেই সেঞ্চুরিয়ান জর্জির ক্যাচ ফেলায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইনিংসের সপ্তম ওভারে হাসান মাহমুদের বল ডি জর্জির ব্যাট ছুঁয়ে গেলেও মাহিদুলের গ্লাভসে আটকায়নি। ৬ রানে জীবন পাওয়া এই ওপেনারই পৌঁছে গেছেন দেড় শর কাছাকাছি। দ্বিতীয় সুযোগটি আসে ইনিংসের ১৮তম ওভারে। তাইজুলের বলে অবশ্য সেবার সফরকারী অধিনায়ক এইডেন মারক্রামের (৩৩) ক্যাচ নিতে ভুল করেননি মমিনুল হক। এরপর দ্বিতীয় উইকেটেই আসে স্বাগতিকদের জন্য হতাশার সবচেয়ে বড় পর্বটি। ২০১ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে নিয়ে ছেলেখেলা করেন জর্জি-স্টাবস। উপমহাদেশে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান প্রোটিয়াদের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদিও ইনিংসের ৩২তম ওভারে মাহিদুল আবার ভুল না করলে থামতে হতো স্টাবসকে। তাইজুলের টার্ন করা বল ড্রাইভ করার চেষ্টায় ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যান এই ডানহাতি ব্যাটার। সুযোগ পেয়েও স্টাম্প ভাঙতে পারেননি মাহিদুল। ২৫ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার যতক্ষণে থামেন, ততক্ষণে পেয়ে যান টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ১০৬ রান করা স্টাবসকে তবু থামাতে পেরেছে স্বাগতিকরা, সুইপ আর রিভার্স সুইপের পসরা সাজানো ডি জর্জিকে আটকাতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানারা। যদিও ইনিংসের ৬৭তম ওভারে পায়ে ক্র্যাম্প করা এই বাঁহাতি ব্যাটার রান আউট হতে পারতেন, তবে মাহমুদুল হাসান জয় সরাসরি থ্রোয়ে বল স্টাম্পে লাগাতে না পারায় সে যাত্রায়ও বেঁচে যাওয়া ওপেনার এখনো স্বাগতিকদের মাথাব্যথার কারণ।</span></span></span></span></p>
