<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রীড়া প্রতিবেদক : দুজনকে হরিহর আত্মা বললেও যেন কম বলা হবে। প্রতাপ শঙ্কর হাজরা নিজেই বলছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেই ১৯৬৩ থেকে ২০২৪</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এতগুলো বছর আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। দুজনের সম্পর্ক কেমন ছিল এটা থেকেই তো বোঝা যায়। শেষ দিকে তো উনার পরিবারের সদস্যরা আমাকে ছাড়া আর কারো সঙ্গে বের হতেই দিতেন না উনাকে। এতটা কাছের ছিলাম আমি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলতে বলতে চোখ সজল হয়, গলা ধরে আসে প্রতাপের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে জাকারিয়া পিন্টু ছিলেন অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক ছিলেন প্রতাপ শঙ্কর হাজরা। ১৯৬১ সালে ওয়ান্ডারার্স থেকে পিন্টু যোগ দেন মোহামেডানে, ১৯৬৩ সালে প্রতাপ। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দুজন একসঙ্গেই খেলেছেন জাতীয় দল আর সাদা-কালো জার্সি গায়ে। খেলা ছাড়ার পরও এতগুলো বছর আলাদা করা যায়নি তাদের। বছর কয়েক আগেও একটা পুরনো মডেলের মোটরসাইকেলে চালকের আসনে প্রতাপ আর পিন্টুকে পেছনে বসা দেখাটা বেশ পরিচিত দৃশ্যই হয়ে উঠেছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চলতি লোকজনের। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের সত্তোর্ধ্ব বছরের সে এক জাদুকরী ছবি ফ্রেমবন্দি হয়ে থাকবে চিরদিন। সেই প্রিয় বন্ধুকে গতকাল শেষবিদায় দিয়েছেন প্রতাপ। উথলে ওঠা আবেগ সামলে নিয়ে বলছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি গর্বিত এমন একটা মানুষের সঙ্গে জীবনের এতগুলো বছর কাটিয়েছি। উনি আট বছর মোহামেডানের মতো দলের অধিনায়ক ছিলেন এমনি এমনি নয়। তার চরিত্রগুণেই সেটা হতে পেরেছিলেন। অন্যান্য ফুটবলারের মাথার ওপর তিনি ছিলেন ছাতার মতো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাধীন বাংলা দলকে বাংলাদেশ সরকার যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে তাতেও জাকারিয়া পিন্টুর বড় অবদান দেখেন প্রতাপ, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেই মোটরসাইকেলে করেই আমরা টাঙ্গাইল অবধি ছুটে গিয়েছি। দলের কে কোথায় আছে খুঁজে বের করে একত্র করেছি। এরপর সরকার যখন গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সবাইকে স্বীকৃতি দিল সেটা ছিল বড় প্রাপ্তি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গতকাল থেকে অবশ্য হারানোর বিষাদ ঘিরেছে পুরো ফুটবল অঙ্গনে। অধিনায়কের মৃত্যুর খবরে প্রতাপসহ অনেক সাবেক ফুটবলার, কর্মকর্তা ছুটে যান হাসপাতালে। বিদেশ থেকে তার মেয়ের ফেরার অপেক্ষায় গতকাল মরদেহ রাখা হয় হিমঘরেই। আজ প্রিয় মোহামেডানের আঙিনায় তাকে শেষবিদায় দেবেন সতীর্থ সাবেক ফুটবলার আর ফুটবল অঙ্গনের সবাই। শেষশ্রদ্ধা জানানোর জন্য এরপর মরদেহ নেওয়া হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনেও।</span></span></span></span></p>
