<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্যারিবীয়দের তাদের মাঠে সদ্যঃসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে তখনো হোয়াইটওয়াশ করা হয়নি, তবে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। লো-স্কোরিং প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট ছিলেন হাবিবুল বাশার। শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে এই বলে আফসোস করতেও শোনা গেছে যে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট এখনো বেশ কম। তবে শামীম নতুন কিছু নিয়ে এসেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শামীম হোসেন সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই ভাগ্য গড়ে দেন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিটল ক্যামিও</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ইনিংসে। প্রথমটিতে ৩ ছক্কা ও এক চারের মারে ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলার পথে তাঁর স্ট্রাইক রেট (২০৭.৬৯) পেরিয়েছিল ২০০। পরেরটিতেও তা-ই (দুটি করে ছক্কা আর চারের মারে ২০৫.৮৮ স্ট্রাইক রেটে ১৭ বলে খেলেছিলেন ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস)। এবার বিপিএলেও বাঁহাতি এই ব্যাটারের মারমুখী ব্যাটিং অব্যাহত। শুধু তা-ই নয়, স্ট্রাইক রেটেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ধারাবাহিকতা। যথারীতি আরেকবার তাঁর মারের গতি পেরিয়েছে দুই শর সীমা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত পরশু খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলের হার এড়াতে না পারলেও ২৩ বলে ফিফটি করা চট্টগ্রাম কিংসের শামীম ঝড় ঠিকই তুলেছেন। ৫ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলার পথে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৫.২৬। অবশ্য শামীম একা নন, চলতি বিপিএলের প্রথম চার ম্যাচে আরো কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যাটারের স্ট্রাইক রেটও ২০০ ছাড়িয়েছে। ছেলে থেকে বুড়ো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মারদাঙ্গা ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে শামিল হয়েছেন দুই বয়স শ্রেণির ব্যাটাররা। তাতে সিলেটে হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টিরও যোগ না থেকে পারে না। ক্রিকেটারদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিপিএলের আগে একটি প্রস্তুতিমূলক টি-টোয়েন্টি আসর। তাতে এবার যথেষ্ট বিস্ফোরক ইনিংসের দেখাও মিলেছে। পুরো আসরে ১৪টি ব্যক্তিগত ইনিংসে ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট ছিল ২০০-র বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর মধ্যে বিপিএলে ফরচুন বরিশালের তরুণ ব্যাটার আরিফুল ইসলাম একাই ঢাকা বিভাগের হয়ে তেমন ঝড় তুলেছিলেন দুটি ইনিংসে। বরিশালের বিপক্ষে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ১০ বলে ২৭ রান করার পথে তাঁর ২৭০ স্ট্রাইক রেট এনসিএল টি-টোয়েন্টিরই সর্বোচ্চ। সিলেটের বিপক্ষে ২০৪.৩৪ স্ট্রাইক রেটে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৪৬ বলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের আরেকটি বিধ্বংসী ইনিংস। ওই আসর দিয়ে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ছাপ পড়তে শুরু করেছে মাত্রই শুরু হওয়া বিপিএলেও। শামীম যে ম্যাচে ঝড় তুললেন, একই ম্যাচে খুলনার মাহিদুল ইসলামের ১৮ বলে ফিফটি বিপিএল ইতিহাসে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের দ্রুততম। ২২ বলে ৬ ছক্কা ও এক চারে অপরাজিত ৫৯ রান করা মাহিদুলের ২৬৮.১৮ স্ট্রাইক রেট তাঁর দলকেও ২০০ পার করে নিয়ে যায়। ঢাকা ক্যাপিটালের বিপক্ষে ২২৭.২৭ স্ট্রাইক রেটে ১১ বলে ২৫ রান করা রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচেও ঝড় তুলেছেন। ১৭০.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে করেছেন ৪১ রান। দুর্বার রাজশাহীর ইয়াসির আলীর ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৮ ছক্কা ও ৭ চারে ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪-ও ম্লান করে উদ্বোধনী ম্যাচে বরিশালকে জয় এনে দেন ২৬ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে অপরাজিত ৫৬ রান করা মাহমুদ উল্লাহ, স্ট্রাইক রেট ২১৫.৩৮। প্রথম চার ম্যাচে অন্তত মারের নেশায় ২০০ পার করার সক্ষমতা দেখাতে পেরেছেন ব্যাটাররা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>