গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে শুরুটা স্বপ্নীল হয়েছিল ব্রাজিলের। আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরুতে কাঙ্ক্ষিত গোলও পেয়ে যায় সেলেসাওরা। চতুর্থ মিনিটে বক্সের মধ্যে ভিনিসিয়ুসকে অবৈধভাবে থামাতে গিয়ে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দেন কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার দানিয়েল মুনোজভ। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়া।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলে এরপর আর কোনো দল পারছিল না গোল করতে। ১-১ গোলের ড্রই মনে হচ্ছিল ম্যাচের পরিণতি! দারুণ শুরু করেও পয়েন্ট হারিয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষা তখন ব্রাজিল সমর্থকদের।

আগামী ২৬ মার্চ বুয়েনস এইরেসে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। জয়ের তরতাজা আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে ‘সুপার ক্লাসিকো’তে খেলতে নামবে সেলেসাওরা। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ছয়টি দল সরাসরি খেলবে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো বিশ্বকাপে। পরশুর জয় ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি টিকিট কাটার লড়াইয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ব্রাসিলিয়া হোঁচট খেলে ছয় নম্বরে নেমে যেত ব্রাজিল। কিন্তু কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয় লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় স্থানে তুলে দিয়েছে সেলেসাওদের। তাদের সামনে শুধু আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয় তাই দারুণ স্বস্তির সুবাতাস বয়ে এনেছে ব্রাজিল দলে।

এ রাউন্ডে নিজ মাঠে প্যারাগুয়ে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে একেবারে তলানিতে থাকা চিলিকে। আর পেরুর মাঠ থেকে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বলিভিয়া। ইএসপিএন

আমির আলীর গোলে ম্যাচের ৮ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল লিটল ফ্রেন্ডস। কিন্তু তাদের জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করেছেন রেঞ্জার্সের আরিয়ান শিকদার। লিগে রেঞ্জার্সের এটি দ্বিতীয় জয়। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পঞ্চম স্থানে।

শাইনপুকুর-মোহামেডান : শাইনপুকুর ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ (রাফসান ৭৭, শরিফুল ৫৭; তাইজুল ৩/৪৪, মিরাজ ২/৩৩)।

মোহামেডান  ৪২.২ ওভারে ২২৭ (মিরাজ ১০৩, রনি ৬১; রহিম আহমেদ ২/২২)।

ফল : মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ।

ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাব-আবাহনী : ধানমণ্ডি ৫০ ওভারে ২০১/৯ (ফজলে মাহমুদ ৮৭, জিয়াউর ৫৭; রাকিবুল ৪/১৬, নাহিদ ৪/৪৫)।

আবাহনী ৩৯.২ ওভারে ২০৬/৫ (পারভেজ ১২৪*, মোসাদ্দেক ৫৪; আনামুল হক ৪/৪০)।

ফল : আবাহনী ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা : পারভেজ হোসেন ইমন।

প্রাইম ব্যাংক-অগ্রণী ব্যাংক : প্রাইম ব্যাংক ৫০ ওভারে ৩২১/৩ (ইরফান ১০৭*, সাব্বির ১০২,

শাহাদাত ৪৮*; নাঈম ১/৬০)।

অগ্রণী ব্যাংক ৪৭.৩ ওভারে ২৮৭ (ইমরুল ১১৬, সাদমান ৬৮; রিশাদ ৩/৪৮, আরাফাত ৩/৩৯)।

ফল : প্রাইম ব্যাংক ৩৪ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা : ইরফান শুক্কুর।