<p>ব্যাংক এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যাতে আমানতকারী, ঋণগ্রহীতা, ব্যবসায়ী, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক এবং সর্বোপরি সাধারণ জনগণের স্বার্থ জড়িয়ে থাকে। কারণ ব্যাংক অর্থনৈতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে, যার প্রভাব শুধু অর্থনীতি নয়, সমাজ ও দেশের নানা খাতের ওপর পড়ে। ব্যাংক অত্যন্ত প্রাচীন একটি ব্যবস্থা। খ্রিস্টের জন্মের আগেও ব্যাংকব্যবস্থা ছিল, যেখানে একজন মধ্যস্থতাকারী থাকত এবং সে অর্থ জমা রেখে তা ঋণ হিসেবে অন্যদের দিত। এর ধারাবাহিকতায় ব্যাংকব্যবস্থা বিকাশ লাভ করে এবং মানুষের অগ্রযাত্রা ও প্রয়োজনের নিরিখে সময়ে সময়ে এ ব্যবস্থায় নানা রকম কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে। তবে ব্যাংকের আসল যে কাজ—আমানতকারীদের অর্থ জমা নেওয়া ও সুরক্ষা দেওয়া, সেখান থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে শিল্প-বাণিজ্যে সহায়তা করা এবং মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেরা লাভ করা—এই ব্যবস্থাটি এখনো আছে। আধুনিক যুগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জটিল হয়ে ওঠায় পৃথিবীর সব দেশই আইন দ্বারা এই আর্থিক মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে।</p> <p>বাংলাদেশে ব্যাংক কম্পানি আইন ১৯৯১ সালে করা হয়, যার অধীনে বর্তমানে ব্যাংকগুলো চলছে। বিভিন্ন সময় এটা সংশোধন করা হয়েছে এবং এর কয়েকটি ধারা সংশোধিত হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক সংশোধন প্রয়োজন রয়েছে। যদি আইনে দুর্বলতা হয়, ফাঁকফোকর থাকে, তাহলে যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকই নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে। বাংলাদেশে ব্যাংক কম্পানি আইনেও এমন দুর্বলতা আছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। বাংলাদেশে যাঁরা ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে চান না এবং ঋণ স্থানান্তর করে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন, তাঁরা আইনের ফাঁকফোকরের মাধ্যমেই পার পেয়ে যান। উদাহরণ হিসেবে খেলাপি ঋণ অনাদায়ি থাকার আইনি জটিলতার কথা বলা যেতে পারে। দেখা গেছে, অর্থঋণ আদালত যখন কোনো রায় দেন, সেটা আইনের মারপ্যাঁচের সুযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়ে আটকে দেওয়া হয়। আইনের আশ্রয় সবাই নিতেই পারেন। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে একদিকে আইন প্রয়োগে দুর্বলতা, আরেক দিকে আইনের ভেতরগত দুর্বলতা।</p> <p>আমাদের দেশে ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যাগুলো হচ্ছে, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের অভাব এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণজনিত সমস্যা। এই তিনটা বিষয়ই পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিদ্যমান ব্যাংক কম্পানি আইনে কতগুলো সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন—১৯৯১ সালের আইনটির কয়েকটি ধারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনে সরকারি ব্যাংকগুলো সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখার কথা বলা হয়েছে। এতে একটা দ্বৈততা সৃষ্টি হয়েছে। এটা বিদ্যমান আইনটির একটি বড় দুর্বলতা। ফলে বিদ্যমান আইনটির সংশোধন প্রয়োজন এবং সেটা নিয়ে কথাবার্তা চলছে।</p> <p>নতুন আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেওয়া দরকার তার একটি হলো ব্যাংকে সুশাসনের বাধ্যবাধকতা তৈরি করা। যেখানে ব্যাংক পরিচালক ও চেয়ারম্যানের প্রভাবের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে, সেটা থেকে ব্যাংককে মুক্ত রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি করে থাকেন। তাঁদের আইনের অধীনে আনা যায় না। ইদানীং অবশ্য একটা প্রস্তাব উঠেছে যে আইনে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থা থাকবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা একটা কঠিন কাজ হবে বটে; কিন্তু এটা করতে হবে। </p> <p>আরেকটা বিষয় হলো, আমানতকারীদের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স স্কিমের টাকাটা অত্যন্ত কম। এক লাখ টাকার বেশি ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স স্কিম কাভার করে না এবং এটা বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু অনেক দেশে, বিশেষ করে পাশ্চাত্য দেশে বা যুক্তরাষ্ট্রে বিরাট অঙ্কের অর্থ ডিপোজিট পেনশন স্কিমের অধীনে থাকে। সেখানে কোনো কারণে ব্যাংক দেউলিয়া হলে সাধারণ আমানতকারীদের জন্য ওই টাকাটা যথেষ্ট হয়।</p> <p><img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2021/12.December/24-12-2021/121/Untitled-1.jpg" style="float:left; height:260px; margin:12px; width:332px" />শুধু নতুন করে আইন করলেই হয় না। আমাদের আইন কতগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে। তাই নিখুঁত হলেই হয় না, প্রয়োগের ব্যাপারে কিছু থাকতে হয়। যেমন—আমাদের এখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা কঠিন। ব্যাংক পরিচালকদের হস্তক্ষেপও বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তারপর ব্যাবসায়িক গোষ্ঠী বা বিভিন্ন চেম্বার বডির প্রভাব রয়েছে, যা প্রায়ই প্রকাশ পায়। এ ছাড়া স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য গোষ্ঠীর প্রভাব বন্ধ করা যায় না। আইনের পাশাপাশি এসব আনুষঙ্গিক বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার।</p> <p>এখন নতুন আইনে বড় প্রয়োজন হলো কিভাবে খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায় করা যায় এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিপ্রবণতা বন্ধ করা যায়। ইচ্ছাকৃত খেলাপি করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, খেলাপি ঋণ না দিলে কী করা যায় এবং এর আইনিপ্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা কিভাবে দ্রুত করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে আমাদের বর্তমান আইন খুব শক্তিশালী না। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংক পরিচালকদের সংখ্যা নির্ধারণের বিষয়টি যুক্তিসংগত পর্যায়ে ঠিক করা দরকার। আগে একই পরিবার থেকে দুজন পরিচালক থাকতেন। পরে পাঁচজন করা হয়েছে। এখন পরিবারের সংজ্ঞাও বিস্তৃত করা হয়েছে। স্ত্রী-ছেলেমেয়ের পাশাপাশি এখন জামাতা ও পুত্রবধূরাও পরিচালক হতে পারেন। এর ফলে বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পরিবারভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া আগে পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ ছিল দুই বছর। সেটা বাড়িয়ে ছয় বছর এবং পরে ৯ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর ফলে বৃহত্তর পরিবার থেকে লোক এসে একটি ব্যাংক পরিচালনায় ৯ বছর থাকবেন। এটা ব্যাংকের সুশাসনের জন্য মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।</p> <p>আরেকটা বিষয় হলো ব্যাংকের পরিচালক, এমডি, সিইও নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে কিছু ক্ষমতা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক রুটিন কাজের বাইরে কিছু করতে পারে না। পরিচালক, এমডি ও সিইও নিয়োগ দেওয়ার আগে সম্ভাব্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কি না, তাঁর কোনো খেলাপি ঋণ আছে কি না, তাঁদের অতীত রেকর্ড কেমন, তাঁরা ব্যাংকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত কি না—এগুলো দেখা হয় কিন্তু সেটাও চুলচেরাভাবে পরীক্ষা করা হয় না। একজন ব্যাংকের পরিচালক অন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা পরিচালক হতে পারবেন, কোনো বীমা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন, কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন—এমন বিধান থাকা ঠিক নয়।</p> <p>আমার মতে, কেউ ব্যাংকের পরিচালক হতে হলে তিনি অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কম্পানির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। কারণ একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িত। যেমন—কেউ একটি ব্যাংকের পরিচালক হলে তিনি হয়তো সে ব্যাংকটি থেকে ঋণ নিলেন না। কিন্তু তাঁর অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এখানে জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে একবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সরকার থেকে সে রকম সাড়া পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই কঠিন নিয়মটি প্রযোজ্য আছে। এ ক্ষেত্রে একটি চর্চা এখানে দেখা দেখা যায় সেটা হলো দেশের আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন ভালোভাবে প্রতিপালন করা হয় না। যেমন—পরিচালক পদে কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারো খেলাপি ঋণ থাকতে পারে, বেনামি শেয়ার থাকতে পারে, সেগুলোও দেখা হয় না কিংবা অভিযোগ উঠলে দ্রুত সুরাহা করা হয় না।</p> <p>নিয়ম হলো পরিচালকরা ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না। কিন্তু দেখা যায় পরিচালকরা, চেয়ারম্যানরাও ব্যাংকে গিয়ে নিয়মিত অফিস করেন। ফলে তাঁরা ব্যাংকের নির্বাহীদের ওপরও ক্ষমতার প্রয়োগ করেন। এ বিষয়টি আইনে সুস্পষ্ট করা দরকার। আইনে বলা আছে যে পরিচালকরা ব্যাংকে গিয়ে অফিস করবেন না, সার্বক্ষণিক অফিসে থাকবেন না। তাঁরা শুধু পরিচালকদের সভায় এসব বিষয়ে আলাপ করবেন, সেটা বোর্ড সভা হোক বা ক্রেডিট কমিটির সভা বা অন্য কোনো কমিটির সভা হোক। তাঁরা এর বাইরে কোনো ফাইল দেখবেন না। কিন্তু প্রায়ই এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে আমাদের ব্যাংকগুলোতে।</p> <p>সাম্প্রতিক সময়ে আরেকটি প্রবণতা হচ্ছে ব্যাংকগুলো সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে। এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যাংক একটা নির্দিষ্ট সীমায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। কারণ আমানতকারীর টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে যথেষ্ট বিধি-নিষেধ থাকা দরকার। কারণ আমানতকারী তো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য ব্যাংকে টাকা রাখেন না। এ ছাড়া তাঁরা তো এর লাভের অংশ পান না, বরং লোকসান হলে সেটা বহন করেন। এ ক্ষেত্রে একটা শক্ত আইন দরকার, যেটাকে আমরা বলি ফায়ারওয়াল। এটা থাকলে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিনিয়োগ ব্যাংকের মতো কাজ করতে পারবে না।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্র ২০০৭-০৮ সালে ব্যাংক খাতে যে বিপর্যয় হলো, তার মূলে ছিল সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক একাকার হয়ে গিয়েছিল। সবাই চলে গিয়েছিল পুঁজিবাজারে। তার মানে, তখন কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ফায়ারওয়াল ছিল না। ১৯৯৩ সালে সরকার ‘গ্লাস স্টিগাল আইন’ নামের ফায়ারওয়ার্কটি এটা উঠিয়ে দেয়। তাতে করে পুরো স্টক মার্কেট, হাউজিং এস্টেটে বাবল হয়। পরে সলোমান ব্রাদার্স, মেরিল লিঞ্জ ব্যাংক, ব্যাংক অব আমেরিকা, ওয়াকাবিয়া ব্যাংকসহ বহু বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশে এই ফায়ারওয়ালটা দরকার। ফায়ারওয়াল মানে ব্যাংকগুলো একেবারে সেপারেট থাকবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। সাবসিডি করার ফলেই অনেক সময় এই ফায়ারওয়ালটা থাকে না, আর বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন তা কাভারও করছে না। এই দুর্বল গাইডলাইন থাকার কারণে বিএসইসি চ্যালেঞ্জ করছে যে ক্যাপিটাল মার্কেটের স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে টাকা স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, বিএসইসির গাইডলাইন ব্যাংকগুলোতে মানতে হবে। এটার সুরাহা এখনো হয়নি।</p> <p>অতএব ব্যাংকগুলোর এসব দুরবস্থা, সুশাসনের অভাব, খেলাপি ঋণ এবং তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাব দূর করার জন্যই ১৯৯১ সালের আইন এবং পরবর্তী সময়ে যে সংশোধন করা হয়েছে, তাতে আরো সংশোধনীর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এখন আরেকটু পর্যালোচনা করে বিদ্যমান ব্যাংকিং কম্পানি আইনটি আরো যথোপযোগী করা দরকার। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা এবং ব্যাংক ম্যানেজমেন্টকে কিভাবে দায়িত্বশীল ও জবাবদিহি করা যায় তা আরো স্পষ্ট করা দরকার। আইনের সংশোধন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ছোটখাটো দু-একটা সংশোধন হয়েছে বটে, সেটার সুফল তেমন পাওয়া যায়নি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আইনটিকে সময়োপযোগী করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।</p> <p>লেখক : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়</p>