<p>খাদ্য ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। একদিকে পৃথিবীজুড়ে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা, অন্যদিকে স্তূপীকৃত খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে ডাস্টবিনে। একদিকে খাবার অপচয়ের উৎসব হয়, অন্যদিকে ক্ষুধার্ত মানুষ অনাহারে থেকে মৃত্যুর প্রহর গোনে। মানবতার কী নির্মম পরিহাস! বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী ৮১ কোটি ১০ লাখ মানুষ প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। অন্যদিকে বিয়ে, জন্মদিন, পারিবারিক নানা উৎসব-আয়োজন শেষে ফেলে দেওয়া হয় বিশাল পরিমাণ খাবার। বিয়েবাড়ির একটি অতি স্বাভাবিক দৃশ্য হলো, চাটাই বা মাদুরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বসে কাজ করছেন, আর তাঁদের সামনে পড়ে রয়েছে এঁটো খাবারের বিশাল স্তূপ। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদও খাবার অপচয়ের থেকে পিছিয়ে নেই। গ্রামের মানুষও এখন আগের মতো আর প্লেট চেটেপুটে খায় না।</p> <p>জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুসারে বিশ্বে প্রতিবছর যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় হয় বা ময়লার ঝুঁড়িতে ছুড়ে ফেলা হয়, তার তিন ভাগের এক ভাগ খাবার দিয়ে ৮৭ কোটি ক্ষুধার্তের খুব ভালোভাবেই পেট ভরানো সম্ভব। প্রতিবছর বিশ্বে যে পরিমাণ খাবারের অপচয় হয়, তা উৎপাদনে ১৪০ কোটি হেক্টর জমি ব্যবহৃত হয়; যা বিশ্বের মোট কৃষিজমির ২৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের প্রধান বলেছেন, সম্পদের স্বল্পতা নয়; খাদ্যের অপচয়ই বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার প্রধান কারণ। বাংলাদেশে প্রতিবছর যত খাদ্য উৎপাদিত হয়, তারও একটি বড় অংশ ভাগাড়ে যায়। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইউনেপ ২০২১ সালে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, যাতে বলা হয়েছে বাংলাদেশে বছরে এক কোটি ছয় লাখ টন খাদ্য অপচয় হয়। ইউনেপের ওই ইনডেক্স অনুযায়ী একজন বাংলাদেশি বছরে ৬৫ কেজি খাদ্য উৎপাদন কিংবা তৈরি খাদ্য নষ্ট করে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ খাদ্য অপচয় হয় বাংলাদেশে।</p> <p><img alt="" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2022/September/01-09-2022/121/Untitled-2.jpg" style="float:left; height:180px; margin:12px; width:300px" />জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও গত বছর বাংলাদেশে একটি গবেষণা চালায়, যাতে দেখা যায় উচ্চ আয়ের পরিবারে প্রতি মাসে মাথাপিছু ২৬ কেজি খাদ্য অপচয় হয়। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে চাল উৎপাদিত হয় প্রায় তিন কোটি ৮৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে মানুষের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় আড়াই কোটি মেট্রিক টনের মতো। বাকিটা বীজ, পশুখাদ্যসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। আমরা বছরে যে দুই কোটি ৫২ লাখ টন চাল খাবার হিসেবে গ্রহণ করি, তার মধ্যে ৫.৫ শতাংশ অসচেতনতা ও বিলাসিতার কারণে গৃহস্থালি পর্যায়ে অপচয় হয়। যার পরিমাণ অন্তত ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টন। এর মধ্যে খাদ্য সংগ্রহ ও প্রস্তুতি (চাল ধোয়া, রান্না ইত্যাদি) পর্যায়ে ৩ শতাংশ বা সাত লাখ ৫৬ হাজার টন এবং পরিবেশন ও প্লেট পর্যায়ে ২.৫ শতাংশ বা ছয় লাখ ৩০ হাজার টন অপচয় হয়। সরকারি হিসাবে জনপ্রতি দৈনিক চালের ভোগ ৪০৫ গ্রাম। সেই হিসাবে গৃহস্থালি পর্যায়ের অপচয় রোধ হলে প্রায় ৯৪ লাখ মানুষের সারা বছরের ভাতের চাহিদা পূরণ হতো। আর শুধু খাবার টেবিলের অপচয় রোধ হলেই ৪২ লাখ ৬২ হাজার মানুষের সারা বছরের ভাতের চাহিদা মিটত।</p> <p>অ্যাকশনএইড পরিচালিত ‘ঢাকাবাসী জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস ও প্রবণতা’ বিষয়ক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, বিয়েতে সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় হয়। এরপরই রয়েছে রেস্টুরেন্ট। সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা অনেকেই চোখের ক্ষুধা মেটাতে অতিরিক্ত খাবার প্লেটে নিই। কিন্তু খেতে পারি না। পাশে বসা ছোট বাচ্চার প্লেটেও স্তূপ করে খাবার তুলে দিই। বুফে হলে প্লেটে খাবার নিতে নিতে পিরামিড বানিয়ে ফেলি। সম্প্রতি একটি বুফেতে তাদের এক দিনের অপচয়কৃত খাদ্য পরিমাপ করে দেখা যায়, তার পরিমাণ ২৯ কেজি, যা দিয়ে খুব সহজেই ৮৫ থেকে ৯০ জন অভুক্ত মানুষকে খাওয়ানো যেত। অনেক সময় এই পরিমাণ আরো বেশি হয়। একটি রেস্টুরেন্টের বুফেতে যদি ২৯ কেজি অপচয় হয়, হাজার হাজার রেস্টুরেন্টে কী পরিমাণ অপচয় হচ্ছে? রাস্তার ধারের ডাস্টবিনগুলোতে প্রতিদিন বহু খাবার জমা হতে দেখা যায়। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো আবর্জনা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এগুলো অনেক মানুষের জীবন বাঁচানোর উপাদান বটে। খাদ্যদ্রব্যের অপচয়কে এখন আর অপচয়ই মনে হয় না। সমাজের মানুষের কাছে ক্রমেই তা স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এমনকি আমাদের চলচ্চিত্রেও খাবারের অপচয় দেখানো হয় অতি স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে। আবেগ বা অভিমানে সিনেমার পাত্র-পাত্রীরা প্লেটভর্তি খাবারসহ থালায় হাত ধুয়ে ফেলেন কিংবা থালায় খাবার রেখে উঠে যান—এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়। অনেক সিনেমায় মারামারির দৃশ্য শ্যুটিং হয় কাঁচাবাজার কিংবা খাবারের দোকানে। আর সেসব দৃশ্যে দেখানো হয় বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী নষ্ট তথা অপচয় হতে।</p> <p>হিসাবের খাতায় চাল উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও প্রতিবছর বাংলাদেশকে গড়ে ৩০-৩৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে হচ্ছে। এতে ব্যয় মেটাতে হচ্ছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। খাবারের অপচয় মানে বৈদেশিক মুদ্রারও অপচয়। পানিসম্পদ, সার ও কীটনাশকের ব্যবহার এবং পরিবেশের ক্ষতি ও হাড়ভাঙা পরিশ্রমের মাধ্যমে যে দীর্ঘ পরিভ্রমণ শেষে একটি শস্যদানা খাবার টেবিল পর্যন্ত পৌঁছায়, তা কি আমরা কখনো উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি? এইতো সেদিন সেচের অভাবে ধানের চারা বাঁচাতে না পেরে কৃষক অভিনাথ মারানডি ও রবি মারানডি আত্মহত্যা করেছেন। অপচয়জনিত কারণে বাড়তি খাবার উৎপাদন করতে প্রতিনিয়ত বনভূমিকে কৃষিজমিতে পরিণত করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষার কাজটি কঠিন হয়ে পড়ছে। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে নদী-নালা, খাল-বিল, ফসলের ক্ষেত বিষময় হয়ে উঠছে। এতে মানুষসহ জীবজন্তু, পশুপাখি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অপচয়ের কারণে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদনে জ্বালানির ব্যবহার গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এতে প্রতিবছর ৩৩০ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়াচ্ছে। অপচয়ের ফলে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে নেতিবাচক প্রভাব কেবল পরিবেশ ধ্বংসের মধ্যে সীমিত থাকছে না; বরং আমরা যত বেশি খাবার নষ্ট করছি, বিশ্বে খাবারের দাম বৃদ্ধির জন্য আমরা ততটাই প্রভাবক হিসেবে কাজ করছি। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অসংখ্য মানুষের কাছে খাবার কেনার মতো অর্থই নেই। আর এভাবে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার শিশুরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায় বলে সম্প্রতি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোও একই ধরনের সংকটের দিকে যেতে পারে।</p> <p>বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে গোটা বিশ্বেই খাদ্যসংকট প্রবল হবে। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে এখনই সে অবস্থা দৃশ্যমান। ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, দক্ষিণ মাদাগাস্কার ও ইয়েমেনে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভয়ানক রূপ নিয়েছে। সেখানে অনাহারজনিত মৃত্যুর পরিমাণ বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, বিশ্বজুড়ে বয়ে যেতে পারে ক্ষুধার মহাস্রোত। সামনে কঠিন সময়। মন্দা আসছে। এ বছরের শেষেও আসতে পারে, আবার ২০২৩ সালের শুরুতেও আসতে পারে। মন্দা কি তস্করের বেশে ছুরি হাতে আসবে, নাকি টর্নেডো হয়ে এসে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে যাবে, তা হয়তো এই মুহূর্তে বলা কঠিন। বৈশ্বিক মন্দা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব এখন দৃশ্যমান।</p> <p>জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে বৃষ্টি, বন্যা, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে কৃষিজমি লবণাক্ত হয়ে পড়া, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, ভূমিক্ষয় ইত্যাদি কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গবেষণা বলছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও পানির অপ্রাপ্যতার কারণে এশিয়ার কিছু অংশে খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। গবেষকদের মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় ফসল উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমে যাবে। তাই এখনই দরকার প্রস্তুতি। সব রকমের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ছাঁটতে হবে জীবন থেকে। সেই সঙ্গে খাদ্য অপচয় বন্ধ করতে হবে যেকোনো মূল্যে। অনেক দেশ খাদ্য অপচয় বন্ধে সোচ্চার হয়েছে। অপচয় রোধ করতে শাস্তিমূলক আইনও তৈরি করেছে। কিন্তু খাদ্য অপচয় বন্ধ করতে চাই মানবতার প্রতি সংবেদনশীলতা, মানবগোষ্ঠীর অন্য সদস্যের প্রতি দায়িত্বশীলতা। আইন করে সংবেদনশীলতা ও মনুষ্যত্বের পুঁজি বৃদ্ধি করা যায় না বলেই আমার বিশ্বাস।</p> <p>দক্ষিণ অফ্রিকার ফটো সাংবাদিক কেভিন কার্টার ১৯৯৩ সালে সুদানের দুর্ভিক্ষের শিকার একটি শিশুর ছবি তুলে বিশ্বব্যাপী হৈচৈ ফেলে দেন। এই ছবির জন্য তিনি ১৯৯৪ সালে পুলিত্জার পুরস্কারও পান। ছবিটি ছিল এ রকম—অনাহারে কঙ্কালসার, মৃতপ্রায় একটি শিশু খাদ্যের সন্ধানে বের হয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে আছে, পাশেই ওত পেতে রয়েছে একটি শকুন। শকুনটি যেন নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে শিশুটি জীবিত, না মৃত। মৃত্যু নিশ্চিত হলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে, শিশুটিকে তার আহারে পরিণত করবে। পুরস্কার পাওয়ার তিন মাস পর ৩৩ বছর বয়সী কেভিন কার্টার বিষণ্নতায় ভুগে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে ছবির শিশুটির বিষয়ে কেভিন তাঁর ডায়রিতে লিখেছেন, ‘প্রিয় ঈশ্বর, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমি কখনোই আমার খাবার নষ্ট করব না, তা যতই বিস্বাদ হোক এবং আমার পাকস্থলী যতই পরিপূর্ণ থাকুক না কেন। আমি প্রার্থনা করি যে তিনি এই ছোট্ট শিশুটিকে রক্ষা করবেন, পথ দেখাবেন এবং তাকে তার দুর্দশা থেকে মুক্তি দেবেন। আমি প্রার্থনা করি যে আমরা আমাদের চারপাশের বিশ্বের প্রতি যেন আরো সংবেদনশীল হতে পারি এবং আমাদের নিজস্ব স্বার্থপর প্রকৃতি দ্বারা আমরা যেন অন্ধ না হই।’</p> <p>কেভিন কার্টারের মতো আমরাও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই, কোনো অবস্থায়ই আমরা খাদ্য অপচয় করব না। খাদ্য অপচয় মানে ক্ষুধার্তের অন্ন কেড়ে নেওয়া। আর ক্ষুধার্তকে বঞ্চিত করা মানে বিবেকের কাছে, মানবতার কাছে দায়ী হওয়া। অপচয়, অপব্যয় তাই সব ধর্মেই নিরুৎসাহ করা হয়েছে। আর ইসলাম ধর্মে তো অপচয়কে অপরাধ (পাপ) বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘এবং তোমরা আহার করো ও পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। অপচয়কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ (সুরা আ’রাফ : ৩১) অন্য আয়াতে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই আখ্যায়িত করে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই।’(সুরা বনি ইসরাঈল : ২৭) সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো শয়তান। আমরা কি নিজেদের সেই কাতারে নিয়ে যাব?</p> <p> </p> <p>লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ</p> <p>চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়</p> <p>zhossain1965@gmail.com</p>