<p>কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের গণমাধ্যমে চোখ রাখলেই উল্লিখিত শিরোনামটি সবার চোখে পড়ছে। বহু বছর পর আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে নয়, সরাসরি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জাতীয় কংগ্রেসের প্রায় ৯ হাজার ৩০০ ডেলিগেট আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন।</p> <p>কংগ্রেসের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে সোনিয়া গান্ধীসহ মোট ৬১ জন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তার মধ্যে ১৯৯৬ সালে সীতারাম কেশরী ছাড়া অন্য কেউ গোপন ব্যালটে নির্বাচিত হননি। ১৯৯৬ সালে নরসিমা রাও পদত্যাগ করার পর কেরালার বর্ষীয়ান ঝানু নেতা এ কে অ্যান্টনি ছিলেন ফ্রন্টরানার। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় তিনি সরে দাঁড়ালে গোপন ব্যালটে নির্বাচন হয় এবং তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সীতারাম কেশরী, মহারাষ্ট্রের শারদ পাওয়ার ও রাজস্থানের রাজেশ পাইলট। তখন আন-অফিশিয়ালি নেহরু-গান্ধী পরিবারের সমর্থন ছিল সীতারাম কেশরীর দিকে। ফলে তখন যত ডেলিগেট ছিলেন তার মধ্যে ছয় হাজার ২২৪ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সীতারাম কেশরী। আর শারদ পাওয়ার পান মাত্র ৮৮২ ভোট এবং রাজেশ পাইলট ৩৫৪।</p> <p>এ তথ্যটি আজকে গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে এবার দলের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে এই মর্মে যে কর্ণাটকের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে আন-অফিশিয়ালি নেহরু-গান্ধী পরিবারের সমর্থিত ও পছন্দের প্রার্থী। যদিও এ কথার প্রমাণ কিছু নেই। তবে দলের প্রায় সব সিনিয়র নেতাকে খাড়গের সঙ্গে সব সময় দেখা যাওয়ায় ওই ধারণার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু কেরালা থেকে নির্বাচিত লোকসভার সদস্য, অপেক্ষাকৃত কম বয়সী, আকর্ষণীয় সুবক্তা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত শশী থারুর শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং ১৭ অক্টোবর গোপন ব্যালটে ভোট হবে সেটাই ধরে নেওয়া যায়। ভারতের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, ১৯৯৬ সালে বয়স্ক ও সংরক্ষণবাদী সীতারাম কেশরী যদি কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট না হয়ে শারদ পাওয়ার অথবা রাজেশ পাইলট হতেন, তাহলে আজ কংগ্রেসের ইতিহাস ও অবস্থান অন্য রকম হতে পারত।</p> <p><img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2022/10.October/14-10-2022/kalerkantho-ed-1a.jpg" style="float:left; height:370px; margin:12px; width:400px" />২৬ বছর পর এখন আবার ১৯৯৬ সালের মতোই আরেকটি পরিস্থিতির সম্মুখীন কংগ্রেস পার্টি। সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত একটানা ১৯ বছর দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তারপর ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে আবার অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ। তাঁর পক্ষে ভারতের মতো বিশাল দেশে কঠিন-জটিল রাজনীতিতে যে রকম শ্রম দেওয়া প্রয়োজন, পরিশ্রম প্রয়োজন তা আর সম্ভব নয়। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী ২০১৭ সালে দলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির কাছে কংগ্রেসের ভূমিধস পরাজয়ের প্রেক্ষাপটে দলের সর্বভারতীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রচণ্ড চাওয়া সত্ত্বেও তিনি কিছুতেই আর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে রাজি নন। পরিবারের তৃতীয় সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মধ্যে অনেকেই দাদি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিচ্ছবি দেখতে পান। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক একেবারে ফ্রন্টলাইনের দায়িত্বে তিনি আসছেন না।</p> <p>সুতরাং ১৯৯৮ সাল থেকে ২৪ বছর পর পুনরায় আবার নেহরু-গান্ধী পারিবারের বাইরে থেকে একজন দলের প্রেসিডেন্ট হবেন। নির্বাচন হবে ১৭ অক্টোবর, আর ফল প্রকাশিত হবে ১৯ অক্টোবর। প্রার্থী দুজন, যাঁদের নাম এরই মধ্যে ওপরে উল্লেখ করেছি। দুই প্রার্থীর মধ্যে কার সম্ভাবনা কতটুকু সেটি উল্লেখ করার আগে এটা বলতেই হয় যে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, তাঁর জন্য দলকে আকাঙ্ক্ষিত জায়গায় আবার ফিরিয়ে আনা হবে হিমালয়সম কঠিন কাজ এবং বিশাল চ্যালেঞ্জের বিষয়।</p> <p>১৩৭ বছরের ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন এবং কঠিন তরঙ্গের মধ্যে পড়লেও বর্তমান সময়ের মতো এত খারাপ অবস্থার মধ্যে কংগ্রেস কখনো পড়েনি। একসময় জাতীয় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৪৮.১ ভাগ পর্যন্ত ভোট পেয়েছে কংগ্রেস, সেখানে ২০১৯ সালের নির্বাচনে সেটা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র শতকরা ১৯.৫ ভাগে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতেও ১৫টি রাজ্যে এককভাবে নিজস্ব সরকার ছিল কংগ্রেসের, সেখানে তা এখন মাত্র দুইয়ে নেমে এসেছে। প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই কয়েক মাস আগে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির কাছে শোচনীয় পরাজয় হলো শুধু দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জন্য। গান্ধী পরিবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করেও দ্বন্দ্ব মেটাতে সফল হননি। এখন কংগ্রেসের নিজস্ব সরকার আছে শুধু রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে। রাজস্থানের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও এখন চরমে। প্রায় সমকক্ষ দুই নেতা অশোক গেহলট ও রাজেশ পাইলটের ছেলে শচীন পাইলট মুখোমুখি অবস্থানে। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে হলে প্রাপ্ত ভোট শতকরা ১৯.৫ ভাগ থেকে কমপক্ষে আরো শতকরা ১০ ভাগ বাড়াতে হবে। শুধু তা হলেই হবে না, আঞ্চলিক ক্ষমতাশালী দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ও কোয়ালিশন করতে হবে, যা আরো কঠিন কাজ। আর কংগ্রেসকে এককভাবে কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে হলে প্রাপ্ত ভোট বাড়াতে হবে কম করে হলেও আরো প্রায় শতকরা ১৫ ভাগ, যা একেবারে অসম্ভব। সুতরাং মল্লিকার্জুন খাড়গে, নাকি শশী থারুর।</p> <p>খাড়গের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ঢের, পোড় খাওয়া নেতা। ভারতীয় রাজনীতিতে নির্বাচনী ফল নির্ধারণে উত্তরের হিন্দি বলয়ের প্রভাব প্রশ্নহীন, সেখানেও খাড়গের সংযোগ ও প্রভাব তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। কিন্তু খাড়গের সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক হচ্ছে তিনি বয়োবৃদ্ধ, এখনই বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। পড়ন্ত, এলোমেলো কংগ্রেসকে আবার দাঁড় করিয়ে নরেন্দ্র মোদির মতো ক্যারিসমেটিক নেতাকে মোকাবেলা করার জন্য যত পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে তা তিনি করতে পারবেন কি না সেটি এক বড় সন্দেহ।</p> <p>বিপরীতে শশী থারুর ক্যারিসমেটিক, তুখোড় বক্তা, বয়স এখনো সত্তরের নিচে হওয়ায় প্রয়োজনীয় পরিশ্রম তাঁর জন্য কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া তরুণ ভোটারদের টানার জন্য খুবই আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, যা এই মুহূর্তে কংগ্রেসের জন্য খুবই প্রয়োজন। শশী থারুরের বড় অসুবিধা, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা অনেক কম এবং প্রভাবশালী উত্তরের হিন্দি বলয়ের সঙ্গে সংযোগ কম। ফলে প্রথম যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং অন্তর্দ্বন্দ্বের নিরসন, তার কতটুকু থারুর করতে পারবেন সেটা এক বড় প্রশ্ন। তাই এখানেই আসবে নেহরু-গান্ধী পরিবারের ভূমিকা। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিতে এই পরিবারের মূল্য এখনো তুলনাহীন। একদিকে নেহরু-গান্ধী পরিবারের কেউ সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রন্টলাইনে থাকছেন না, অন্যদিকে তাঁদের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতিতে কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ রেখে যুদ্ধে লড়ার সফল নেতৃত্ব প্রদান এই মুহূর্তে অন্য কারো পক্ষে সম্ভব সেটিও মনে হয় না। সুতরাং এই দুইয়ের মধ্যে আগামী দিনে ভারসাম্য রক্ষা করে নতুন প্রেসিডেন্ট যদি দলকে সুসংগঠিত এবং তরুণ নতুন ভোটারদের আকর্ষিত করতে পারেন, তাহলেই শুধু ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব।</p> <p>ভারতের ইতিহাস যেমন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে লেখা সম্ভব নয়, তেমনি কংগ্রেসের ইতিহাস লিখতে হলে নেহরু-গান্ধী পরিবারকে বাদ দেওয়া যাবে না। রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধীর প্রপিতা মতিলাল নেহরু ১৯১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর অল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস কমিটি কর্তৃক কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই থেকে আজ অবধি প্রায় ১০৩ বছর ধরে কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গান্ধী পরিবারের নাম। মতিলাল নেহরু একনাগাড়ে ১০ বছর কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট থাকার পর ১৯২৯ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত দলীয় সম্মেলনে মহাত্মা গান্ধীর প্রস্তাবে মতিলালের পরিবর্তে ছেলে জওয়াহেরলাল নেহরু প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হন। জওয়াহেরলাল নেহরুর বয়স তখন মাত্র ৪০ বছর। ওই সময়ে ১২ বছর বয়সী ইন্দিরা গান্ধী বাবার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হওয়ার বর্ণাঢ্য দৃশ্য লাহোরের আনারকলি মার্কেটের এক দোকানের ব্যালকনিতে বসে দেখছিলেন। বাবাকে বাদ দিয়ে নিজে প্রেসিডেন্ট হওয়ায় প্রথম প্রথম জওয়াহেরলাল কিছুটা বিব্রত বোধ করছিলেন। কিন্তু মতিলাল নেহরু ছেলেকে আশীর্বাদ করেছিলেন এই বলে যে ‘বাবা যা পারেনি ছেলে তা করে দেখাবে’।</p> <p>বাবার প্রত্যাশা ছেলে পূরণ করেছেন। জওয়াহেরলাল ছিলেন খুবই সুদর্শন, আত্মনিবেদিত এবং মানুষকে কাছে টানার দারুণ ক্ষমতার অধিকারী। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মেয়ে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৫৯ সালে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হন। স্বাধীনতার ৭৬ বছরে এসে ভারত আজ উদীয়মান বিশ্বশক্তি। এর পেছনে জওয়াহেরলাল নেহরু ও শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা ভারতের বৃহত্তর মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। দুজনই উপমহাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হাজারো জাতপাত, ভাষা-সংস্কৃতির ভিন্নতা এবং বহু রং ও বর্ণে বিভক্ত এত বড় বিশাল আয়তনের প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের রাষ্ট্র এখনো শক্তিশালী অবস্থায় টিকে আছে, তার পেছনে ভারতের ফাউন্ডিং আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদ মৌলিক পিলার হিসেবে কাজ করেছে।</p> <p>জওয়াহেরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গান্ধীর শেষ দিন পর্যন্ত কংগ্রেস দ্বিধাহীনচিত্তে বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর অটল থেকেছে। কিন্তু এক মুসলিম নারী শাহবানু স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত হয়ে আদালতে মামলা করেন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৬ সালে সেই তালাককে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। কিন্তু ধর্মান্ধ গোঁড়া উগ্রবাদী মুসলমানদের চাপে পড়ে রাজীব গান্ধী লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে আদালতের সেই আদেশ বাতিল করেন। মুসলিম উগ্রবাদীদের চাপে রাষ্ট্রের নীতি-আদর্শ প্রভাবিত হতে দেখে হিন্দু উগ্রবাদীরা কংগ্রেস ও রাজীব গান্ধীর ওপর খেপে যায়। তারপর ভারসাম্য রক্ষার কৌশলে কংগ্রেস দুই নৌকায় পা রেখে চলার নীতি গ্রহণ করায় একূল-ওকূল দুই-ই হারিয়েছে। ধর্মীয় তোষণবাদ ও পক্ষপাত, সেটা যে পন্থায়ই হোক না কেন, সহজাত কারণেই তা ভারত রাষ্ট্রের সঙ্গে খাপ খায় না। নেহরু-ইন্দিরা গান্ধীর রাজনীতিতে ফিরতে পারলে কংগ্রেস আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া বিজেপির বিপরীতে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে কংগ্রেস ছাড়া সর্বভারতীয় চরিত্রের অন্য কোনো দল নেই। আঞ্চলিক ক্ষমতাবান দলগুলোর জন্য সর্বভারতীয় চরিত্র অর্জনে আরো অনেক সময় লাগবে। দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের আবার উজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ অক্টোবর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে, নাকি শশী থারুর প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তার ওপর কংগ্রেসের ভাগ্য যেমন নির্ভর করছে, তেমনি ভারতের রাষ্ট্র ও রাজনীতি কোন দিকে যাবে সেটাও বোঝা যাবে। আপাতত অপেক্ষা ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।</p> <p> </p> <p>লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক</p> <p>sikder52@gmail.com</p> <p> </p>