<p>বরাবরের মতোই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কলকাঠির চালে সংঘটিত অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মেরুকরণের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর দল এ বছরের এপ্রিল মাসে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়। কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাচ্যুত হলেও পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ক্ষমতায় বহাল আছে। নিজ প্রভুর এমন আচরণে বেজায় খেপে যান জনাব খান সাহেব এবং হুংকার ছাড়েন এবার তিনিও দেখে নেবেন। হুংকার বাস্তবায়নে ইমরান খান নিজ দল পিটিআইয়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন এবং পাকিস্তানব্যাপী গণ-আন্দোলনের ডাক দেন।</p> <p>ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খানের হুংকার ও হুমকি-ধমকি এবং তাঁর সঙ্গে বিপুলভাবে জনগণের রাস্তায় নেমে আসা দেখে অনেকের মনে হয়েছিল, এবার তাহলে বোধ হয় সামরিকতন্ত্র ও সামরিক রাজনীতির কবল থেকে পাকিস্তান মুক্ত হতে চলেছে। এটা যদি হয়, তাহলে শুধু যে পাকিস্তানের ভাগ্য পরিবর্তন হবে তা নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে বিশাল সম্ভাবনাময় পরিবর্তন ঘটবে এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ ভারত বিভক্তির পর গত ৭৫ বছর শুধু পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সামরিক বাহিনীর পরিপূর্ণ কর্তৃত্ব থাকায় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতার ক্ষেত্রটি সম্প্রসারিত হতে পারেনি। পাকিস্তানের কারণেই বিপুল সম্ভাবনাময় সার্ক আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। তাই যদিও সেনাবাহিনীর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ইমরান খানের রাজনৈতিক উত্থান, তার পরও পাকতুনখোয়াসহ ক্ষমতাশালী পাঞ্জাব প্রদেশে নিজ দলের সরকার থাকায় এবং ইসলামাবাদমুখী লং মার্চে জনসমাবেশের দৃশ্য দেখে মানুষের ধারণা হয়েছিল, এবার বোধ হয় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন পাকিস্তানে ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলামাবাদ নয়, রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত পৌঁছে চুপচাপ গলা নামিয়ে লং মার্চের সমাপ্তি ঘোষণার মাধ্যমে রণে ভঙ্গ দিয়ে ইমরান খান ঘরে ফিরে গেছেন। তাই আপাতত পাকিস্তানের পরিস্থিতি ব্যাক টু স্কয়ার <img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2022/12.December/08-12-2022/121/Untitled-1.jpg" style="float:left; height:243px; margin:12px; width:300px" />ওয়ান অর্থাৎ যুদ্ধে আগের মতো এবারও পাকিস্তানি জনগণের পরাজয় এবং সেনাবাহিনীর বিজয় ঘটেছে।</p> <p>‘পাকিস্তান দ্য গ্যারিসন স্টেট’ গ্রন্থের লেখক পাকিস্তানি নাগরিক ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমদ সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিজ দেশের জনগণকে পরাস্ত এবং নিজ দেশকে একাধিকবার দখল করতে পারলেও ভারতের সঙ্গে সংঘটিত সব যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে এবং একাত্তরে সেনাতন্ত্রের কারণেই পাকিস্তানের একাংশের কবরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে, যে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক থেকে এগিয়ে আছে। তাই ইমরান খানের লং মার্চের ফলে পাকিস্তানের রাজনীতিক সচেতন মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও মিডিয়ার একটি বড় অংশ ইমরান খান ও তাঁর দলের প্রতি সন্তুষ্টি বা তাঁকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, বরং এই সুযোগে রাজনীতিতে সামরিক কর্তৃত্বের চিরবিদায় ঘটানোর প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছিল। ব্যাপক শোডাউন ও সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে সচেতন যুব শ্রেণি এবার বুঝতে পেরেছে কিভাবে পেছনে থাকা পুতুল মাস্টারের সুতার টানে দেশের প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসেন এবং ওই একই সুতার টানে পালা শেষ না করেই মঞ্চ থেকে বিদায় নেন।</p> <p>মিডিয়ার একাংশ এবং কিছু আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবীর পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের রাজনৈতিক শাখাকে বিলুপ্ত করতে হবে। তাই পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিকতন্ত্রের লিগ্যাসির পথ ধরেই হয়তো আগামী দিনে ইমরান খান ও তাঁর দল রাজনীতির মাঠে ম্রিয়মাণ বা প্রান্তিক হয়ে যাবে, কিন্তু সামরিকতন্ত্রের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার যে একটা জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তার রেশ আরো অনেক দিন থাকবে। কারণ ৭৫ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম যে একটা রাজনৈতিক দল ও তার নেতাকর্মীরা সরাসরি প্রকাশ্যে সামরিক বাহিনীকে শুধু চ্যালেঞ্জ নয়, রীতিমতো অসংযত ভাষায় গালাগাল পর্যন্ত করেছেন। পাকিস্তানে যেটা অভাবনীয়, পেশোয়ারের কোর কমান্ডারের বাসভবনে জনগণ ঢিল ছুড়েছে। প্রবল আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ সামরিক অভ্যুত্থান বা সামরিক শাসন জারি করা হয়নি। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক বাস্তবতায় সামরিক শাসনের বহুবিধ সমস্যা থাকায় সরাসরি ক্ষমতা না নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে রাজনৈতিক নেতাদের কাঁধে বন্দুক রেখে সামরিক বাহিনী যেভাবে রাষ্ট্রের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ ও সুবিধা ভোগ করছে সেটাকেই তারা হয়তো উত্তম পন্থা মনে করছে।</p> <p>দ্বিমুখী প্রতারণামূলক নীতি ও কৌশলের কারণেই ইমরান খান এ যাত্রায় ব্যর্থ হয়েছেন। দেখা গেছে, তিনি এই হয়তো সামরিক বাহিনীর গোষ্ঠী উদ্ধার করছেন, তো পরের মুহূর্তেই সহজ পথে ক্ষমতায় বসার জন্য তাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। একসময় মানুষ কৌতুক করে বলত, প্রতাপশালী জমিদার পিতা জেনারেল বাজওয়ার সন্তান হচ্ছেন ইমরান খান। সেই জেনারেল বাজওয়া ইমরান খানের অতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে ধৈর্যহারা হয়ে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসরে যাওয়ার বিদায়ি ভাষণে বলেছেন, ‘জানতে হো তেরা বাপ কোন হ্যায়’। এটা ইমরান খানকে ইঙ্গিত করে বললেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন এটা ব্যক্তি জেনারেল বাজওয়ার কথা নয়, এটা সব রাজনৈতিক নেতার জন্য সামরিক বাহিনীর সতর্কবাণী। অর্থাৎ পাকিস্তানের বাপ সামরিক বাহিনী, এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। বিদায়ি ভাষণে জেনারেল বাজওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিরাচরিত অভ্যাসের মতোই ভণ্ডামিপূর্ণ এক বক্তব্য দিয়েছেন।  বলেছেন, একাত্তরের ব্যর্থতা সামরিক বাহিনীর নয়, ওটা ছিল রাজনৈতিক ব্যর্থতা এবং পাকিস্তানের মাত্র ৩০ হাজার সেনা সেদিন আত্মসমর্পণ করেছিল। একাত্তরের লজ্জাজনক পরাজয়ের জন্য পাকিস্তান কাকে ভিলেন বানাবে তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু একাত্তরে মাত্র ৩০ হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করেছে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে উপমহাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা এবং বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অর্জনকে ছোট করার চেষ্টা হয়েছে বিধায় বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।</p> <p>পাকিস্তানি নাগরিক ও বৈশ্বিক অঙ্গনে সুপরিচিত দুজন বুদ্ধিজীবী হুসেন হাক্কানি ‘পাকিস্তান বিটুইন মস্ক অ্যান্ড মিলিটারি’ গ্রন্থে এবং ড. ইশতিয়াক আহমদ লিখিত ‘পাকিস্তান দ্য গ্যারিসন স্টেট’ গ্রন্থে প্রদত্ত তথ্য মতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানের ৭৯ হাজার ৭০০ প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য এবং ১২ হাজার ৫০০ বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পাকিস্তানি জেনারেলদের মিথ্যাচার ও ভণ্ডামি নতুন কোনো কথা নয়। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ ১৯৪৭ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে প্রতিটি যুদ্ধ আগ বাড়িয়ে পাকিস্তানই প্রথম শুরু করেছে এবং প্রতিটি যুদ্ধেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে, যে কথা ড. ইশতিয়াক আহমদের বক্তব্যের সূত্রে লেখার শুরুতে একবার উল্লেখ করেছি। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানি জেনারেলরা সব সময়ই মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল মুহম্মদ মুসা একটা বই লিখেছেন, যার শিরোনাম—‘সিপাই টু জেনারেল’। ওই বইয়ে উল্লেখ আছে, ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই-তিন মাস আগে ছদ্মবেশে পাকিস্তানের পরিপূর্ণ একটি কমান্ডো ব্যাটালিয়ন জম্মু ও কাশ্মীরের ভেতরে প্রবেশ করে। উদ্দেশ্য ছিল, এই কমান্ডো বাহিনী কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মুজাহিদদের সঙ্গে মিলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পেছনে আক্রমণ চালাবে এবং তাতে সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানের জন্য জয়লাভ করা সহজ হবে, কাশ্মীরকে ভারতের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনা যাবে এবং এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব চিরস্থায়ী হয়ে যাবে। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো, কাশ্মীরে প্রবেশ করা পাকিস্তানের কমান্ডো বাহিনীর প্রায় সম্পূর্ণটাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, সামান্য কিছুসংখ্যক যুদ্ধবন্দি হন। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের পরাজয় ঘটে।</p> <p>প্রবন্ধ বড় হয়ে যাবে বিধায় ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সম্পর্কে আজকে আর কিছু উল্লেখ করছি না। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে না জানিয়ে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন, যে যুদ্ধটি কারগিল যুদ্ধ নামে পরিচিত। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে শুধু কারগিল থেকে পিছু হটা নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী যখন অতিরিক্ত পাকিস্তানি ভূমি দখল করা শুরু করে তখন সেনাপ্রধান জেনারেল মোশাররফ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের শরণাপন্ন হন এবং অনুরোধ করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে ধরে তিনি যেন দ্রুত যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করেন, তা না হলে পাকিস্তানের ইজ্জত থাকে না। ড. ইশতিয়াক আহমদের বক্তব্য অনুযায়ী পাকিস্তানি জেনারেলরা ক্ষমতার জৌলুস ও ভোগবিলাসিতার মোহে এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রভাবে বাস্তবসম্মত স্ট্র্যাটেজিক চিন্তা করতে পারেন না বলেই প্রতিটি যুদ্ধে পাকিস্তানকে লজ্জাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে।</p> <p>হিন্দু ভারত পাকিস্তানের চিরশত্রু, কাশ্মীরকে উদ্ধার এবং একাত্তরের পরাজয়ের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে হলে রাষ্ট্রের কর্তৃত্বে সেনাবাহিনীকে থাকতে হবে, এই মর্মে প্রপাগান্ডা চালিয়ে পাকিস্তানি জনগণকে সে দেশের সেনাবাহিনী এত দিন পরিপূর্ণ বিভ্রান্তির মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সব যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের কাহিনি এখন সে দেশের মিডিয়া ও সুধীসমাজ জনগণের সামনে তুলে ধরছে। পাকিস্তানের জনগণ এটাও এখন বুঝতে পারছে যে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনা রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে থাকার কারণেই ৫১ বছরে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গেছে; একসঙ্গে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়া ভারত বৈশ্বিক পরাশক্তি হতে চলেছে আর পাকিস্তান যে তিমিরে ছিল শুধু সেই তিমিরেই নয়, বরং ক্রমেই আরো গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এ যাত্রায় ইমরান খান ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও হয়তো অন্ধকার। কিন্তু রণক্লান্ত খান সাহেব ঘরে ঢুকে গেলেও মানুষের মধ্যে যে সচেতনতা এবং জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তার পথ ধরে পাকিস্তান যদি আগামী দিনে কোনো এক সময় সামরিকতন্ত্র থেকে মুক্ত হতে পারে, তাহলে সেটা শুধু পাকিস্তান নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সুখবর হবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় থাকলাম।</p> <p>লেখক : রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক</p> <p>sikder52@gmail.com</p>