<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালের কথা। বাংলাদেশে মহাসমারোহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে গেছেন। আয়োজনের কোনো ত্রুটি ছিল না; কিন্তু সেখানে উগ্র মনোভাবাপন্ন হেফাজতিদের বিক্ষোভ সমারোহ দেখা গেল মোদির বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল। সেই বিক্ষোভকারীদের কোনোভাবেই শেখ হাসিনা বরদাশত করেননি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উগ্রপন্থীরা তো চিরকালই বাংলাদেশের জমিতে মোদি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। ভারতীয় গোয়েন্দারা বলেন, এই উগ্রপন্থীদের পেছনে বিদেশি কিছু শক্তিরও মদদ থাকে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই শক্তিকে বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় রেখেছে। মনমোহন সিং যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি একবার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বাংলাদেশের যে জনমত, তার মধ্যে একটা অংশের মানুষের ওপর এই উগ্রপন্থীদের প্রভাব আছে। এ ব্যাপারে ভারতের উদ্বেগ তখনো সেদিন সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ খুব সুযোগ্য একজন কর্মকর্তা বলছিলেন, ২০২১ সালে শেখ হাসিনা যেভাবে সেই পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছিলেন, তা নরেন্দ্র মোদি আজও ভুলতে পারেননি। নরেন্দ্র মোদি একজন বিচক্ষণ, পরিণত রাজনেতা। তিনি বোঝেন, তাঁর সফরে যে বিক্ষোভ ও গোলমাল হয়েছিল, এর পেছনে কোনো শক্তি কাজ করছিল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেই কর্মকর্তা বললেন, এ ঘটনার পর যখন নরেন্দ্র মোদি ফিরে আসেন, তখন শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির জন্য পাঠালেন একটি মিষ্টি আমের ঝুড়ি। সেই আম পাঠানোর মধ্য দিয়ে তিনি সুস্পষ্ট বার্তা দিলেন, ঢাকায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুব ছোট একটি ঘটনা। তবে যেটুকু বিক্ষোভ হয়েছে, সেটা আর যা-ই হোক, সেটা বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব নয়। বাংলাদেশ সরকার মনে করে, এই আমের মতোই একটা মিষ্টি ব্যবহারে তারা বিশ্বাসী। সেই কূটনীতিই কিন্তু এখনো অটুট আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="উপমহাদেশে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক" height="268" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2023/06.June/12-06-2023/1.jpg" style="float:left" width="294" />বাংলাদেশের নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। ২০২৪-এর মে মাসে ভারতে নির্বাচন। এর আগে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বাংলাদেশে যখনই ভোট হয়, তার আগে নানা শক্তি বাংলাদেশের জমিতে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভূতপূর্ব ভিসানীতি আলোড়ন ফেলেছে। ভারতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই মার্কিন ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ভোটের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসানীতি নিয়ে যতটা বিচলিত, তার চেয়ে বেশি বিচলিত বিএনপি, জামায়াত এবং বিরোধী শক্তির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ সরকার চাইছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই উপমহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উত্থাপন করুন। মোদি যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে। আশা করা যায়, জাপানে জি৭-এর বৈঠকে সময় কম থাকায় হয়তো আলোচনা হয়নি। তাই এবারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি বিষয়টি নিশ্চয়ই নিয়ে আসবেন। কেননা এটি শুধু বাংলাদেশের সার্বভৌম বিষয় নয়। এই উপমহাদেশের ওপর তার প্রভাব ফেলছে। আর বাংলাদেশ এই উপমহাদেশে কেন গুরুত্বপূর্ণ, সেটি আর যা-ই হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি জানে বলেই সম্ভবত এই নতুন রাজনৈতিক খেলা ভোটের আগে শুরু হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সপ্তাহের নিবন্ধে জন ডেনিলোভিেজর কথা বলেছিলাম। তিনি ২০১৩ সালে ঢাকায় ইউএস এমবাসিতে ডেপুটি চিফ অব মিশন ছিলেন। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছেন। এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত। অবসর নেওয়ার পরও তিনি বিভিন্ন সম্পাদকীয় নিবন্ধে আমেরিকার ভিসানীতির সমর্থন করছেন। অবশ্য শুধু সমর্থন করছেন, তা-ই নয়। তিনি এই ভিসানীতি সম্পর্কে বলছেন, এটি শুধু ঘোষণা করলে হবে না। এটির যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। নমুনা হিসেবে এটি শিগগিরই প্রয়োগ করা হবে, যাতে বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো কারচুপি হতে না পারে। আপাতভাবে উদ্দেশ্য মহৎ। সার্বভৌম একটি অন্য রাষ্ট্রের ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে সে ব্যাপারে নাক গলানোর এই রকম নজির কিন্তু দেখা যায় না। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে মোটেই খুশি তো নয়ই, উল্টে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জন ডেনিলোভিত্জ এখন সাউথ এশিয়া পার্সপেক্টিভ পত্রিকায় তিনি এডিটর অ্যাট লার্জ হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর নিবন্ধ ছাপা হয়। তিনি ওয়াশিংটনে রাইট টু ফ্রিডম নামের বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি সম্প্রতি সাউথ এশিয়া পার্সপেক্টিভে লিখেছেন, ইউএস ভিসা পলিসি হোয়াট নেক্সট? সেখানে তিনি যা বলেছেন, তাতে এই ভিসা পলিসিকে সমর্থন করে এটি কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। এখানে বলে রাখা দরকার, খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেসসচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী এই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। সম্পাদক উইলিয়াম বি মাইলাম। মুশফিকুল ফজল আনসারী এই রাইট টু ফ্রিডম নামের সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পরিস্থিতিতে ভারত কিন্তু ঢাকার যে উদ্বেগ, তাকে যথেষ্ট মর্যাদা দিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটা অংশ মনে করছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘদিন শাসনের ফলে একটা অ্যান্টি-ইনকমবেন্সি তৈরি হয়েছে। সেটা অবশ্য পৃথিবীর সর্বত্র হয়। ভারতে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও যে এমনটা হয়নি, তা নয়। ২০১৪ সালের নরেন্দ্র মোদি আর ২০২৪ সালের নরেন্দ্র মোদির একই পরিস্থিতি থাকতে পারে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ যখন বিএনপি নেতা ফখরুল দেখা করেন ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসাডর পিটার হাসের সঙ্গে। সেখানে তাঁদের লম্বা বৈঠক হয়। তারপর ফখরুল জানান, এই ভিসানীতি বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক। এই ভিসানীতি করতে আমেরিকা বাধ্য হয়েছে। এর কারণ শাসকদল ভোটটা নিরপেক্ষভাবে করতে চাইছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ঘোষণা করেছে, তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবে না। কিছুদিন আগে সিলেটের সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ৪৩ জন দলের কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বিএনপির এই অবস্থান কি গণতন্ত্রের জন্য ভালো? ভোটে অংশ না নেওয়াটা কি কোনো কাজের কথা?  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএনপির কিছু নেতা তো বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের কাছে এসেও বারবার বলছেন, তাঁরা সব রকমভাবে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে উৎসাহী। তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। সুতরাং বিএনপি সম্পর্কে ভারত তার পুরনো সাবেক নেতিবাচক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুক। এমনকি বিএনপি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য জামায়াতকে পর্যন্ত পরিত্যাগ করতে রাজি। এসব বার্তা বিএনপি দিলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভোটের সময় ভারত কোনোভাবে নাক না গলিয়ে তারা চাইছে, যাতে ভোটটা শান্তিপূর্ণভাবে হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএনপি ভোটে যোগ দিক, এটা কিন্তু ভারতও চায়। ভারত মনে করে, গণতন্ত্রের জন্য ভোট বয়কট করা কোনো কাজের কথা নয়। বিএনপিকে ভোট বয়কটের জন্য উসকানি দিচ্ছে কারা, সেটা বোঝার প্রয়োজন আছে। আজকে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস, যেটা আসিয়ান কিংবা সার্ক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুটি ক্ষেত্রেই ভারতের সঙ্গে গোটা পৃথিবীর যে যোগাযোগ, সেখানে বাংলাদেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কেননা বাংলাদেশের যে অবস্থান, সেটা দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটা সেতু রচনা করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারত সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে ৯.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। ১০টা লোকোমোটিভ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শুধু একটা কথা, এই বন্ধুত্বটা ভারতের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। তবে এ কথা ঠিক, তিস্তাসহ বেশ কিছু নদী নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মতপার্থক্য আছে। ৫৪টি নদী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জয়েন্ট রিভার কমিশন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গঠিত হয়েছিল ১৯৭২ সালের জুন মাসে। এখনো আলাপ-আলোচনা শেষ হলো না।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে গেছে এবং ৩২ নম্বর অবস্থানে বাংলাদেশ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। গোটা পৃথিবীর মধ্যে ৩২ নম্বর পজিশন মানে রাষ্ট্র হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। একটা অনুন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের এই উন্নতি নিশ্চয়ই নজর কাড়ে। ধনী দেশগুলোর মতো ১৩৩ নম্বর পজিশনে বাংলাদেশ নিজেকে নিয়ে এসেছে। মুদ্রাস্ফীতিও ৭.৭ শতাংশে সে ধরে রাখতে পেরেছে। এগুলো যথেষ্ট শুভ লক্ষণ। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান, যেভাবে বাংলাদেশে চাপ বাড়ানো হচ্ছে, সেটার জন্য ভারতও খুশি নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বিষয়টা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কগুলোকে এই উপমহাদেশে ইতিবাচক পথে নিয়ে যাওয়াটা ভারতের একটা অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : নয়াদিল্লিতে কালের কণ্ঠ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষ প্রতিনিধি</span></span></span></span></p> <p> </p>