<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের পায়ের নিচ থেকে যতই মাটি সরে যাচ্ছে, ততই তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব থেকে দূরপ্রাচ্যের চীন কিংবা ইউক্রেনের বিপর্যয় ঠেকাতে পাশ্চাত্যের লন্ডন নগরী পর্যন্ত এখন চষে বেড়াতে শুরু করেছেন ব্লিনকেন। তার পরও কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে খুব একটা সফল হচ্ছেন বলে মনে হয় না প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দূত ব্লিনকেনকে। চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের একে অপরের চিরশত্রু সৌদি আরব ও ইরান একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে, যা তাদের পারস্পরিক নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে ওয়াকিফহাল মহলের বিশ্বাস। কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হবে তাদের বাণিজ্যব্যবস্থা। ক্রমে ক্রমে মধ্যপ্রাচ্যে গঠিত হবে একটি শক্তিশালী সামরিক জোট। সংঘর্ষ নয়, সমঝোতা। উন্নয়ন ও সহাবস্থানের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। চীনের এ নীতিবাক্যের কাছে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের কায়েমি স্বার্থ ও যাবতীয় ষড়যন্ত্র। তার পরও হাল ছাড়েনি যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবে ছুটে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সেখানে নিজ আধিপত্য বজায় রাখা এবং সৌদি আরবকে ব্রিকসের ডলারবিরোধী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যোগদান থেকে বিরত রাখতে বহু প্রস্তাব পেশ করেছেন ব্লিনকেন। তাতে খুব একটা কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সাম্রাজ্যবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণকারী চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ছুটে যেতেও বিলম্ব করেননি ব্লিনকেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই প্রথমবারের মতো একজন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কূটনীতিক বেইজিং সফর করলেন গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিশন নিয়ে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ায় চীনা অস্ত্র সরবরাহের পথ রুদ্ধ করতে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের কাছে ছুটে গিয়েছেন ব্লিনকেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রসের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির উসকানিমূলক তাইওয়ান সফর, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতা নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য এবং তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে যক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্র সব কিছু ভুলে তাইওয়ান ও তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের জাহাজ চলাচল ও তার বাণিজ্যব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে বিগত পাঁচ বছর ওয়াশিংটন প্রশাসন যা করেছে, বিশ্ববাসী তা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে অবলোকন করেছে। এ বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। দক্ষিণ কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিম চীন সাগরে চীনের চলাচল ও গতিবিধি বিঘ্নিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এরই মধ্যে গঠিত অকাস (</span></span></span></span>AUKUS<span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) ও কোয়াড (</span></span></span></span>QUAD<span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক সামুদ্রিক রুটকে কেন্দ্র করে চীনের সামগ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মুখে মুখে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল চীনের বিরুদ্ধে পরাশক্তিগতভাবে তার আধিপত্য ধরে রাখা। সামরিক ও বাণিজ্যগত দিক থেকে চীনের অগ্রগতিকে ঠেকানো। কিন্তু সৌদি আরব, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থানগত পরিবর্তন, সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব এবং সৌদি ও ইরানিদের ব্রিকসে যোগদানের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের পররাষ্ট্রনীতির দিক থেকে এ যুগের সবচেয়ে কঠিন বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সে কারণেই মূলত চীনকে সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের বেইজিং ছুটে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার পথ খোলা রাখতে এবং কোনো বিরোধ যাতে শেষ পর্যন্ত সংঘাতে না গড়ায় তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ব্লিনকেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্লিনকেনের সদ্যঃসমাপ্ত দুই দিনের চীন সফরের সবচেয়ে লক্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে ব্লিনকেন বা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অবস্থান, ব্লিনকেন তাঁর নির্ধারিত সফর শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতা চায় না। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে যোগাযোগ শুরুর মাধ্যমে সামরিক সংঘাত এড়ানোর পথ করে নেওয়ার ওপর জোর দেন এবং সেটাই তাঁর সফরের সবচেয়ে সন্তোষজনক ফল হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্র মূলত এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করে বলে উল্লেখ করেও অতীতে বারবার বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্রই উদঘাটিত হয়েছে বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানদলীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে তাঁর উত্তরসূরি ডেমোক্রেটিকদলীয় জো বাইডেনের বর্তমান শাসনকাল পর্যন্ত সে ধারা অব্যাহত ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হয়েই চীনের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছিলেন এক বাণিজ্যযুদ্ধ। তার পাশাপাশি তিনি তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে আরেক ন্যক্কারজনক চক্রান্ত শুরু করেছিলেন। সে চক্রান্তকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের জঙ্গিবিমানসহ যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করেছে। বাইডেন তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরো ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তারই পথ ধরে পরিকল্পিত হয়েছিল বিভিন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক সামরিক-বেসামরিক কর্মসূচি। গঠিত হয়েছিল অকাস ও কোয়াড। চীন এ অঞ্চলে তার সামরিক অবস্থান ও বাণিজ্য পথকে কেন্দ্র করে অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে অগ্রসর হয়েছিল। নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে কিংবা আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সাম্রাজ্যবাদ সর্বত্রই নিজেদের উপস্থিতির কথা জানান দেয়। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তা-ই করেছিল এবং তাদের সঙ্গে সমাবেশ ঘটিয়েছে জাপান ও অস্ট্রেরিয়ার সামরিক শক্তিকে। কিন্তু এ বিষয়টিকে অত্যন্ত ধৈর্য ও গভীর পরিকল্পনার মাধ্যমে মোকাবেলা করেছে চীন। বিভিন্ন সুপরিকল্পিত পথে অর্থাৎ দক্ষ কূটনৈতিক চালের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নড়বড়ে করে তোলে চীন। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="ব্লিনকেনের চীন সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান" height="384" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2023/06.June/22-06-2023/Untitled-1.jpg" style="float:left" width="500" />চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং, শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নেতার সঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহ অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন। অতি সম্প্রতি সে কারণে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে আশাবাদী ছিলেন না। চীনের নেতাদের তেমন একটি মানসিক অবস্থার মধ্যেই দুই দিনের সফরে বেইজিংয়ে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তাঁর সফরের প্রথম দিনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাংয়ের ব্লিনকেনের চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছিল। ব্লিনকেনের সফরের শেষ দিনে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইর সঙ্গে। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর আলোচনা শেষ হয়। এই দুই নেতার তিন ঘণ্টার আলোচনায় ব্লিনকেনের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সাক্ষাতের পথ প্রশস্ত হয়েছিল বলে জানা যায়। প্রেসিডেন্ট শি প্রথমে ব্লিনকেনের সঙ্গে মতবিনিময়ের ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহী ছিলেন না। পরে এক পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি, যুদ্ধ এড়ানো, প্রযুক্তি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন বলে জানা যায়। প্রেসিডেন্ট শি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানকল্পে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রাশিয়ায় সমরাস্ত্র প্রেরণ করবেন না বলে তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে সন্দেহ দেখা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী ও পরস্পরবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনকে অনুরোধ করছে রাশিয়াকে অস্ত্র না দিতে, অন্যদিকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যদের বাধ্য করছেন ইউক্রেনের পক্ষে তাদের শক্তি প্রয়োগ করতে। এ ছাড়া চীনের সামরিক অগ্রগতি ঠেকাতে ভারতকে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিতে। ভারতকে দেওয়া হচ্ছে ৩০টি অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন (এমকিউ নাইন)। এ বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর আরো পরিষ্কার হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অর্থাৎ জেনিন অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সশস্ত্র হামলা এবং নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই বলছে না। পাশাপাশি সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র নীরব। যুক্তরাষ্ট্র যে চীনের শান্তি প্রচেষ্টার পক্ষে নেই এবং এখনো সর্বত্র তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়, তা বাইডেন প্রশাসনের পরস্পরবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পাচ্ছে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাইডেন তাঁর দ্বিতীয় টার্মের জন্য এমন অনেক কিছুই করছেন, যা কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">gaziulhkhan@gmail.com</span></span></span></span></p>