<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেকোনো একটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই আর্থিক ব্যবস্থাপনা দুটির একটি হলো সরকারি অর্থের আহরণ এবং সরকারি অর্থের ব্যয়। আরেকটি হলো প্রাইভেট সেক্টর বা বেসরকারি খাতে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা। দুটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাংলাদেশ এখন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই আর্থিক ব্যবস্থাপনাটা এখন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক এ কারণে যে নতুন অর্থবছর শুরু হয়েছে। সরকার বাজেট দিয়েছে। আমাদের অর্থনীতিতে বৈশ্বিক প্রভাব আছে। কভিড গেল, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সামনে নতুন পরিস্থিতি কী হবে তা আমরা জানি না। এখন আমাদের প্রয়োজন নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনা ঠিক করা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনাটার মূল দিক চারটি। প্রথমত, সরকারি আয়-ব্যয়; দ্বিতীয়ত, বেসরকারি খাত; তৃতীয়ত, বাজারব্যবস্থা; চতুর্থত, সরকারি বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ। এগুলো কিন্তু একটা আরেকটার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। সরকারের আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে প্রাইভেট সেক্টর জড়িত। সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা দেখার জন্য বিভিন্ন নিয়ম-কানুন আছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটা প্রতিফলন ঘটে বাজারে। বৈদেশিক বাণিজ্য একটা ব্যাপার। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারটা খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। সরকার বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। সরকারের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আছে, ওয়াসা আছে, তিতাস গ্যাস আছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আছে, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আছে, এগুলো তারা কিভাবে ম্যানেজ করে, দেশের উন্নয়নে ও সেবায় কাজে লাগায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে আর্থিক ব্যবস্থাপনার বেশ কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে। বারবার এদিকে দৃষ্টিপাত করা হচ্ছে। অনেকে অনেকভাবে বলছেন। বাইরে থেকে যখন আমরা ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারাও কিন্তু আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা" height="333" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2023/07. July/22-07-2023/1.jpg" style="float:left" width="332" />আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য যেকোনো প্রাইভেট-পাবলিক সেক্টরে দরকার গভর্ন্যান্স। অর্থাৎ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। কোনো আর্থিক ব্যবস্থায় যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকে, তাহলে যত রকম নিয়ম-কানুন কিংবা প্রতিষ্ঠান করা হয়, কোনো কিছু কাজে লাগবে না। তারা কোনো কাজ করতে পারবে না। প্রথমত, তারা কাজ করবে কি না সেটা একটা বিবেচনার বিষয়। দ্বিতীয়ত, করতে পারবে না। কারণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ভেতরে কতগুলো প্রক্রিয়া আছে। কারো যদি কোনো দোষত্রুটি থাকে, সেটার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এগুলো যদি না হয়, তাহলে কোনো কিছু ভালো হবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে ঘাটতি আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি হলো মূল ভিত্তি। এর ওপর তিনটা জিনিস খুব জরুরি। একটি হচ্ছে, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। অর্থটা কিভাবে আদায় করা হবে, আর্থিক ব্যবস্থাপনা কী হবে। এটা যদি ঠিকমতো প্রতিফলিত না হয়, তাহলে কিন্তু লাভ হবে না। দ্বিতীয়ত হলো, সরকারি অনেক কর্মচারী অনেকের দক্ষতা নেই, কিন্তু রুটিনকাজ করছে। আমরা বাজেট বাস্তবায়নের ব্যাপারেও দেখতে পাচ্ছি, অনেকের সক্ষমতা নেই, অনেকে কিছু করতে পারে না। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট হয় না। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবার আরেকটা বিষয় হলো, দক্ষতা থাকলেও কাজগুলো করা হয় না। করে না। কোনো জবাবদিহি যদি না থাকে, তাহলে তো কাজ করবে না। অতএব এখানে দক্ষতা, নিষ্ঠা দরকার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তৃতীয়ত হলো, এই যে সরকারি কর্মচারী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষতা বাড়ার জন্য ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট, মানে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, তারপর হিসাবরক্ষণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলোর ব্যাপারে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। এই প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে দিন দিন কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জটিল হয়ে যাচ্ছে। এই জটিলের ভেতরে যদি আমরা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত না করি, যদি তাঁদের স্কিল ডেভেলপ না করি, তাহলে কিন্তু লাভ হবে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূল কথা আর্থিক ব্যবস্থাপনা, হিসাবরক্ষণ, জবাবদিহি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ লাগবে। না হলে কিন্তু কোনো লাভ হবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক দুর্নীতি হচ্ছে, সেগুলো অনুসন্ধান করা, তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেক দীর্ঘসূত্রতা। এটা আমরা দেখতে পারি যখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ব্যবস্থা নেয়। আমরা দেখছি, তাদের তদন্ত করতে অনেক সময় লাগছে। কিন্তু তদন্ত করে সুষ্ঠু হয় না। কোর্টে যেতে দেরি হয়। কোর্টে গেলে মামলাগুলো খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এসব দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকার থেকে যে এগুলো করছে না, তা নয়; বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে তারা কাজ করেছে। ঠিক এই সময় না, কিন্তু কয়েক বছর আগে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেখানে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষ সরকারি কর্মকর্তা এবং আরো কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তাঁরা কতগুলো সাজেশন দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলো কী হলো আমরা কেউ জানিই না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে সরকারের পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট একটা আছে, ওটা একটা অ্যাকশন প্ল্যান করেছিল। সেই অ্যাকশন প্ল্যান সম্পর্কে তেমন কিছু এখনো জানি না। আবার পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট রিফর্ম স্ট্যাটিস্টিকসও করা হয়েছিল ২০১৬ থেকে ২০২১; এগুলোর কী হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানি না। তথ্য ব্যবস্থাপনাটা ঠিক না হলে কী কাজ করছে সেটার সম্পর্কে জানা যায় না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারপর এখন আমরা যেটা দেখছি, সরকারের এখন যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, তার মধ্যে একটা সরকারের রেভিনিউ; মানে রাজস্ব আয় এবং ব্যয়ের ব্যাপারটা। রাজস্ব আয়-ব্যয়ের ট্যাক্স জিডিপির সময় বহু বলা হয়েছে। রেভিনিউটা যথাযথ করছে কি না, সেটা দেখা দরকার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেকটা বড় বিষয় হলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি। সেটার ব্যাপারে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সরকারের যে প্রজেক্টগুলো হয়, বেশির ভাগ দেখা যায় সময় ব্যয় হয়। সময় বেশি নেয়। ব্যয় হয়ে যায় বেশি। সেগুলো মনিটর করা হয় না। রাস্তার কোয়ালিটি বলি, ব্রিজের কোয়ালিটি বলি, সেখানে যথেষ্ট দুর্বলতা আছে। সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যয় হলে সুনির্দিষ্টভাবে দেশের ও জনগণের উপকার হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেকটা দুর্বলতা আছে ব্যাংকিং সেক্টরে। বা আর্থিক সংস্থার এখানে আছে। ব্যাংকিং সেক্টরে জনগণের টাকা নষ্ট হচ্ছে। সেগুলো নিয়ে কিন্তু কোনো রকম আওয়াজ হচ্ছে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখানে এই প্রসঙ্গে বলা ভালো, এই জিনিসগুলো করতে হলে সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও আর্থিক খাতের অনিয়ম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেটা নিয়ে যথেষ্ট সংস্কার ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আইনের যেটা সংশোধন করার সেটাও কিন্তু খুব ভালোভাবে হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আইএমএফ সম্প্রতি ব্যাংকিং সেক্টর, আর্থিক খাত, ফিন্যানশিয়াল ইনস্টিটিউশন ও ফরেন এক্সচেঞ্জের ব্যাপারে অনেক পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলোর কিন্তু রিফর্ম দরকার। এটা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। রিফর্ম বলতে আমি বলছি আদ্যোপান্ত সব বদলিয়ে দেওয়া। কিছু জায়গায় সুনির্দিষ্ট কিছু সংস্কার আনা প্রয়োজন। ব্যাংকিং আইন, তারপর ফিন্যানশিয়াল, তার নন-ব্যাংক ফিন্যান্স রেজিস্ট্রেশন আইন, ইনস্যুরেন্স কম্পানির আইন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলোর যে কিছু কিছু রিফর্ম এবং এগুলোর বাস্তবায়ন করা। যদিও আইএমএফের চাপে কিছু কিছু হচ্ছে কিন্তু এগুলো যথেষ্ট নয়। আইএমএফের চাপে নয়; বরং আমাদের নিজস্ব তাগিদে আমাদের এগুলো করতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের যেটা দরকার, আমাদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, তাদের যথেষ্ট দক্ষতা ও জবাবদিহি যদি না থাকে এখানে। এনবিআরের বিশেষ একটা ভূমিকা আছে। ট্যাক্স আদায় ঠিকমতো হচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের ভূমিকা আছে। এটা কম্পানি, স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেট, পুঁজিবাজার, শেয়ার মার্কেট দেখে। সেখানে কিন্তু আর্থিক ব্যবস্থাপনা আমার মনে হয় সুষ্ঠু নয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সরকারের সময়ে ইতিবাচক দিক যেটা সেটা হলো, ফিন্যানশিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) করেছে, এটা ভালো। কিন্তু এটাও ঠিক খুব ভালোভাবে যে কাজ করছে প্রতীয়মান হয় না। কারণ ক্যাপিটাল মার্কেট, পুঁজিবাজার নিয়ে নানা রকম কারসাজি হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতএব সব শেষে আমি বলব যে সামনে এগিয়ে যেতে হলে চ্যালেঞ্জগুলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ফিন্যানশিয়াল সেক্টর খাতকে যদি আমরা টেকসই না করি, তাহলে আমাদের আর্থিক ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি বা সামাজিক উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আমরা ভালো করতে পারব না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আমি সরকারি বাজেটের বিভিন্ন দিকের যে আর্থিক খাত সেগুলোতে গেলাম না আজকের নিবন্ধে; সেগুলো তো আছেই, সরকার কিভাবে সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা দেয়, কোথায় কিভাবে দেয়, না দেয়; সেগুলো সার্বিক গভর্ন্যান্স ট্রানফারেন্সি, অ্যাকাউন্টেবিলিটি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহির মধ্যেই আসে। বিশ্বে সর্বজনীন রোল আছে। অ্যাক্সেপটেবল রোল আছে; সেগুলো পালন  করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক; অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p> <p> </p>