<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪ অক্টোবর এক সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় পৌঁছেন এবং সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা ত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর পর তাঁরা বিমানবন্দরেই কিছু সময়ের জন্য এক একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। এরপর তাঁদের নেতৃত্বে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করার আগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিব  রাজাক বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই বাংলাদেশে কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম সফর।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আলোচনায় বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রাধান্য পায়। উভয়ের স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মী প্রেরণ, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় রোহিঙ্গা সমস্যা উত্থাপিত হলে মালয়েশিয়া এটি সমাধানের জন্য আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং যৌথ কমিশনের আগামী বৈঠক দ্রুত অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেন। উভয় সরকারপ্রধান কৃষি, জ্বালানি, শিক্ষা, হালাল অর্থনীতি, সেমিকন্ডাক্টর, ব্লু ইকোনমি, বিজ্ঞান উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা এবং যুব উন্নয়ন খাতে নতুন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় কোনো চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা খুবই কম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/07-10-2024/2/kalerkantho-ed-1a.jpg" height="306" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/07-10-2024/2/kalerkantho-ed-1a.jpg" style="float:left" width="350" />দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর উভয় নেতা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ওই সম্মেলনে এ বছরের মে মাসের মধ্যে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়। উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রথম ধাপে সাত হাজার জনের যাওয়ার উদ্যোগ দ্রুত নেওয়া হবে এবং সব সন্তোষজনক হলে বাকিদেরও ক্রমান্বয়ে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তদানীন্তন সরকার আটকে পড়া ওই কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি। অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণে কারসাজি করে এমন সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার বলেন, তাঁরা পুরো অভিবাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তথাকথিত এজেন্সিগুলোকে কঠোরভাবে নীতিমালা মেনে চলা উচিত, নয়তো তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়া যেন বাংলাদেশ থেকে আরো কর্মী নেয় সে ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করা হয়। মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিরা সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় গমনের ক্ষেত্রগুলো স্বচ্ছ ও সহজ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থনীতি সংস্কার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কর্মসূচিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতার অনুরোধ জানানোসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু ইত্যাদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া তিনি আসিয়ানের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে সমর্থনের আহবানও জানান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা জানি, চলতি বছরের জুন মাস থেকে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। আমাদের গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে, বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৩ জন কর্মীকে অনুমতি দেয়, যাঁদের মধ্যে চার লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জন কর্মীকে বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও সাত হাজার জনের উড়োজাহাজের টিকিট এবং ৯ হাজার ৯৭০ জনের নিয়োগকর্তা থেকে প্রয়োজনীয় নথি না পাওয়ায় যাওয়া আটকে যায়। মূলত কর্মীদের অভিবাসনপ্রক্রিয়াটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করত ১০০ এজেন্টের একটি সিন্ডিকেট। মালয়েশিয়ায় যেতে বাংলাদেশ সরকার কর্মীপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রক এবং এজেন্সিগুলো কর্মীপিছু সাড়ে চার থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত নিত বলে জানা যায়, যদিও একটি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুযায়ী মালয়েশিয়ায় যেতে একজন বাংলাদেশি কর্মীকে গড়ে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২২ আগস্ট ২০২৪ এই পত্রিকায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলবে কি?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয়তে আমি যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, এজেন্টকে দেওয়া তাঁদের অর্থ কিভাবে ফেরত পাবেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলাম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্মীরা কি এজেন্সিকে পরিশোধিত সব টাকা ফেরত পাবেন? তাঁরা কিভাবে প্রমাণ করবেন যে কত টাকা তাঁরা এজেন্সিকে দিয়েছেন? তাঁদের কাছে কোনো প্রমাণ (টাকা প্রদানের রসিদ) আছে বলে মনে হয় না। কোনো প্রমাণ না থাকলে তাঁদের মৌখিক দাবির সত্যতা এজেন্সিগুলো কি মেনে নেবে? যেহেতু সম্পূর্ণ অর্থই নগদ পরিশোধ করা হয়েছে, তাই ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের রসিদও কর্মীদের কাছে থাকার কথা নয়। আর এজেন্সিগুলো স্বীকার না করলে সরকারের পক্ষে সেই অর্থ আদায় করা কখনোই সম্ভব হবে না। তাহলে প্রায় ১৭ হাজার কর্মী কি তাঁদের টাকা আর ফেরত পাবেন না? উল্লেখ্য, সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা হলেও প্রত্যেককে চার থেকে ছয় লাখ টাকা দিতে হয়েছে এজেন্সিকে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় একসময় জানিয়েছিল যে ৭০ শতাংশ কর্মীর টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, টাকা ফেরতের হার মাত্র ২৫ শতাংশ। কর্মীদের কথায় ভিটা, জমি ও গরু বিক্রি করে এজেন্টকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত দিলেও ফেরত দেওয়া হয়েছে শুধু সরকার নির্ধারিত টাকা। বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য সরকার কি কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করতে পারবে না? এসব গরিব মানুষকে এতগুলো টাকা কি এভাবেই গচ্চা দিতে হবে? এর একটি গ্রহণযোগ্য বিহিত করা প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মীদের যদি মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যায় অর্থাৎ তাঁদের যাওয়ার ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকার সম্মতি প্রদান করে, তাহলে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক. যাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ওই টাকা (যা সরকার নির্ধারিত) পুনরায় সংশ্লিষ্ট এজেন্টের কাছে জমা দিয়ে মালয়েশিয়ায় যাবেন; খ. যাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি, তাঁদের সংশ্লিষ্ট এজেন্ট মালয়েশিয়ায় পাঠাবে; গ. যদি কোনো এজেন্টের হদিস না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে সরকার তাঁদের পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ঘ. এসব কর্মী পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা সম্পর্কে যাচাই করে দেখবে, যাতে সেখানে পৌঁছে আমাদের কর্মীরা কর্মহীন হয়ে না পড়েন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সর্বোপরি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে যদি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজারটি খোলা যায়, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে। আর সে পদক্ষেপ যত দ্রুত নেওয়া যায়, ততই মঙ্গল। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের শ্রমিক দরকার এবং তাঁদের প্রতি যেন আধুনিক দাসের মতো আচরণ করা না হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিষয়টি থেকে স্পষ্ট যে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। আর সেই চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় আমাদের অভিবাসী কর্মীদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টির প্রতিও নজর রাখতে হবে, যাতে তাঁদের প্রতি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দাসের মতো আচরণ করা না হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। আমরা আশাবাদী, মালয়েশিয়া সরকার বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ থেকে অচিরেই কর্মী নেওয়া শুরু করবে। তবে ভবিষ্যতে আমাদের কর্মী পাঠানোর সেই পদ্ধতিটি যেন সিন্ডিকেটমুক্ত, স্বল্প অভিবাসী ব্যয় এবং কর্মীবান্ধব হয় সে বিষয়টি অবশ্যই উভয় পক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মালয়েশিয়ায় আমাদের কর্মী পাঠানোর ইতিহাসের বদল দেখতে চাই।  </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব</span></span></span></span></p>