<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটই খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির মূল কারণ। বিগত ১৫ বছরে প্রথমে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের নামে-বেনামে ব্যাংকঋণের মাধ্যমে অর্থ লুটপাট, পি কে হালদার, এস আলম গ্রুপ, দরবেশখ্যাত এফ সালমান রহমানের ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে লুটপাট, অর্থপাচার, অর্থ কেলেঙ্কারি সর্বকালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাঁদের কারণেই ব্যাংকগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা মোট ঋণ স্থিতির ১২.৫৬ শতাংশ। এ সময় ব্যাংক খাতের মোট ঋণের স্থিতির পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে মোট ঋণের স্থিতির পরিমাণ তিন লাখ ১২ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ দুই হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩২.৭৭ শতাংশ। রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩.১১ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের গড় হার ৭.৯৪ শতাংশ। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি বছরের জুন ২০২৪ পর্যন্ত মোট আদায়যোগ্য ঋণের ব্যালান্স ১২ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৯ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ ন্যাশনাল ব্যাংকের। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির মোট বিতরণের ৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, দেশের পদ্মা ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পুরোটাই খেলাপি ঋণ। ব্যাংক তিনটির খেলাপি ঋণের হার যথাক্রমে ৯৬ শতাংশ, ৮৫ শতাংশ, ৮৯ শতাংশ। এবি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩০.৯৫ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/07-10-2024/2/kalerkantho-ed-1a.jpg" height="275" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/07-10-2024/2/kalerkantho-ed-2a.jpg" style="float:left" width="350" />যে চার-পাঁচটি পরিবার ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের ঋণকে বিধিবহির্ভূতভাবে নবায়ন করছে। সেই প্রক্রিয়ায় সময়সীমা ১০ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরো অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় খেলাপি ঋণী এস আলম গ্রুপ ও বেক্সিমকো থেকে ঋণ আদায় করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিসিভার নিয়োগ করে তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। ১০-১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন পর্ষদ গঠিত হয়েছে। আলোচিত দুই ব্যবসায়ীর ব্যাংকের শেয়ারগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বে রয়েছে। এগুলো বিক্রয় করে আমানতকারীর টাকা পরিশোধ করা হবে। শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের কারণে দেশটির সরকারের পতন হয়েছিল। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় জনগণের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সবাই অবগত গোটা ব্যাংকিং সেক্টর চার-পাঁচটি পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে যায়। অর্থ মন্ত্রণালয়, ব্যাংকিং সেক্টর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের অনুসারীদের নিয়োগের মাধ্যমে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়ে যায়। বেশির ভাগ অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়। তাদের কারণে ১০টি ব্যাংক এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। ব্যাংকগুলো চরম তারল্য সংকটে পড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের তারল্য সংকট কাটানোর লক্ষ্যে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করার বৃথা চেষ্টা করে গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছেন। প্রথমত সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে সরবরাহ করা হবে না। তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে ১০টি সবল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্বল ব্যাংকগুলোতে তারল্য সহায়তা হিসেবে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে সবল ১০টি ব্যাংক। বিষয়টি সার্বিক তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ব্যাংকগুলোতে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়, কোনো ব্যাংক চাইলে ঋণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা থাকবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ওই সভায় উপস্থিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হয়তো আমরা দেখব কী করা যায়। অপশনটা এ মুহূর্তে খোলা আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ মুহূর্তে এ অপশনটা এক্সারসাইজ করতে চাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে, হয়তো কিছু ব্যাংক বেরিয়ে আসতে পারবে এর মধ্যে দিয়ে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি মূলধনের জায়গায় ঘাটতি রয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ধরনের ব্যাংকগুলোকে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। দুটি ব্যাংক এখনো অপেক্ষমাণ অবস্থায় আছে। তারা আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আশা করা যাচ্ছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোর এ প্রক্রিয়ায় সংকট কেটে যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এরই মধ্যে দুর্বল চারটি ব্যাংক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে মোট ৯৪৫ কোটি টাকা। সহায়তাকারী ব্যাংক হলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে তারল্য সংকট নিরসনের কারণে কিন্তু মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। অতীতে টাকা  ছাপানোর কারণেই মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে এখন থেকে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হবে না। খোলাবাজারে  ডলারের দাম ব্যাংকের চেয়ে কম দেখা যাচ্ছে। ডলারের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল। এলসির সংকট কেটে যাচ্ছে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদ আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে। নীতি সুদ হার বাড়ানো হলে ব্যাংকগুলোতে আমানত আরো বৃদ্ধি পাবে। আমানত বৃদ্ধি পেলে বাজারে টাকার প্রবাহ কমে আসবে। এতে মূল্যস্ফীতি কমে আসতে বাধ্য। ব্যাংকগুলোতে আগের তুলনায় রেমিট্যান্সের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মাসে ২৪০ কোটি (২.৪০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা দরে)। প্রতিদিন আসছে আট কোটি ডলার বা ৯৩৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সময় ১০৭ কোটি  ডলার রেমিট্যান্স বেড়েছে অর্থাৎ ৮০ শতাংশ প্রবাস আয় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে সবচেয়ে বেশি প্রবাস আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে, ৪০ কোটি ডলার। এর পরের অবস্থানে আছে অগ্রণী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক। এভাবে রেমিট্যান্স ব্যাংকগুলোতে জমা হলে ডলার সংকট কেটে যাবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমদানি-রপ্তানি ও বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে। ব্যাংকের পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টা এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে। দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থপাচারের বিষয়টি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য, বিশেষ করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে তারা সহযোগিতা করবে বলে দুদক চেয়ারম্যানকে আশ্বস্ত করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আকতারুল ইসলাম বলেন, পাচারের অর্থ ফেরতের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের এমটিএআর টিমের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল তাদের দিক থেকে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তা ছাড়া যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে, সেসব দেশের নথিপত্র তাদের কাছে প্রেরণ করা হলে সব ধরনের সহযোগিতা বিশ্বব্যাংক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরই মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ১২টি দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে প্রতিনিধিদলটির কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেটে দেশের ব্যাংকঋণ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, এ ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হবে। এতে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলো ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করতে পারবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে। ফ্যাসিবাদী সরকার দায়িত্বে থাকার সময় ব্যাংক লুটপাটের কারণে ব্যাংকের ওপর মানুষের আস্থা হ্রাস পেয়েছিল। ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে মানুষ ভয় পেত। অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস থাকায় মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়ে গেছে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের, তবে সময় দিতে হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গভর্নরের এই আশ্বাসে সবাই আস্থা রাখতে শুরু করেছে। তাই দেখা যাচ্ছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখতে কারো দ্বিধা নেই। বর্তমান গভর্নর দায়িত্বে আসার পর দুর্বল ব্যাংকগুলোতে ৮০০ কোটি টাকা আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি যে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে, তা সরকার ব্যাংকের তারল্য সংকটে ব্যবহার করতে পারবে। আমরা এখন বলতে পারি, ব্যাংকিং সেক্টরে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। আমানতকারীদের আস্থা ব্যাংকের প্রতি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">mizannurrahman207@gmail.com</span></span></span></span></p>