<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান বাংলাদেশে টক অব দ্য কান্ট্রি হচ্ছে দুর্নীতি, অপব্যয় ও অনিয়ম। দুর্নীতি দূরীকরণ যে বাস্তবে বেশ কঠিন, তার কিছুটা আভাস মেলে মাননীয় উপদেষ্টাদের কারো কারো কথাবার্তায়। সবাই স্বীকার করছেন কাজটা যত সহজ ভাবা হয়, করাটা ততই কঠিন। প্রথমত, দুর্নীতি দূরীকরণে লিপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার প্রয়োজন এবং তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। হুট করে হয় না। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতিবাজদের আয় ও সম্পদ, দেশে বা বিদেশে, জব্দ করার কাজটিতে আইনি মারপ্যাঁচে দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তৃতীয়ত, সময়ের আবর্তনে সমাজের মন-মানসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মনোভাব আগের চেয়ে অনেক দুর্বল। মতিউর-বেনজীরের মতো লোকদের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেয়াই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে পেতে চায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুব নগণ্য, অথচ একসময় মূল্যবোধ ছিল উল্টো দিকে। এবং চতুর্থত, বাজারে অশুভ প্রতিযোগিতা ও হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এক ধরনের দুর্নীতি। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বাজার তদারকি ও রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য পরাজিত। সামগ্রিক বিচারে বর্তমান সরকারের বক্তব্যে যেসব বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তা হলো অনিয়ম-দুর্নীতির মূলোৎপাটন। প্রায় সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। এর পাশাপাশি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো মোকবেলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর কথাও বলেছেন। তাঁদের সবার প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ, তবে মনে রাখতে হবে যে সদিচ্ছা দুর্নীতি বা অনিয়ম হ্রাসে দরকারি শর্ত মাত্র, যথেষ্ট শর্ত নয়। তাঁদের মহতী উক্তি ও করণীয় যে চোরাবালিতে আটকে পড়তে পারে এবং তা কী কারণে, সে কথা বলব সবার শেষে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই.</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত মনে রাখা দরকার, দুর্নীতি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে নতুন কিছু নয়। বেশির ভাগ ঐতিহাসিক মনে করেন, ব্রিটিশ শাসনের আগে এ দেশে ব্যাপক দুর্নীতি ছিল না। ইংরেজ প্রবর্তিত শাসনব্যবস্থা দুর্নীতির জন্ম দেয়, যদিও তারা নিজেরা দুর্নীতিপরায়ণ ছিল না। চাণক্যের অর্থশাস্ত্রের বয়সও প্রায় দুই হাজার বছর হবে। চাণক্য লিখেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারি কর্মচারীরা দুইভাবে বড়লোক হয় : হয় তারা সরকারকে প্রতারণা করে, অন্যথায় প্রজাদের অত্যাচার করে। জিহ্বার ডগায় বিষ বা মধু থাকলে তা না চেটে থাকা যেমন অবাস্তব ও অসম্ভব, তেমনি সরকারের তহবিল লেনদেন করে একটুকুও সরকারের সম্পদ চেখে না দেখা, জলে বিচরণরত মাছ কখন জল পান করে তা জানা যেমন অসম্ভব, তেমনি নির্ণয় সম্ভব নয় কখন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা তহবিল তছরুপ করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="দুর্নীতির বেড়াজাল ও সংস্কার" height="290" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/25-10-2024/Untitled-1 (1).jpg" style="float:left" width="321" />শুধু সরকারি কর্মচারীরাই দুর্নীতি করেন এমন কথা নেই, বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও প্রতারণা করা, ভেজাল মেশানো, সিন্ডিকেট গড়ে তোলা ইত্যাদির মাধ্যমে দুর্নীতি বিকাশ লাভ করে। আবার রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতির ছাপ লক্ষ করা যায়। ভারতে জনৈক রসিক ব্যক্তি বলেছেন, রাজনীতিবিদরা ও ডাকাতরা একই ধরনের কাজ করে থাকে, তবে উল্টো পরম্পরায়। ডাকাতরা প্রথমে ডাকাতি করে, তারপর জেলে যায়; রাজনীতিবিদরা প্রথমে জেলে যান, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ডাকাতি করেন। তা ছাড়া দুর্নীতির আসল হোতা প্রশাসনিক দুর্নীতির কথা না-ই বা বলা হলো। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন. </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্নীতি উন্নয়নের জন্য সহায়ক এমনতর তত্ত্ব এককালে সমাজবিজ্ঞানীদের ধারণায় শিকড় গেড়েছিল। যুক্তি হিসেবে দাঁড়াল এই যে ঘুষের টাকায় লাল ফিতার দাপট দূর করা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত হাতে পাওয়া সহজ। কেননা ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না, বাবুও কাবু হয় না। ফেলো কড়ি, মাখো তেল যেখানে বিধিবদ্ধ নিয়ম, সেখানে পদে পদে ঘুষের ভূমিকা সহজে অনুমেয়। অবশ্য এই প্রতিপাদ্যটি অসার বলে প্রমাণ করেছেন পরবর্তী গবেষকরা। সাম্প্রতিক গবেষণায় দুর্নীতির চার ধরনের কুফল চিহ্নিত করা হয়েছে : সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট, প্রকটতর সামাজিক বৈষম্য এবং নিরুৎসাহ বৈদেশিক বিনিয়োগ। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বলয়ে, বিশেষত রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্নীতির বিরূপ প্রভাব নিয়ে বিস্তর আলোচনা আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পত্রপত্রিকায় বিগত সরকারের রাঘব বোয়ালদের আয় ও সম্পদের হিসাব দেখে চোখ যেন চড়কগাছ। শতকোটি টাকার নিচে সহায়-সম্পদ এমন একজনও নেই। ধরা পড়া কিংবা লুকিয়ে থাকা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশ সেবক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দের কেউ কেউ হাজার কোটি টাকার ওপর সম্পদ গড়েছেন। আমলাদের কথা আপাতত বাদ দিলাম প্রয়াত কবি অসীম সাহার কবিতা দিয়ে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিছু কিছু আমলা আছে/তাদের বড়ো গামলা আছে/তাতেই বহন করেন তারা মাল।/তাদের অনেক পাওয়ার আছে/অনেক কিছু খাওয়ার আছে/কুমির এনে তারাই কাটেন খাল।/কেউ বা আবার খোদার খাসি/কেউ বা আবার বাঘের মাসি/কেউ বা আবার বিক্রি করেন দেশ।/কেউ বা আবার মিষ্টি হেসে/পাচার করেন সব বিদেশে। দেশটা তখন হয় যে পুরো শেষ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার.</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার আসা যাক করণীয় নিয়ে কথায় অর্থাৎ দুর্নীতি নির্মূলে পদক্ষেপ প্রসঙ্গে। একসময় ভাবা হতো বেতন কম বলে কেউ ঘুষ খায়। তবে বেতন বৃদ্ধি যে দুর্নীতি রোধে মোক্ষম অস্ত্র নয় তার প্রমাণ বাংলাদেশ। দফায় দফায় বেতন ও দুর্নীতি পাল্লা দিয়ে বাড়ে। তা ছাড়া কত দিন আপনি বেতন বাড়াবেন, যখন দুর্নীতির কারণে রাজস্ব আহরণ নিম্নমুখী? তার মানে এই নয় যে প্রশাসনে সৎ কর্মচারী নেই; আছেন, তবে দুর্নীতিপরায়ণ কর্মচারীর দাপটে তাঁরা শান্তিতে থাকতে পারেন না। মুদ্রার জগৎ সম্পর্কে যেমন গ্রেসাম বলতেন, খারাপ মুদ্রা ভালো মুদ্রাকে তাড়িয়ে দেয়, ঠিক তেমন এক অবস্থা প্রশাসনেও। খারাপ কর্মচারী/কর্মকর্তার দাপটে ভালোদের বিদায় ঘণ্টা বাজে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্নীতি হ্রাসে সর্বপ্রথম দরকার দুর্নীতিপরায়ণদের আইন অনুযায়ী সাজা দেওয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তার মানে আইনের শাসন কায়েম করা। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হংকং, চিলি ও নিউ সাউথ ওয়েলসের অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে আইনের অভাব নেই, যেমন অভাব নেই আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসার ফাঁকফোকরের। সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। মামলাও হচ্ছে, কিন্তু সেই মামলার বিরুদ্ধে আপিল করে তাঁরা আপাতত স্থিতাবস্থার সুযোগ নিয়ে সুদে-আসলে লাভবান হচ্ছেন। তা ছাড়া প্রলম্বিত শুনানি দুর্নীতির জন্য সোনায় সোহাগা। সুতরাং বিচারিক আদালতের বা বিচারব্যবস্থার আমূল সংস্কার সময়ের দাবি। এটি করতে পারলে নির্ভেজাল গণতন্ত্রও আলোর মুখ দেখবে। বলা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সব সমাজে সফল হয় না। শুধু যেসব দেশে প্রশাসনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন, সেসব দেশে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব। মাঝে মাঝে অভিযান করে দুর্নীতি তাড়ানো সম্ভব নয়, আইন হলো মাকড়সার জালের মতো, যা ছোট পতঙ্গদের আটকাতে পারে, বড় পোকাদের ঠেকাতে পারে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঁচ. </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারের সদিচ্ছা বাস্তবায়ন করতে হলে সর্বপ্রথম সরকারকে সব ব্যবসা থেকে হাত গোটাতে হবে। মার্কিন সাংবাদিক উইল রজারসের ভাষায়, সরকারের কাজ হচ্ছে সরকারকে ব্যবসা-বাণিজ্যের বাইরে রাখা, যদি না ব্যবসায়ীরা সরকারের সাহায্যের প্রয়োজন বোধ করেন। একমাত্র একচেটিয়া ব্যবসা ছাড়া সরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লাভের মুখ দেখেছে এমন নজির খুব কম। সরকারি ব্যাংক কিংবা বিমানের ব্যর্থতার কথা কে না জানে। তার পরও বলতে হয়, দুর্নীতি নির্মূলের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি সরকারি ব্যবসা সংস্থায় একজন ন্যায়পাল নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্বিতীয়ত, দুর্নীতিবিষয়ক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আলাদা বেঞ্চ বা অন্য কোনো উপায় বের করতেই হবে। আগেও বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজদের অন্যতম প্রধান ভরসাস্থল হচ্ছে বিচার বিভাগীয় দীর্ঘসূত্রতা। তৃতীয়ত, সার্বিকভাবে ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ব্যতীত; যথা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রশাসনিক, রাজস্ব, আমদানি-রপ্তানি, এমনকি নির্বাচনপদ্ধতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার ব্যতীত দুর্নীতি নির্মূল অধরা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। আর এসব সংস্কারের বিরুদ্ধে যাঁরা জোট পাকিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করেন, তাঁদের মধ্যে আছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও আমলা। সরষের ভেতর ভূত রেখে ভূত তাড়ানো যেমন অসম্ভব, তেমনি এসব সংস্কারবিরোধী গোষ্ঠী ক্ষমতায় কিংবা ক্ষমতার আশপাশে থাকলে দুর্নীতি নির্মূল অভিযান ভেস্তে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, প্রযুক্তিনির্ভর কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রসার দুর্নীতি নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এবং সব শেষে প্রচণ্ড প্রকার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ব্যতীত বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল অত সহজ হবে বলে মনে হয় না। মোটকথা, একমাত্র সুশাসন পারে দুর্নীতিমুক্ত এক বাংলাদেশ উপহার দিতে। এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন থাকতে হবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পরতে পরতে। জনগণ যাতে সরকারকে বলতে পারে, হুজুর আমরা আপনার কাছে কোনো উপকার চাই না, শুধু মেহেরবানি করে দুর্নীতিবাজদের সামলান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছয়.</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি দুর্নীতি ও অপব্যয় মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে সরকার বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। আমরা আশা করব, আগামী সাত-আট মাসের মধ্যে সংস্কারের সুপারিশ মূল্যায়নের জন্য খুলে দিয়ে পুরো প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হবে। কথায় বলে, জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড, তেমনি সংস্কার ডিলেইড, সংস্কার ডিনাইড। এর অর্থ দাঁড়ায় যেই লাউ সেই কদু। এমনটি হওয়ার নয়। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> লেখক : অর্থনীতিবিদ, সাবেক উপাচার্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>