<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লোকে গণতন্ত্র চায় এবং স্বৈরাচার পছন্দ করে না, তা সেই স্বৈরাচার সামরিক, তত্ত্বাবধায়ক, অন্তর্বর্তীকালীন কিংবা নির্বাচিত যে ধরনেরই হোক না কেন। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যথার্থ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিল। গণতন্ত্র জিনিসটা আসলে কী, তা বোঝা মুশকিল এবং সাধারণভাবে এটা বলা অসংগত নয় যে গণতন্ত্র কী নয়, তা বলা যতটা সহজ; গণতন্ত্র কী, তা বলা ততটা সহজ নয়। তার একটা কারণ গণতন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে, আমরা শাসিত হয়েছি নানা রকম স্বৈরাচারের দ্বারা, যা কখনো এসেছে প্রকাশ্যে, অন্য সময়ে ছদ্মবেশে। তা ছাড়া ওটাও সত্য যে আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থায় যথার্থ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তবে গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায় না, তা আমরা বিলক্ষণ জানি। সেটাও জেনেছি অভিজ্ঞতা থেকেই। যেমন আমরা জানি গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠের একচ্ছত্র আধিপত্য নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভ ও দাপটে জনগণের দুর্দশা যেকোনো স্তরে গিয়ে পৌঁছতে পারে, প্রতিটি সরকারের শাসনামলে সে ব্যাপারে ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। লোকে ওই শাসনকে প্রত্যাখ্যান করে এবারের সরকারের আগমনে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিল। এই সরকার যদি নিরঙ্কুশ ভেবে, সেই বলে বলীয়ান হয়ে তারা যদি আগের শাসকদের মতোই আচরণ করে, তবে কেবল যে জনগণের ক্ষতি হবে তা নয়, যাঁরা এখন দেশ শাসন করছেন, তাঁদের জন্যও যে ব্যাপারটা বিপজ্জনক হবে, তাতে সন্দেহ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণতন্ত্রের জন্য একটা অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে স্থানীয় শাসন। স্থানীয় শাসনের অর্থ হলো ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। আর এই বিকেন্দ্রীকরণের মূল কথাটা হলো তৃণমূলে স্থানীয় মানুষরাই নিজেদের দেখভাল করবে, কর্তৃত্ব থাকবে তাদের হাতেই; কেন্দ্রীয় শাসন অবশ্য থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে, তবে সে শাসনের পরিধি যতটা খাটো হবে, সমাজের ততটাই উপকার ঘটবে। স্থানীয়ভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে উঠবে, স্থানীয় লোকজন যতটা সম্ভব নিজেদের দায়িত্ব নিজেরাই নেবে। কিন্তু শাসনক্ষমতার এই বিকেন্দ্রীকরণে এ পর্যন্ত কোনো সরকারই উৎসাহ দেখায়নি। অথচ আমাদের সংবিধানের ৪৯, ৫৯ ও ৬০ ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা আছে যে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারি কর্মচারীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অধীনেই থাকবেন। বলা আছে, স্থানীয় শাসন স্থানীয় মানুষদের স্বার্থের তদারকি করবে; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বও হবে তাদেরই। স্থানীয় সরকার কর আরোপ করা এবং নিজস্ব তহবিল রক্ষণাবেক্ষণের অধিকারও পাবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/05-11-2024/2/kalerkantho-ed-1a.jpg" height="316" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/05-11-2024/2/kalerkantho-ed-1a.jpg" style="float:left" width="350" />সংবিধানের অনেক কিছুই কাটাছেঁড়া করা হয়েছে, তবে স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত বিধানগুলো কিন্তু এখনো অক্ষতই রয়ে গেছে। তদুপরি বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতিতেই অবাধ গণতন্ত্রের অঙ্গীকার রয়েছে। তাই আশা করা গিয়েছিল যে দিনবদলের হাওয়া ওখান থেকেই বইতে শুরু করবে। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আশা করা হয়েছিল। আশা করা শুধু অপ্রত্যাশিত নয়, অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জকও বটে। এমনিতেই রাজধানী অতিকায় হয়ে উঠেছে, গ্রামে কর্মের সংস্থান নেই, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক; গ্রাম শুকিয়ে যাচ্ছে, পানির অভাবে তো বটেই, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের অভাবেও। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাজে ভালো দৃষ্টান্তের বড়ই অভাব। সে দৃষ্টান্ত সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না, পাওয়া যাচ্ছে না শাসক শ্রেণির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারো কাছ থেকেও। দিনবদলের দায়িত্ব তাই তাঁদেরই নিতে হবে, যাঁরা দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক। মুশকিল হলো তাঁরা সংগঠিত নন। জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়ালে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়াটা অবধারিত। এতে বোঝা যায় যে তাঁদের পথটা টাকা খরচ করে এবং মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার নয়, তাঁদের পথটা হলো আন্দোলন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেকটা কেন, পুরোপুরিই বলতে পারি যে আমরা এখন সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আছি। সেই সরকারের উপদেষ্টা মহোদয়রা এতসব মস্ত মস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেগুলোর পরিণতির কথা ভাবলে এখন তাঁদের নিজেদের পক্ষেই হাস্যসংবরণ কঠিন হওয়ার কথা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাপার হাস্যপরিহাসে সীমাবদ্ধ নেই, কথাগুলো তাঁদের পিছু পিছু ঘুরছে, এমনকি তাড়া করবে বলেও ধারণা জন্মাচ্ছে। যেমন তাঁরা বলেছিলেন দুর্নীতিকে নির্বংশ করে তবেই ছাড়বেন। এখন দেখা যাচ্ছে দুর্নীতি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেবল যে পরিমাণে তা নয়, গুণগতভাবেও। বলেছিলেন, নষ্ট রাজনীতির চরিত্রটাই আগাপাশতলা পাল্টে দেবেন। আমরা দেশবাসী এখন তাঁদের বর্তমানে প্রতিনিয়ত টের পাচ্ছি যে রাজনীতি তো বদলায়ইনি, বরং আরো বেশি সাবেকি রূপ ধারণ করেছে। বলা হয়েছিল, তাঁরা আর যা-ই করুন তাঁদের ওপর অর্পিত মহান দায়িত্ব পরিত্যাগ করবেন না। তাঁরা এমন ব্যবস্থা করে রেখেছেন, যেটা আগের তুলনায় একচ্ছত্র হয়ে পড়েছে। অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র নেই, এখন যখন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণতান্ত্রিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলা হলেও বাস্তবে তার আলামত দেখা যাচ্ছে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে এখন কথাবার্তাগুলো যে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সেটা সত্য। বাকস্বাধীনতা আবার ফেরত এসেছে। দেখতে পাচ্ছি যে সরকারের উপদেষ্টারা একেকজন একেক ধরনের কথা বলছেন, আবার এক উপদেষ্টা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন। কোনো অসুবিধা নেই। তবে সরকারের বাইরের লোকজনও যে নির্বাক হয়ে থাকবে, সেটা কিন্তু নয়। তারাও গণতান্ত্রিক বাকস্বাধীনতার সুযোগ পর্যাপ্ত পরিমাণে হলেও চাইবে। এবং না পেলে সরকার বিরোধিতায় পিছপা হবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে যেটা প্রয়োজনীয়, তা হলো দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কথা বলা দরকার বুঝেসুঝে এবং দায়িত্ব নিয়ে। কথা উঠেছে পতিত সরকারের রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার। এরই মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাও হয়েছে। সরকারপক্ষের কেউ কেউ দিব্যি বলছেন দেশে গণতান্ত্রিকতা ফিরিয়ে আনতে এর বিকল্প নেই। ব্যাপারটা যদি অতটাই হালকা হতো, তাহলে আমাদের জন্য বলার কিছু থাকত না, কিন্তু তা তো নয়। হ্যাঁ, অতিশয়োক্তিতে আমাদের বিলক্ষণ অভ্যাস আছে, ছোট জিনিসকে বড় করে তুলতে আমরা কার্পণ্য করি না। কিন্তু এই নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রপতির অপসারণ থেকে অনেক বিতর্কিত উদ্যোগ কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপার নয়। সরকারের উদ্যোগগুলোকে উপেক্ষা করার উপায় কী? গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি বিফলে গেলে সত্যি সত্যি বাংলাদেশের জন্য একটা জীবন-মরণ সমস্যার আকার নেবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবার অনেক উঁচু বিষয়কেও নিচু করে ফেলা হয়। যেমন ধরা যাক ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের ব্যাপারটা। একটি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রকাশনায় দেখলাম বলা হয়েছে, বাহাত্তরের সংবিধানে ওই দুটি মূলনীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল; প্রথমটি এসেছিল ভারতের চাপে, দ্বিতীয়টি সোভিয়েত ইউনিয়নের, যে জন্য মূলনীতি দুটির কোনোটিই টেকেনি। এ রকমের কথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী যারা, তারা অহরহ বলে থাকে, বলবেও; মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৌলিক বিষয় যে ছিল ওই দুটিতে, তাতে তো কোনো সন্দেহ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের প্রসঙ্গ যখন উঠলই, তখন ছোট করে হলেও জোর দিয়েই বলতে হয় যে এই দুটি মূলনীতি কারো করুণা বা চাপ থেকে আসেনি, এসেছে মুক্তিযুদ্ধের একেবারে ভেতর থেকেই। ধর্মনিরপেক্ষতা না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিটাই থাকে না এবং সমাজতন্ত্রকে (যার অপর নাম প্রকৃত গণতন্ত্র) লক্ষ্য হিসেবে সামনে না রাখলে পরিণতি কী দাঁড়ায় সেটা তো গোটা পুঁজিবাদী বিশ্বের অভিজ্ঞতাই বিলক্ষণ বলে দিচ্ছে এবং আমরাও একেবারে মর্মে মর্মেই টের পাচ্ছি। সংবিধানে তাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি করলে আর যা-ই হোক, অপ্রয়োজনীয় কথা বলা হবে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছি, এখনো দেখছি। সেই স্বপ্নকে বাস্তবিক করে তোলার জন্য কথা কিছু বলা হয়েছে, কিন্তু ছিল বেশির ভাগই হালকা ও আন্তরিকতাহীন বক্তব্য। বাগবিস্তারের বিপরীতে আসল কাজ করা হয়নি। নানা ধরনের কথার ভেতর দিয়ে আসলে বিভ্রান্তিই শুধু বৃদ্ধি পেয়েছে, কাজের দায়িত্বটা হারিয়ে যেতে বসেছে। কথা চালাচালি চলুক, সেটা করার লোকের অভাব হবে না, কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপায়ণের দায়িত্বের কথা যেন কিছুতেই আমরা না ভুলি। আর যেন না ভুলি এই সত্য, যে কাজটা কথকতার দ্বারা সম্ভব হবে না, তার জন্য ধারাবাহিক ও সুসংহত আন্দোলনের প্রয়োজন হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেক ত্যাগ ও আত্মত্যাগের ক্ষমতার বদলে আশা ছিল দিনবদলের, সেটা ঘটছে কি? না, ঘটছে না। এমনকি আওয়াজটা পর্যন্ত ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তা লোকে কি সত্যি সত্যি আশা করেছিল যে দিনবদল ঘটবে? না, করেনি। অতীতের অভিজ্ঞতা তাদের আশাবাদী হতে শিক্ষা দেয়নি। তবে বিগত সরকারের যে দুঃশাসন, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার ও লুণ্ঠনের তৎপরতা ইত্যাদিতে মানুষ এতটাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল যে অন্তত ওই সরকারের খপ্পর থেকে মুক্তির অভিপ্রায়ে দলে দলে গিয়ে হাজির হয়েছিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে। এখন যতই সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে যে দিনবদল ঘটবে না। যে হাওয়া এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে, তা নরম নয়, গরম বটে; আরো যদি গরম হয়, তাহলে মানুষ গভীর হতাশা ও ক্ষোভের ভেতর নিপতিত হবে, এমনটাই আশঙ্কা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p>