<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের মতো রাজনৈতিকভাবে বাদানুবাদপূর্ণ দেশে নির্ভরযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিরপেক্ষতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি সুচিন্তিত প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনসাধারণের আস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে, এই প্রক্রিয়াটি মেধাভিত্তিক নির্বাচন, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক এবং কঠোর জবাবদিহি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দিকে অধিকতর মনোযোগী হওয়া উচিত। একটি নির্ভরযোগ্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সহায়তা করতে পারে এমন একটি কৌশল সম্পর্কে একটি ধারণা এখানে তুলে ধরা হলো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধানের অংশ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">VII </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(নির্বাচন), অনুচ্ছেদ ১১৮(১)-এ বলা হয়েছে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের জন্য একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে, যা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সর্বাধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনের বিধান সাপেক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে (যদি থাকে) নিয়োগ করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তখনকার বিরোধী দলের প্রতিবাদের মধ্যেই এবং রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কোনো আলোচনার আয়োজন না করেই বাংলাদেশের সংসদ, যা ২০১৮ সালের প্রতারণামূলক </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মধ্যরাতের নির্বাচন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর ফলস্বরূপ গঠিত হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি একটি আইন পাস করা হয়, যা প্রায় পাঁচ দশক পর দেশের নির্বাচন কমিশন গঠনের বৈধতা প্রদান করে। নতুন আইনের অধীনে প্রধান ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের জন্য নাম প্রস্তাবের জন্য ছয় সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। আইনটি ২০২৩-২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশের জন্য আইনি রক্ষাকবচ প্রদান করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধান সরকারকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের নির্দেশ করেছিল, কিন্তু সরকার আইনটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য প্রণয়ন করে। হাবিবুল আউয়াল কমিশন, যা স্থানীয় সংস্থা এবং সংসদের জন্য একের পর এক </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতারণামূলক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডামি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নির্বাচন পরিচালনা করেছিল, প্রচলিত আইনের অধীনে একটি অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। এটি ছিল সত্যি একটি হতাশাজনক অভিজ্ঞতা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া যেমন হওয়া দরকার" height="190" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/15-11-2024/00000.jpg" style="float:left" width="311" />অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে একই আইনের অধীনে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠনের দিকে এগোচ্ছে, যদিও একটি নির্বাচন সংস্কার কমিশন নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কারের কাজ চলছে, তবু নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়াই একটি নির্ভরযোগ্য কমিশন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কর্ণপাত করলে, বিশেষত নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রাসঙ্গিক সুপারিশগুলোকে গুরুত্ব দিলে ভালো হতো। দেশ আরেকটি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ্ঞাবহ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কমিশনের প্রত্যাশা করে না, যা জনগণের কোনো আস্থা বা বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বহু স্টেকহোল্ডারভিত্তিক নির্বাচন কমিটি যেভাবে হতে পারে, সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করা যাক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গঠন : বিচার বিভাগ, নাগরিক সমাজ, শিক্ষাবিদ এবং নিরপেক্ষ সংস্থাসহ সমাজের একটি বিস্তৃত্ব অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করা উচিত। একজন সম্মানিত/গ্রহণযোগ্য জাতীয় ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠান, যেমন (অবসরপ্রাপ্ত) প্রধান বিচারপতি/জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বা একটি স্বাধীন জনস্বার্থ সংস্থার উচ্চপদস্থ সদস্য কমিটিকে তত্ত্বাবধান করবেন। সদ্যঃপ্রতিষ্ঠিত অনুসন্ধান কমিটি এই বিবরণকে প্রতিফলিত করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কার্যাদেশ : নির্বাচন কমিটির নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিষ্ঠিত মানদণ্ড অনুসরণের ওপর মনোযোগী থাকার ম্যান্ডেট স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা উচিত এবং কোনো একক রাজনৈতিক দল বা প্রতিষ্ঠানের প্রভাব সীমিত রাখা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জবাবদিহি : কমিটির কার্যক্রম এবং আলোচনাগুলো জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত, নিয়মিত আপডেট এবং প্রকাশিত ফলাফল নিশ্চিত করা উচিত, যাতে প্রক্রিয়াটির প্রতি জন-আস্থা সৃষ্টি হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিদ্ধান্ত গ্রহণ : নির্বাচন কমিটির চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য সদস্যদের মধ্যে একটি সুপারমেজরিটি বা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বচ্ছ নির্বাচনী মানদণ্ড নিশ্চিত করতে যা করণীয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা : জনপ্রশাসন, আইন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বা অনুরূপ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজনীয়তা নির্দিষ্ট করা উচিত। কমিশনারদের জন্য স্বাধীনতার রেকর্ড, সততা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি বা তদারকির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করে এমন মূল যোগ্যতা নির্ধারণ করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্দলীয় রেকর্ড : প্রার্থীদের নিরপেক্ষতার সঙ্গে আপস করতে পারে এমন আর্থিক বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার চেকসহ, দলনিরপেক্ষ কর্মকাণ্ডের একটি যাচাইযোগ্য ইতিহাস থাকা প্রয়োজন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সর্বসাধারণের যাচাই : প্রার্থীদের প্রফাইল জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত, যাতে গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং জনসাধারণ ধারণাগত পক্ষপাত বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কে মতামত প্রদান করতে পারে বা উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রেক্ষাপট যাচাই : সম্ভাব্য পক্ষপাত বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব চিহ্নিত করার জন্য কঠোর প্রেক্ষাপট যাচাই, যার মধ্যে আর্থিক বিবরণ প্রকাশ এবং সততার নিরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, পরিচালনা করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অযোগ্যতা : নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য যাঁদের কাছে পরিচিত দলীয় সম্পর্ক, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ভূমিকা বা গুরুতর স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে, তাঁদের কমিশনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এমন কিছু বিষয় হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনসম্পৃক্ততা : নির্বাচন কমিশন গঠন এবং এর অগ্রাধিকার সম্পর্কে মতামত সংগ্রহের জন্য নাগরিক সমাজ সংগঠন, শিক্ষাবিদ এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জনপরামর্শ, টাউন হল বা প্যানেল আলোচনা আয়োজন করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার : সিলেকশন কমিটির পূর্ণ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়গুলোতে সাংবাদিকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত এবং প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে উৎসাহিত করা উচিত। এমন উন্মুক্ততা পক্ষপাতের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে এবং জন-আস্থা তৈরি করতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংক্ষিপ্ত তালিকা এবং নির্বাচনের ব্যাখ্যা : প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা এবং নির্বাচনের ব্যাখ্যা জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত। এই ধাপটি জনগণকে কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া দেখার সুযোগ দেয় এবং নির্বাচকদের জবাবদিহির মধ্যে রাখে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উন্মুক্ত মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে যা করতে হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনমনোনয়ন পোর্টাল : একটি অনলাইন জনমনোনয়ন পোর্টাল তৈরি করা উচিত, যেখানে জনসাধারণ, বেসরকারি সংস্থা বা পেশাগত সমিতিগুলো সম্ভাব্য কমিশনারদের মনোনয়ন জমা দিতে পারে। এটি মেধার পরিসরকে বাড়াবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবিত মনোনয়নের ঝুঁকি কমাবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাছাই : একটি শক্তিশালী বাছাই প্রক্রিয়া স্থাপন করা উচিত, যা নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা মানদণ্ডের বিপরীতে মনোনয়ন যাচাই করবে। বাছাই প্রক্রিয়াটি নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত ব্যাকগ্রাউন্ড চেক অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনসমক্ষে সাক্ষাৎকার বা শুনানিও নিশ্চিত করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনসমক্ষে সাক্ষাৎকার : চূড়ান্ত প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকার বা শুনানির আয়োজন করা উচিত, যাতে তাঁদের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রতি অঙ্গীকার মূল্যায়ন করা যায়। জনসাক্ষাৎকার প্রার্থীদের নির্বাচনী কমিটি এবং বৃহত্তর জনসাধারণের দ্বারা পরীক্ষার সুযোগ প্রদান করে, যা জবাবদিহির সংস্কৃতি গড়ে তোলে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্টেকহোল্ডার ইনপুট : গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রশ্ন অনুমোদন করা উচিত। এটি প্রত্যেক প্রার্থীর নিরপেক্ষতার সঙ্গে সেবা করার সক্ষমতা সম্পর্কে একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিক দলের সীমিত পর্যবেক্ষণও নিশ্চিত করা দরকার। এর জন্য প্রয়োজন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বহুদলীয় পর্যালোচনা কমিটি : চূড়ান্ত কমিশন প্রার্থীদের পর্যালোচনা করার জন্য সব দলের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি রাজনৈতিক পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা উচিত। তবে কমিটির ভূমিকা পরামর্শমূলক বা অগ্রাহ্যযোগ্য হওয়া উচিত, যাতে প্রক্রিয়াটি দলীয় বাধা থেকে মুক্ত থাকে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বা উপদেষ্টাদেরও ভূমিকা আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরামর্শমূলক ভূমিকা : নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষক বা উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। তাদের অংশগ্রহণ প্রক্রিয়াটিকে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করতে পারে এবং নাগরিকদের এই আশ্বাস দেয় যে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার বৈশ্বিক মান বজায় রাখা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি : যেখানে অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলোর সক্ষমতা সীমিত থাকতে পারে, সেখানে জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক নির্বাচন সংস্থাগুলো কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করতে পারে, যা কমিশনের প্রশাসনিক সততা জোরদার করবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ ও শিক্ষামূলক প্রচারাভিযান চালাতে হবে। এতে কিছু বিষয় নিশ্চিত হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বচ্ছতা : প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া ধাপে প্রচলিত এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে জানানো উচিত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বাস স্থাপন : জনগণকে নিয়মিতভাবে সম্পৃক্ত রাখা উচিত, যাতে তারা প্রক্রিয়াটির সঙ্গে সংযুক্ত এবং আস্থাশীল থাকে। কারণ কমিশনের ওপর আস্থা তাদের প্রক্রিয়াটি বোঝা এবং বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ধরনের স্বচ্ছ, বহু স্টেকহোল্ডার পদ্ধতির মাধ্যমে একটি নির্ভরযোগ্য এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে বাংলাদেশ জন-আস্থা বৃদ্ধি করতে পারে, রাজনৈতিক বিরোধ হ্রাস করতে পারে এবং গণতান্ত্রিক মান বজায় রাখতে পারে। এই পদ্ধতি কমিশনকে তার সততা ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে, যা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা ও দীর্ঘ মেয়াদে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> লেখক : ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা</span></span></span></span></p>