<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে যে কয়েকটি দিবস ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবস অন্যতম। মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি কর্মকর্তা ও সৈনিকরা অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে কর্মরত প্রায় ২৬ হাজার সুপ্রশিক্ষিত বাঙালি কর্মকর্তা ও সদস্য বিদ্রোহ করেন এবং মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেন। এর মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথমে পাঁচটি এবং পরবর্তী সময়ে নব প্রতিষ্ঠিত আরো তিনটি ব্যাটালিয়ন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। জাগ্রত মুক্তিসেনাদের সম্মিলিত আক্রমণে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নাস্তানাবুদ ও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল, তখন কর্নেল (পরে জেনারেল) ওসমানী ও কিছু অসীম সাহসী সামরিক কর্মকর্তা সশস্ত্র বাহিনী গঠনের এক দূরদর্শী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। গণপ্রতিরোধ রূপ নেয় সশস্ত্র যুদ্ধে। সশস্ত্র যুদ্ধের চূড়ান্তক্ষণে গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি কনভেনশনাল বা প্রথাগত যুদ্ধ শুরু করার জন্য ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে জল, স্থল ও আকাশপথে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র এক সমর যুদ্ধের নব সূচনা করে। সে কারণে ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, সেই ভয়াল কালরাতে যখন পাকিস্তানি হায়েনারা নৃশংস গণহত্যা শুরু করে, ঠিক তখনই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ইউনিট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ, আনসার ও মুজাহিদের বাঙালি সদস্যরা। যুদ্ধ ঘোষনা করেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বাঙালি মুক্তিকামী হাজার হাজার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবক। মুক্তির সংগ্রাম রূপ নেয় সশস্ত্র সংগ্রামে। সংগ্রাম তখন এগিয়ে চললেও প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয় একটি সম্মিলিত সংগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বের। সেই প্রয়োজন থেকেই ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমায় (বর্তমানে জেলা) মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়ায় কর্নেল মো. আতাউল গনি ওসমানী ও পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তারা মিলিত হন এক নতুন স্বপ্নে। বৈঠক শেষে কর্নেল ওসমানী সবাইকে দেশ স্বাধীনের শপথবাক্য পাঠ করান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তেলিয়াপাড়ায় দ্বিতীয় বৈঠকে সারা দেশকে চারটির স্থলে ছয়টি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন নওয়াজেশ উদ্দিনকে। বৃহত্তর রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলা নিয়ে গঠিত অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর নাজমুল হককে। পরবর্তী সময়ে ১২ থেকে ১৫ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তর কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে বাংলাদেশের সেক্টর কমান্ডারদের কনফারেন্সে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে বাংলাদেশ ফোর্সেস সদর দপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোর অনুমোদন দেওয়া হয়। কর্নেল এম এ জি ওসমানীকে বাংলাদেশ ফোর্সেসের কমান্ডার ইন চিফ (ক্যাবিনেট মিনিস্টার মর্যাদাসহ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় লে. কর্নেল (অব.) এম এ রবকে বাংলাদেশ ফোর্সেসের চিফ অব স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারকে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিযুক্তি দেওয়া হয়। কর্নেল ওসমানী মুক্তিবাহিনীর সব বিচ্ছিন্ন সংগঠনকে কেন্দ্রীয় কমান্ডারের আওতায় নিয়ে আসেন এবং ফোর্সেস সদর দপ্তর থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে অপারেশনাল নির্দেশনা প্রণয়ন করেন। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বিদ্রোহী বাঙালি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য এবং তৎকালীন ইপিআর, পুলিশ, আনসার, মুজাহিদ ও নির্বাচিত সাধারণ জনতার সমন্বয়ে গঠিত হয় নিয়মিত বাহিনী বা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুক্তিবাহিনী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। অন্যদিকে সাধারণ ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, স্বেচ্ছাসেবী এবং আপামর জনসাধারণকে নিয়ে গেরিলা পদ্ধতির আদলে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণবাহিনী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। তবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সব বাহিনীকেই তাদের সদস্যদের ও প্রচলিত অর্থে মুক্তিবাহিনী এবং ক্ষেত্রবিশেষে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুক্তিফৌজ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামে অভিহিত করা হতো। কমান্ডারদের তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বুঝিয়ে দেওয়ার পরই শুরু হয় সুশৃঙ্খলভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৭১ সালের জুলাই মাসে ঐতিহাসিক সেক্টর কমান্ডারদের কনফারেন্সের ঘোষণা মোতাবেক বাংলাদেশ নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ভারত থেকে প্রাপ্ত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পদ্মা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলাশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের ছোট দুটি গানবোট এবং ৪৯ জন নাবিক নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব নাবিক শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধ ও গেরিলাযুদ্ধে লিপ্ত হন। পাশাপাশি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপারেশন জ্যাকপট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামে নির্ভীক ডুবুরিদল সমুদ্র ও নদী বন্দরগুলোতে বিধ্বংসী আক্রমণ পরিচালনা করে। এতে হানাদার বাহিনীর ২৬টি জাহাজ ধ্বংস হয় এবং সমুদ্রপথ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। নৌবাহিনীর অপারেশনের মধ্যে হিরণ পয়েন্টের মাইন আক্রমণ (১০ নভেম্বর ১৯৭১), মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌযান ধ্বংস (১২ নভেম্বর ১৯৭১), চালনা বন্দরে নৌ হামলা (২২ নভেম্বর ১৯৭১), চট্টগ্রাম নৌ অভিযান (৫ ডিসেম্বর ১৯৭১) এবং পাকিস্তান নৌঘাঁটি পিএনএস তিতুমীর অভিযান (১০ ডিসেম্বর ১৯৭১) উল্লেখযোগ্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তান বিমানবাহিনী ত্যাগ করে আসা বাঙালি কর্মকর্তা, ক্যাডেট ও বিমান সেনারা সেপ্টেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত স্থলযুদ্ধে অংশ নেন। মোট প্রায় ৩৫ জন কর্মকর্তা ও ক্যাডেট এবং প্রায় ৫০০ বিমানসেনা পাকিস্তানপক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। এসব বিমানবাহিনীর সদস্য যদিও স্থলযুদ্ধে খুবই বীরোচিত ভূমিকা রাখছিলেন, তবু তাদের মধ্যে একটি স্বাধীন বিমানবাহিনী গঠনের চেতনা খুব প্রবলভাবে কাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী তৈরি একটি পুরনো ডিসি-৩ বিমান, কানাডার তৈরি একটি অটার বিমান এবং ফ্রান্সের তৈরি একটি অ্যালুয়েট-৩ হেলিকপ্টার নিয়ে গঠিত হয় একটি স্বাধীন বিমানবাহিনী। এর সঙ্গে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে একটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিত্যক্ত রানওয়ে ব্যবহারের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত হয় তারা। এই সীমিত সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। সারা দেশের আনাচকানাচে সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিকল্পিত আক্রমণ, বিএনএস পদ্মা ও বিএনএস পলাশ যুদ্ধজাহাজ নিয়ে নৌবাহিনীর অমিত বিক্রম যাত্রা এবং মাত্র তিনটি বিমান নিয়ে বিমানবাহিনীর দুঃসাহসিক অভিযান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর অবলুপ্ত হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত হয় তিন বাহিনীর জন্য পৃথক সদর দপ্তর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এখন একটি সুসজ্জিত, সুদক্ষ বাহিনী হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত। শুধু স্বাধীনতাযুদ্ধে নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। শুধু দেশেই নয়, বিদেশের মাটিতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকাণ্ড সমানভাবে সমাদৃত, যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, আইভরি কোস্ট, কঙ্গো, হাইতি, লেবানন, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনী শান্তি রক্ষার পাশাপাশি ওই সব দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং অসহায় মানুষের পুনর্বাসনে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সরকারপ্রধান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুষ্প অর্পণের</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মধ্য দিয়ে এই দিবসের সূচনা করেন। এরপর ঢাকার সেনাকুঞ্জে একটি মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এই দিনটি উপলক্ষে নানা আয়োজন করে থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রচার এবং নানা লেখা প্রকাশিত হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৭১ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিত হয়েছিল বাংলার জনগণের সঙ্গে। জনযুদ্ধের ভেতরে জন্ম বলেই এ দেশের সাধারণ মানুষের আবেগ, অনুভূতি, চেতনা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব কিছুর সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই ঐতিহাসিক সম্পর্ক অর্থাৎ জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও একাত্মতা আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণাময় উদাহরণ। সশস্ত্র বাহিনী দিবস স্মরণ করিয়ে দেয় যে দেশের স্বাধীনতা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়া প্রয়োজন। মনে করিয়ে দেয় তিন বাহিনীর যৌথতা, সমন্বয়, ভ্রাতৃত্ববোধ ও একাত্মতার কথা। প্রতিবার দিবসটি আমাদের পুনরুত্থানের পরম লগ্ন হিসেবে আবিভূত হয় এবং জাতির স্বাধীনতার জন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও জনতার চরম ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। আগামী দিনেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষায় তথা জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে। সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশমাতৃকার সেবায় সদা সর্বত্র অতন্দ্র প্রহরীর মতো জাগ্রত থাকবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই হোক সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অঙ্গীকার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সেনা কর্মকর্তা</span></span></span></span></p>