<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রচলিত অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দ্রুত বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনসমর্থিত নতুন একটি ধারা তৈরি করা সম্ভব হলে যেকোনো নির্বাচিত সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখতে বাধ্য হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব কার্যক্রম কমিশন গঠন ব্যতীত বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং যা সাধারণ মানুষের জীবনকে তাত্ক্ষণিকভাবে সহজ করবে তেমন কিছু বিষয় বিক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো। আশা করি, সরকার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সাধারণ মানুষের জন্য একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ধারা চালু করবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. সরকারি কর্মকর্তাদের সম্বোধনের সংস্কৃতির পরিবর্তন : সরকারি চাকরিজীবী এবং নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের প্রভু হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহণকারীদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে আসছেন, যা বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ ছাড়া আমাদের সংস্কৃতিতে ঔপনিবেশিক মনোবৃত্তির কারণে আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের মহামান্য/মাননীয়/মহোদয়/মহাত্মন/সম্মানিত/স্যার/হুজুর ইত্যাদি। আমাদের এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। বাংলাদেশের সব সরকারি ব্যক্তিবর্গকে এবং সেবাগ্রহণকারীকে পারস্পরিকভাবে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনাব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে সম্বোধন করার সংস্কৃতি চালু করতে হবে, যেমন জনাব প্রধান উপদেষ্টা, জনাব প্রেসিডেন্ট, জনাব সিনিয়র সচিব, জনাব ডিসি, জনাব এসপি, জনাব জামাল, জনাব লাল মিয়া ইত্যাদি। এই বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে হবে এবং জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে, যাতে জাতি ঔপনিবেশিক মনোবৃত্তি থেকে মুক্তি পায়।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. করের টাকায় বিলাসিতা পরিহার : অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা এই নীতি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে পরবর্তী সরকারের জন্য পালনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন, যেমন বেতনের সঙ্গে আপ্যায়ন ভাতা বাতিল। করের টাকায় গুটিকয়েক ব্যক্তিকে সরকারি অফিসে আপ্যায়ন কাঙ্ক্ষিত নয়। ঢালাওভাবে প্রদত্ত আপ্যায়ন ভাতা পরিহার করতে হবে। একইভাবে বিলাসবহুল যানবাহন সরকারি কাজে প্রয়োজন নেই। যে দেশ ঋণে জর্জরিত, অর্থের অভাবে মানুষ সুষম খাবার খেতে পারে না সেই দেশের কর্মকর্তাদের সাধারণ মানুষের করের টাকায় বিলাসবহুল যানবাহন ব্যবহার এবং বিলাসী জীবনযাপন কাম্য নয়। সরকারি (সামরিক ও অসামরিক) কর্মকর্তাদের সরকারি যানবাহনে পরিবারের বিনোদন, বাজার এবং সন্তানদের স্কুলে যাতায়াত অত্যন্ত অশোভনীয়। রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজ ব্যতীত সরকারি যানবাহনের সব ধরনের অপব্যবহার আইন করে বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারি অফিসে সব ধরনের প্রাধিকার বহির্ভূত আপ্যায়ন, কর্মকর্তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা, সাজসজ্জা ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. সরকারি অফিস কর্তৃক অবৈধ অর্থ/চাঁদা সংগ্রহ করে ফান্ড রক্ষণাবেক্ষণ বন্ধ করা : ডিসি অফিস কর্তৃক চাদা সংগ্রহ করে এলআর ফান্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। বিআরটিএ কর্তৃক </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Contribution to Financial Assistance Fund-</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর জন্য জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া আরো অনেক চাঁদা সংগ্রহের সংস্কৃতি বিদ্যমান। সব সরকারি অফিস কর্তৃক এজাতীয় চাঁদা তুলে অবৈধ ফান্ড পরিচালনা বন্ধ করতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. ভিআইপি কালচার প্রত্যাহার : বাংলাদেশে ভিআইপি ব্যক্তিবর্গের সংখ্যা হ্রাস করতে হবে। ভিআইপি ব্যতীত সাধারণ মানুষের সেবার মান অত্যন্ত নিম্নমানের। ভিআইপি ব্যক্তিবর্গের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকার কারণে তারা সাধারণ মানুষের সেবার মান উন্নয়নে আগ্রহ পায় না। সব মানুষের করের টাকায় ভিআইপি ব্যক্তিবর্গের বিলাসিতা/বিশেষ সুবিধা গ্রহণ সীমিত করে সবাইকে একই মানের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষের সেবার মান উন্নত হয়।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. থানার নাম পরিবর্তন : বাংলাদেশ পুলিশের থানাগুলো অপকর্মের আস্তানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, এমনকি খুনের পরিকল্পনাও থানায় হয়েছে মর্মে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এক বক্তব্যে বলেছিলেন। এই প্রেক্ষিতে সমস্ত থানাকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সেবাকেন্দ্র</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে নতুনভাবে নামকরণ করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়ারী পুলিশ সেবাকেন্দ্র ইত্যাদি।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৬. সরকারি কর্মকর্তাদের যানবাহনে পতাকা এবং পতাকাস্ট্যান্ড ব্যবহার সীমিতকরণ : সব পর্যায়ের অসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা তাদের যানবাহনে পতাকাস্ট্যান্ড ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানপ্রধান তাদের গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করেন। নতুন আইন করে বা বিদ্যমান আইন সংশোধন করে গাড়িতে পতাকা এবং পতাকাস্ট্যান্ড ব্যবহার সীমিত করা প্রয়োজন। কারণ এসব যানবাহন রাস্তায় অবৈধ ট্রাফিক সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য সড়কের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, জনভোগান্তি সৃষ্টি করে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৭. সরকারি চাকরির আবেদনের জন্য ফি গ্রহণ বাতিল করা : সব সরকারি চাকরির আবেদন করার জন্য ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। একজন বেকারের পক্ষে এই ফি প্রদান করা সম্ভব নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য সব ধরনের ফি বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৮. সরকারি সব ফি/ট্যাক্স অনলাইনে প্রদান বাধ্যতামূলক করা এবং সরকারি অফিসে সশরীরে গিয়ে সেবাগ্রহণ পদ্ধতি বন্ধ করা : কিছু কিছু সরকারি অফিসে প্রযোজ্য ফি/ট্যাক্স নগদে প্রদান করতে হয় বা উক্ত অফিসে অবস্থিত নির্ধারিত ব্যাংকের শাখায় ফি গ্রহণ করা হয়। এই জাতীয় ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যক্তির অনুপস্থিতি/অসহযোগিতার কারণে ভোগান্তি হয়। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভূমি অফিস, রাজউক, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স ইত্যাদি। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সেবার জন্য বা কর আদায়ের ক্ষেত্রে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন অনলাইন করা হলে অ্যাকাউন্টিবিলিটি এবং ট্রান্সপারেন্সি নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি বন্ধ হবে বা হ্রাস পাবে এবং সেবাগ্রহণ সহজ হবে। একইভাবে সরকারি অফিসে সশরীরে গিয়ে সেবাগ্রহণ পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। কারণ সরকারি অফিসে গিয়ে মানুষ অর্থের বিনিময়ে নিজের কাজ সম্পন্ন করে। আর যারা অর্থ দিতে পারেন না তাদের ফাইল হারিয়ে যায় বা পড়ে থাকে। অনলাইন সেবা গ্রহণের ব্যবস্থা থাকলে ব্যক্তিনির্ভরতা হ্রাস পাবে, ক্রমিক লঙ্ঘনের সুযোগ এবং ঘুষের বিনিময়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ হবে। এই প্রেক্ষিতে অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিশন একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯. পুলিশ প্রটোকল এবং বডিগার্ড : বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য পুলিশ পেট্রল এবং বডিগার্ড নিয়োজিত থাকে। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সংখ্যা সীমিত করে সব পুলিশকে ব্যক্তি নিরাপত্তার সংস্কৃতি থেকে প্রত্যাহার করে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সার্বক্ষণিক পেট্রোলিংয়ে নিয়োজিত রাখা হলে পুলিশ আরো মর্যাদা এবং দক্ষতার সঙ্গে বিশিষ্ট ব্যক্তির পাশাপাশি সমগ্র এলাকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১০. যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সেবা বেসরকারীকরণ : বিআরটিএ একটি চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, যেখানে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বিআরটিএর পক্ষে নিজস্ব জনবল এবং অবকাঠামো দ্বারা সন্তোষজনকভাবে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের দায়িত্ব নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হলে বিশাল চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, সেবার মান উন্নত হবে এবং জনভোগান্তি হ্রাস পাবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা : শুধু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র এবং শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি বন্ধ করা না হলে ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাস আবার ফিরে আসবে এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১২. সরকারি প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা :  সরকারি বেতনে এবং সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করে দলীয় রাজনীতি করার সংস্কৃতি বন্ধ করেতে হবে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৩. ট্রেড লাইসেন্স : বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্স বছরভিত্তিক নবায়ন করতে হয়। একেকটি ট্রেড লাইসেন্স বই চার বছর মেয়াদি হয়। এই পদ্ধতি পরিবর্তন করে অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ এবং চার-পাঁচ বছর মেয়াদ অন্তর নবায়ন করার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কারণ ব্যবসা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মুনাফা হয় না। ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত পদ্ধতি ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা যেতে পারে। ট্রেড লাইসেন্স ফি এবং ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি কমানো উচিত, যাতে সব শ্রেণির ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য উৎসাহিত হয়।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৪. সব ধরনের বৈষম্যমূলক আইন/নীতিমালা প্রত্যাহার : বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকার আইন প্রচলিত আছে। সব নাগরিকের জন্য একই আইন হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেমন এমপিদের করমুক্ত গাড়ি আমদানি, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একই হারে বৈদেশিক মুদ্রার অনুমোদন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা এবং সব পোষ্য কোটা, সরকারি প্লট ইত্যাদি ক্ষেত্রে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকা প্রয়োজন।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৫. সরকারি কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা : বিভিন্ন সরকারি কর্মকাণ্ডে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইন্টার্নশিপ প্রগ্রামের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করা হলে সেবার মান উন্নয়ন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">compliance with specifications, quality assurance, bill of quantities (BOQ or BQ) </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইত্যাদি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা প্রদান, ভূমি অফিসে সহায়তা, বিভিন্ন সরকারি সেবার মান উন্নয়নের জন্য গবেষণায় শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হলে অত্যন্ত সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যাবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৬. ছাত্র-জনতার ঐক্য ধরে রাখা : ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ, প্লাস্টিক বন্ধ, সেন্ট মার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ, প্লাস্টিক কারখানা বন্ধ, ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ ইত্যাদি কার্যক্রম সরকারের প্রতি জনসমর্থন হ্রাসে ভূমিকা রাখছে। সরকারকে </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Priority </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্ধারণ করতে হবে এবং কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের জীবিকা বন্ধ করা উচিত হবে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়গুলো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থা করে ক্রমান্বয়ে সম্পন্ন করা হলে স্থায়ী ফল পাওয়া যাবে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান উপদেষ্টা বিদেশিদের অনুরোধ করেছেন সাহায্যের প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড় করার জন্য, অন্যথায় জনগণকে কিছু দেখানো যাবে না মর্মে বক্তব্য দিয়েছেন। অনুরূপ দর্শন অনুযায়ী বৈপ্লবিক পরিবর্তন দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে সাধারণ মানুষ বিপ্লবের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান উপদেষ্টা নিজ গুণে মর্যাদাসম্পন্ন এবং তার সমকক্ষ আমাদের দেশে আর কেউ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের মতো জনসমর্থন এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন কোনো নির্বাচিত সরকারের পক্ষেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি, যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব প্রধান উপদেষ্টার। সাধারণ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আছে এবং আমাদের বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমরা সফল হব। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><a href="mailto:atkm.iqbal@gmail.com" style="color:blue; text-decoration:underline">atkm.iqbal@gmail.com</a></span></span></span></span></p>