<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় তিন বছর পার হতে চলল অথচ মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা কমছে না। বস্তুত সব সরকারেরই প্রথম টার্গেট থাকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। কারণ এর ধকল সবচেয়ে বেশি বহন করে গরিব শ্রেণি। এই শ্রেণির নুন আনতে পান্তা ফুরায়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দামে দুটিই বেহাত হতে বাধ্য। আমাদের দেশে গরিব খানাগুলো মোট আয়ের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ঢালে ভোগ্য পণ্য ক্রয়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাল কেড়ে নেয় ৪০ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি তাই অসহনীয়। মুখরা রমণীকে বশ করতে না পারলেও সংসার হয়তো কোনোভাবে টিকে থাকে, কিন্তু লাগামহীন মূল্যস্ফীতি বশে আনতে না পারলে সমাজের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা থাকে; এমনকি ঊর্ধ্বগামী মূল্যস্ফীতি রাজনৈতিক ডিনামাইটে রূপ নিতে পারে। একবার দিল্লির সরকার গদি হারিয়েছিল শুধু পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক চড়ে গিয়েছিল বলে। দিল্লি দূর-অস্ত, বাংলাদেশে বিগত জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের আংশিক চালক ছিল কিন্তু মূল্যস্ফীতিজনিত জনরোষ, সে কথা যেন ঘুণাক্ষরেও ভুলে না যাই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যা হোক, সরকার গেল সরকার এলো, কিন্তু মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী অনড় অবস্থান থেকেই গেল। ভুল বা শুদ্ধ, মানুষ মনে করে, অবস্থা অনেকটা যেই লাউ সেই কদু। আমরা অবশ্য তা মনে করি না। কারণ সরকারের চেষ্টার কমতি নেই, যদিও যথেষ্ট নয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের চলমান ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি কয়েক কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণা বলছে। নিম্ন আয়ের মানুষ প্রকৃত আয় পড়ে যাওয়ায় কম পুষ্টিকর খাবার কিনছে কিংবা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বাদ দিচ্ছে। মোটকথা, মূল্যস্ফীতি মানবপুঁজি সৃষ্টিতে বাধা দিচ্ছে, দীর্ঘ মেয়াদে যার মাসুল গুনতে হবে জাতিকে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়" height="270" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11. january/09-01-2025/1.jpg" style="float:left" width="321" />মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুল্ককাঠামো যৌক্তিক করার সময় এসেছে এবং সেটি শুধু সমকক্ষদের সঙ্গে সমতুল্য করার জন্য নয়, বরং আমাদের রপ্তানিকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করা। সংরক্ষণে রপ্তানি-বৈরিতা পরিহার করার জন্যও তা দরকার। কারণ বৈরী শুল্ক কাঠামো দীর্ঘকাল ধরে আমাদের রপ্তানি বৈচিত্র্য করার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। তবে শুল্কের হার কমানো বা যৌক্তিক করার ক্ষেত্রে একগুঁয়ে মনোভাবের পেছনে থাকা যুক্তি অজানা নয় : এক. রাজস্ব হারানো (আহরণের বিপরীতে) এবং দুই. তথাকথিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিশুশিল্প</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> যুক্তি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে বেড়ে ওঠার জন্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই.</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্মরণ করা যেতে পারে যে ২০২২ সালে একই সময়ে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনা বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক. রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন, যার ফলে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের এবং দুই. মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার তির্যক অবমূল্যায়ন, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ শতাংশের মতো। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কিছুটা হ্রাস পেলেও এই দুই উৎসর দ্বিতীয় পর্বের প্রভাব অনুভূত হতে থাকল। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সরকার কর্তৃক জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেও লাভ হলো না। মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের নিচে থাকলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপর চড়তে লাগল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটি এখন পরিষ্কার যে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি প্রধানত ব্যয় বৃদ্ধিতাড়িত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">(cost-push) </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন একটি সরবরাহ ধাক্কা নিয়ে আসে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">(supply shock), </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেয় এবং গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো অর্থ সম্প্রসারণ দ্বারা পুষ্ট হয়। অবশ্য দ্বিতীয়টি প্রচলিত পদ্ধতি/সুপারিশ; যথা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর্থিক সংকোচন এবং সুদের হার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ওল্টাতে প্রয়াস চালাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত আছে জুলাই ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারি ঋণ (মূলত টাকা ছেপে নিরেট মূল্যস্ফীতিমুখী পদক্ষেপ) নেওয়ার তাগিদ স্থগিতকরণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে একটি নিরপেক্ষ রাজস্বনীতি প্রত্যাশিত, যা রাজস্ব ঘাটতি মানিটাইজেশন সীমিত রাখবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সনাতন সংকোচন নীতি হয়তো চাহিদা সংকোচনে ভূমিকা রাখবে, কিন্তু আমদানির মূল্যবৃদ্ধি ও টাকার অবমূল্যায়ন সঞ্জাত সরবরাহ অভিঘাত মোকাবেলায় উপযুক্ত নয়। বস্তুত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত প্রকট আমদানি সংকোচনের ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে (স্বল্পতার সুযোগে) এবং এভাবেই  সময়ের বিবর্তনে কস্ট-পুশ ইনফ্লেসনে অতিরিক্ত একটি উপাদান হিসেবে যোগ হয়। মূল্যস্ফীতির একটি বিশেষ চালকের দিকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে মনোযোগ দেওয়া জরুরি এবং সেটি হলো বিনিময় হারে ব্যাপক অবমূল্যায়ন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাই উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিনিময় হার কিভাবে মূল্যস্ফীতি সঞ্চারিত করে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">(pass-through), </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সে সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এমন পাস-থ্রুর মাত্রা এবং পর্যাবৃত্ত মূলত নির্ভর করে অর্থনৈতিক পরিবেশের ওপর; যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক. বিনিময় হারের কতটুকু নমনীয়, খ. আমদানি-ভেদন (ইমপোর্ট পেনেট্রেসন) এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে আমদানির অংশ, গ. অভ্যন্তরীণ বাজার প্রতিযোগী না একচেটিয়া কাঠামো, ঘ. বিদ্যমান বাণিজ্য অবমুক্তি এবং বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন.</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কথায় বলে, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ, ঠিক তখন হঠাৎ করেই মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপেই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনতে যাচ্ছে সরকার। তবে সব অর্থমন্ত্রীর মতোই বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা বলতে চাইছেন, আইএমএফের চাপে নয়, নিজেদের রাজস্ব আহরণের তাগিদেই বেশ কিছু পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট বসবে। তিনি আরো বলেছেন, যেসব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত করের প্রস্তাব, সেগুলো চাল, তেল, নুনের মতো অপরিহার্য নয় বিধায় মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে বলে মনে হয় না; এগুলো শুল্ক শূন্য করলে দাম বাড়ার আশঙ্কা কম থাকবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু এর বিপরীতে থাকা যুক্তিতে ধার আছে বৈকি, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এতে তৈরি পোশাক, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ, মিষ্টি, বিস্কুট, আচার, কয়েল ও টিস্যু পেপার, নন-এসি হোটেলসহ ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বেড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে। ভ্যাট বাড়লে এসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়তে পারে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরই মধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানো গেলে সবচেয়ে ভালো হতো। অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মুহূর্তে ভ্যাটের হার বাড়ানো হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজস্ব আয় বাড়ার পরিবর্তে কমতে পারে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে; সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাটের হার বৃদ্ধি মানুষকে আরো চাপে ফেলবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার.</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনে করার যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ আছে যে মূল্যস্ফীতি কমাতে নেওয়া মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সফল হচ্ছে না, যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অনেক আগে একটু বেশি সময় লাগবে বলে সতর্ক করেছিলেন। কেউ আবার বারবার নীতি সুদ হার বৃদ্ধি করে চাহিদা ব্যবস্থাপনা কৌশল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা মনে করি, বাজার ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়ার পাশাপাশি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আওতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে গরিব মানুষকে দেওয়া ভাতার সঠিক প্রাপ্যতাও নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অলিগারক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিন্ডিকেট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চাঁদাবাজি (এক চাঁদাবাজের বদলে অন্য চাঁদাবাজ) নিয়ন্ত্রণে যতটুকু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাজার তদারকি এবং ব্যবসার পরিবেশ যতটুকু দরকার ছিল, তা বাস্তবে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না বলে মূল্যস্ফীতির মাসুল গুনছে মানুষ। অন্তর্বর্তী সরকার যদি অপরাধীদের ধরতে না পারে এবং তাদের সাজা দিতে না পারে, তাহলে কে পারবে, নাকি সরষের ভেতর ভূত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন প্রশ্ন জনমনে উঠছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাদটীকা</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশ্য সরকারপক্ষ বলতেই পারে যে তারা মাত্র পাঁচ মাস হলো ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ মনে করে, মূল্যস্ফীতির এই ঘা প্রায় তিন বছরের পুরনো এবং তা দিনে দিনে তীব্রতর হচ্ছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সমূহ বিপদের আশঙ্কা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেমনটি ঘটেছিল শ্রীলঙ্কায়, তিউনিশিয়ায় এবং অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে। আগের সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে রেহাই পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। সুতরাং দ্য সুনার, দ্য বেটার। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : অর্থনীতিবিদ, সাবেক উপাচার্য </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p>