<p>বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল হাফিজ মল্লিক (অব.)-এর ভাই ড. সালাম মল্লিককে জেতাতে যা করার তাই করবেন এমপির সমর্থকরা। এমপির উপস্থিতিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। বক্তব্য প্রদানকারী কলসকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আ. হককে সোমবার (৬ মে) দুপুরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সালাম মল্লিক বুধবার অনুষ্ঠিতব্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (উড়োজাহাজ প্রতীক)।</p> <p>জানা গেছে, সম্প্রতি সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিকের ঢাকার বাসায় ওই সভাটি হয়। সভায় সংসদ সদস্য হাফিজ মল্লিক চেয়ারে বসা ছিলেন। তার বাঁ পাশে বক্তৃতা করেন আ. হক। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আ. হক বলছেন, ‘এখানে সালাম ভাইয়ের কথা উঠছে। আমাদের কথা হলো আমরা বাদশাকেও (চেয়ারম্যান প্রার্থী) টানব, মহিলা জাহানারাকেও (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) টানব আর সালাম ভাইকেও।’</p> <p>নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মোনাফিকি করে পেছনে ছুরি মারবেন, তা হবে না। এই তিনজনকে কিভাবে জয়ী করে আনা যায় তা নিশ্চিত করতে আবারও বসব।’</p> <p>তিনি এমপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার ভাই সালামকে ভালোবাসি। আপনাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। আপনার ভাই সালামকে ভালো পাব নাকি আরেকজনকে পাব?’ </p> <p>আ. হক আরো বলেন, ‘সালাম ভাইকে আনার জন্য যা করার তাই করব। কারণ সালাম ভাই আর আপনার (এমপি) মধ্যে পার্থক্য নাই। সালাম ভাই যদি বেইজ্জতি হয় তাহলে আপনার খেসারত হবে। সেই খেসারত থেকে রক্ষায় যা করার দরকার তাই করব।’</p> <p>বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার বলেন, আ. হকের আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ সুপার এবং রেঞ্জ ডিআইজির নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি বক্তব্যের কথা স্বীকার করা বলেছেন, আবেগে পড়ে কথাগুলো বলেছেন।</p> <p>অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যেহেতু ভিডিওতে তার বক্তব্যে জনগণের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে, সেহেতু তার বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।</p> <p>সংসদ সদস্য হাফিজ মল্লিকের ভাই আ. সালাম মল্লিক এ প্রসঙ্গে বলেন, আ. হককে তিনি চেনেন। ভিডিওটি তিনিও দেখেছেন। তার কাছে মনে হয়েছে এটি এডিট করা।</p>