<p>উম্মু কুলসুম বিনতে উকবা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, সে ব্যক্তি মিথ্যাচারী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ভালো কথা পৌঁছে দেয় কিংবা ভালো কথা বলে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৬৯২)</p> <p>আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসায় ব্যক্তিকে কৌশলী হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। কৌশলী হওয়ার অর্থ হলো এমন সত্যগুলো আড়াল করা, যা উভয় পক্ষকে উত্তেজিত করতে পারে। তবে শরিয়ত ব্যক্তিকে যাচ্ছেতাই মিথ্যা বলার অনুমতি দেয়নি। এবং এমন মিথ্যা বলার অনুমতিও দেয়নি, যার মাধ্যমে অন্যের অধিকার, সম্মান ও মর্যাদা বিনষ্ট হয়। ইসলামী আইনজ্ঞরা পারস্পরিক ঝগড়া-বিবাদ মীমাংসায় সত্য গোপন করাকে যুদ্ধের ময়দানে সত্য গোপন করার সঙ্গে তুলনা করেছেন।</p> <p><strong>হাদিস থেকে আরো দুটি বিষয় প্রমাণিত হয় :</strong> তা হলো ঝগড়া-বিবাদ নিন্দনীয় এবং বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া প্রশংসনীয়। পবিত্র কোরআনেও মুসলমানের পারস্পরিক বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার প্রশংসা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ এবং যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে। আল্লাহ অবিচারকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আশ-শুরা, আয়াত : ৪০)</p> <p>আল্লাহ সবাইকে বিবাদ পরিহারের তাওফিক দিন। আমিন।</p>