বিদেশি পর্যটক টানতে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন (ইটিজেড) গড়তে যাচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সম্মতিও মিলেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী। আজ শুক্রবার বান্দরবানের নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
পর্যটন সচিব জানান, বিদেশিদের কাছে বান্দরবানকে পরিচিত করানোর জন্যেই আগামি ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী বান্দরবান পর্যটন কার্নিভাল আয়োজন করা হচ্ছে।
বান্দরবানে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন গড়তে যাচ্ছে সরকার : পর্যটন সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান

পর্যটন মন্ত্রণালয় ও পর্যটন করপোরেশনের পাশাপাশি স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে সোশ্যাল ট্যুরিজম বিকাশের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে স্থানীয় পর্যটন খাত ন্যস্ত করা হয়েছে জানিয়ে খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, সরকার পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করে এটিকে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় খাতে রূপান্তরিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ফোর লেইন সড়ক নির্মাণ, দোহাজারি থেকে কক্সবাজার হয়ে বান্দরবানের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পর্যটন স্পটগুলোকে সার্কুলার রোডের মাধ্যমে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই কর্মসূচির আওতায় থানচি থেকে আলীকদম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
এদিকে অনুষ্ঠেয় বান্দরবান কার্নিভাল সফল করতে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে আজ সকালে বৈঠক করেছেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর

শাহীন ক্যাডেট স্কুলের বিরুদ্ধে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর এলাকার শাহীন ক্যাডেট স্কুলের বিরুদ্ধে এসএসসি-২০২৫ পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত পরীক্ষার ফি ২৫০০ টাকা হলেও এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে জন প্রতি ৮০০০-১০০০০ টাকা আদায় করছে শাহিন ক্যাডেট স্কুল। যা কোচিং ও পরীক্ষার ফি বাবদ দেখানো হচ্ছে।
প্র্যাকটিক্যাল খাতার জন্যও ১০০০ টাকা করে নির্ধারিত করেছে তারা। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের বেতন না দিলে প্রবেশ পত্র দেওয়া হবে না বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে কোনো কিন্ডারগার্টেন ও কেজি স্কুল স্থাপন করা সরকারি নিয়ম বহির্ভূত থাকলেও নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে সফিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সফিপুর মালেক চৌধুরী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ১০০ ফিট পাশেই এই শাহীন ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে সরকারি স্কুল শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, 'ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত ফি, কোচিং বাণিজ্য, প্রাকটিক্যাল খাতা, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বেতন, অবৈধভাবে নামে-বেনামে বাড়তি টাকা আদায় করছে শাহীন ক্যাডেট স্কুল।
শাহীন ক্যাডেট স্কুল সফিপুর শাখার পরিচালক আওলাদ হোসেন ও ইকবাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং ফি, এসএসসির ফরম ফিসহ অন্যান্য ফি বাবদ ৮০০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। যা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।
সরজমিনে বুধবার (১৯ মার্চ) ওই স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, বাসা-বাড়ির জন্য নির্মাণ করা একটি ভবনে স্কুলের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ছোট ছোট শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। নেই বিনোদনের কোনো জায়গা বা খেলার মাঠ। নিয়মনীতির কোনো কিছুই নেই সেখানে। একটি জাতীয় পতাকা টানানো রয়েছে যা খুবই নোংরা ও পুরাতন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আকবর খান বলেন, কোচিং বাণিজ্যের কোনো বিধান নেই। ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। এ ছাড়া কোনো কোচিং বাণিজ্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসিব (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্নবাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসিব উপজেলার চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আয়নাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে চনপাড়ার আধিপত্য নিয়ে শামীম ও তার লোকজনের সঙ্গে রাব্বানী, রফিক, শাকিল ও তার লোকজনের বৈঠক হয়। এ বৈঠকে শামীম ও রাব্বানীর দুই গ্রুপের লোকজনের মাঝে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একপক্ষ অপর পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে।
এদিকে হাসিবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চনপাড়া ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় উভয় গ্রুপের সদস্যরা। এসময় আপনের ঘর, বশিরের ঘরসহ শতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এমনি লুটপাটে বাদ যায়নি মহিলাদের কানের দুল ও গলার চেইনও।
এ ব্যাপারে জেলা গ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শামীম ও রাব্বানী গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে চনপাড়া অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দোষী যেই হউক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

হাইওয়ে পুলিশের হাতে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি আটক
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ আবু সাঈদ (২৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ। উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিশ্বম্ভরদী এলাকা থেকে বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
আটক আবু সাঈদ যশোর জেলার বেনাপোল উপজেলার পুটখালী গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান।
মো. রোকিবুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের বিশ্বম্ভরদী এলাকা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশির সময় ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ আবু সাঈদ নামের ওই যুবকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন,‘মাদকসহ আটক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে হাইওয়ে থানা পুলিশ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। তাকে আগামীকাল গোপালগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তাড়াশে ডিজিটাল ল্যাব এখন ই-বর্জ্য, ৯ কোটি টাকা জলে গেল
তাড়াশ-রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় স্থাপিত ১৮টি ডিজিটাল ল্যাব এখন ই-বর্জ্যে পরিণত হয়েছে। নির্মাণে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয় হলেও নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব ল্যাব অচল হয়ে পড়েছে।
তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল অফ ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অধীনে আরও ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এসব ল্যাবের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানো।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম বলেন, অপারেটর না থাকায় স্কুল অফ ফিউচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগে বারবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া পাইনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ করায় ল্যাবটি শুরুতেই অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম. মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের ল্যাবের অবস্থা আরও শোচনীয়। এখানে ৫ থেকে ৭টি কম্পিউটারের কোনো হদিস নেই। কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তার নিকটজনরা ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ল্যাবগুলো অচল হয়ে পড়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান বলেন, এসব ল্যাব স্থাপনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, তার সঠিক তথ্য আমার জানা নেই। আগের প্রকল্প পরিচালক বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরানো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব ও সার্ভার সিস্টেম সরবরাহ করে প্রায় দুই থেকে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এসব ল্যাব স্থাপনের জন্য ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও তা মানা হয়নি। সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন।
তাড়াশ উপজেলার শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সরকারের এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।