পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে ধুলোমুক্ত করে সৌন্দর্য ফেরাতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্ট এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়। তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের আয়োজনে এই উদ্যোগ নেয় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ।
দুপুরে বাংলাবান্ধার স্থলবন্দর এলাকায় ঝাড়ু হাতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন।
পরে পাথর ভাঙা শ্রমিকদের মাঝে সহস্রাধিক মাক্স বিতরণ করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানিউল ফেরদৌস, তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি এনামুল হক, বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান, পাথর ব্যবসায়ীসহ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে কর্মরত শত শত শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাবান্ধা বিওপি থেকে বন্দর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় সড়কের উপর রাখা পাথর অপসারণ করা হয়। এরপর ধুলোমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পানিবাহী গাড়ির মাধ্যমে সড়কের চারপাশে পানি স্প্রে করা হয়। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন জাগ্রত তেঁতুলিয়া নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
আয়োজকরা জানান, বাংলাবান্ধা এলাকায় ধুলোমুক্ত পরিবেশের জন্য প্রতিদিন পানিবাহী গাড়ির মাধ্যমে সড়কের চারপাশে পানি স্প্রে করা হবে। সেই সাথে স্থায়ীভাবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাক্স ব্যবহারসহ প্রত্যেক পাথর ভাঙা মেশিনে পানি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এর মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় কর্মরত পাথরভাঙা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশী বিদেশী পর্যটকরা ধুলোমুক্ত পরিবেশে বন্দর এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে পাথর ভাঙা মেশিনের ধুলোয় ঢাকা পড়েছিলো ছিলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পুরো এলাকা। এতে শ্রমিকসহ পর্যটকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো।