<p style="text-align: justify;">বান্দরবানের রুমা থেকে অপহরণের ৪০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন রাসেলের। তাকে উদ্ধারের জন্য বুধবার (৩ এপ্রিল) ভোর থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের পালিয়ে যাওয়ার পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।</p> <p style="text-align: justify;">এরপরও সন্ত্রাসীচক্রের কোনো সদস্য কিংবা ব্যাংক ম্যানেজারের সন্ধান পাওয়ার কোনো পথ বের করা যায়নি।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে সোনালী ব্যাংক বান্দরবান আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গনি জানিয়েছেন, ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন রাসেলকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে তারাও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু কোনোভাবেই অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।</p> <p style="text-align: justify;">তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বুধবার রাতে অপহরণকারীদের সঙ্গে ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের পরিবারের কিছুটা যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। প্রাথমিকভাবে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসরাতের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের প্রতিবাদে রুমা উপজেলায় কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী গতকাল বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তারা বলেছে, ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।</p> <p style="text-align: justify;">রুমা এবং থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর বুধবার দুপুর থেকে বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ওসমান গনি কালের কণ্ঠকে বলেন, বিকল্প ব্যবস্থায় বান্দরবান জেলা সদরে অবস্থিত প্রধান শাখা থেকে ওই তিনটি উপজেলার ব্যাংকিংসেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে মাসিক বেতন এবং ঈদ বোনাস গ্রহণের সময় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এ ধরনের অচল অবস্থা প্রান্তিক এলাকায় থাকা গ্রাহকদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে বান্দরবানের রুমা সোনালী ব্যাংক এবং থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদস্বরূপ ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’-এর সঙ্গে চলমান শান্তি সংলাপ বাতিল করে দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। </p> <p style="text-align: justify;">আজ বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা।</p> <p style="text-align: justify;">তিনি বলেন, শান্তি সংলাপ চলাকালে ইতিপূর্বে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের শর্ত অমান্য করে কে এন এফ-এর সামরিক শাখা ‘কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর কারণে আমরা মনে করি তাদের সঙ্গে শান্তি সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই।</p> <p style="text-align: justify;">তিনি বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে শান্তি সংলাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এমন অবস্থায় আমরা আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় তৃতীয় শান্তি সংলাপ বাতিল করেছি।</p>