<p>সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আদালতে সাক্ষী দিলেন তাঁর মা শাহেদা মোশাররফ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।<br />  <br /> চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর প্রথমে অবসরে যাওয়া পুলিশ পরিদর্শক মহিউদ্দিন মাহমুদ সাক্ষী দেন। যিনি ঘটনার সময় নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন। এরপর সাক্ষ্য দেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ।</p> <p>মো. আবদুর রশিদ বলেন, ‘মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ সাক্ষ্য দিতে এসে কয়েকবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। শাহেদা তাঁর সাক্ষ্যে বাবুল আক্তারের সঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর পরকীয়া প্রেমের কথা বলেছেন। সেখান থেকেই বাবুল আক্তার ও মিতুর সংসারে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছে। উনি উনার মেয়ে মিতুর মুখ থেকে যা শুনেছেন, সেটাই আদালতে বলেছেন। শাহেদা মোশাররফ সাক্ষ্যে বলেছেন, বাবুল আক্তার পরকীয়া প্রেমের কারণে সুকৌশলে নিজে বাইরে থেকে খুনি ভাড়া করে মিতুকে হত্যা করিয়েছেন।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, মিতুর মাকে মঙ্গলবার জেরা করা হয়েছে। আজ আবার জেরা করা হবে। মিতুর মায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় বাবুল আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে বাসা থেকে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তত্কালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর।</p> <p>২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর বাবুল আক্তারের মামলায় আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে ঘটনার সঙ্গে বাদী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। একই দিন মিতুর বাবা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই সময় পিবিআই হেফাজতে থাকা বাবুল আক্তারকে মোশাররফের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।</p> <p>২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর  আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। এরপর ১০ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।</p>