<p style="text-align: justify;">ভগ্নিপতিকে হত্যার এক বছর পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মিজানুর রহমান। এরপর প্রায় তিন বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে চলে যান আত্মগোপনে। পরিবর্তন করে ফেলেন নিজের নাম ও ঠিকানা। এর মধ্যে হত্যা মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। মামলার সাজা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ ছয় বছর আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি মিজানুরের। অবশেষে  গ্রেপ্তার হলেন পুলিশের হাতে। গতকাল শুক্রবার রাতে ফেনী সদরের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। </p> <p style="text-align: justify;">শনিবার চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন। </p> <p style="text-align: justify;">গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। </p> <p style="text-align: justify;">পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় স্ত্রী রিয়াকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন ইকবাল আহাম্মদ ভুঁইয়া। পাশের এলাকায় থাকতেন ইকবালের শ্যালক মিজানুর রহমান। ইকবাল পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। তার জমানো অর্থ স্ত্রী ও শ্যালক মিজানুরের কাছে রাখা ছিল। ২০০৮ সালে ইকবাল গ্রামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের জন্য তার জমানো অর্থ স্ত্রী ও শ্যালকের কাছে ফেরত চাইলে এ নিয়ে তাদের বিরোধ শুরু হয়। ওই বছরের ৩ অক্টোবর ইকবালকে চট্টগ্রামের ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও শ্যালক মিজানুর রহমান কৌশলে হত্যা করে পরদিন ৪ অক্টোবর সকালে একটি মাইক্রোবাসে করে মরদেহ গ্রামের বাড়ি এলাকার রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান।</p> <p style="text-align: justify;">পরে ইকবালের স্বজনরা মরদেহটি পেয়ে মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এ ঘটনায় ইকবালের ভাই একরাম হোসেন বাদী হয়ে স্ত্রী সুফিয়া আক্তার রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমানকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০০৯ সালে মিজানুর রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০১২ সালে তিনি জামিনে বের হয়ে চলে যান আত্মগোপনে। ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আদালত মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর পর থেকে তিনি নিজের নাম মিজানুর রহমান পরিবর্তন করে আবদুল কাদের রাখেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে ফেনী সদরের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে। </p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের সাজার পরোয়ানা থানায় আসার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে বসবাস করে আসছিলেন। থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ফেনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছে। </p>