<p>কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বসতবাড়ির উঠানে মাছ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন ওসমান গণি  না‌মের এক উদ্যোক্তা। ইতিম‌ধ্যে মাছ চা‌ষে বেশ লাভবানও হ‌য়ে‌ছেন তি‌নি। বা‌ড়ির উঠা‌নে মাছ চাষাবাদ এ অঞ্চ‌লে প্রথম হওয়ায় প্রতি‌দিন বি‌ভিন্ন বয়সী লোকজন দেখ‌তে যায় তাঁর বা‌ড়ি‌তে।</p> <p>ওসমান গ‌ণির বা‌ড়ি উপ‌জেলার ছাটমল্লিক বেগ গ্রামে। এক‌টি এন‌জিও থে‌কে আর্থিক সহায়তা নিয়ে রান্নাঘরের পা‌শে প্রায় এক শতক জায়গায় কং‌ক্রিটের একটি গোলাকার ট্যাংক তৈরি করেন। যার উচ্চতা চার ফুট। ট‌্যাংকটির পানি ধারণক্ষমতা প্রায় ২৩ হাজার লিটার। সেখানে আট হাজার টাকায় ভিয়েতনামি কই মাছের রেণু ছেড়েছেন। পাঁচ মাসে সেই কই মাছ বিক্রি করেছেন ৪০ হাজার টাকার। আরো ৮০ হাজার টাকার মাছ র‌য়ে‌ছে ব‌লে জানা গে‌ছে। তার এ মাছ চাষ দে‌খে উদ্বুদ্ধ হ‌চ্ছেন অনেকে।</p> <p>মাছ চাষি ওসমান গণি জানান, এক‌টি এন‌জিওর সহযোগিতায় আট হাজার টাকায় আট হাজার ভিয়েতনামি কই মাছের রেণু সংগ্রহ করা হয়। সে সময় প্রচণ্ড শীত থাকায় তিন মাস পোনাগু‌লো বৃদ্ধি হয়নি। শী‌তের মৌসুম শে‌ষে মাছ দ্রুত বাড়তে থাকে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি ক‌রে‌ছেন। আরো ৮০ থে‌কে ৯০ হাজার টাকার মাছ র‌য়ে‌ছে ব‌লে জানান তি‌নি।</p> <p>তি‌নি জানান, পানি সরবরাহের জন্য একটি পাম্প কিনতে হ‌য়েছে। এ ছাড়া পানি স্প্রে করার জন্য দুদিকে দুটি শাওয়ার বসিয়েছেন। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৬৮ হাজার টাকা। এ অঞ্চ‌লে এভা‌বে মাছ চাষ প্রথম। ত‌বে পরবর্তী‌ সময়ে বে‌শি লা‌ভের আশা কর‌ছেন এ উদ্যোক্তা। </p> <p>রাজারহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল আলম জানান, পরিবারের প্রোটিন ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ট্যাংকে কই মাছ চাষের ফলে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি হবে এবং মাছ বিক্রি করে তারা লাভবান হতে পারবেন।</p>