<p>এপার-ওপার দুই বাংলায়ই জনপ্রিয় গায়ক মাহতিম শাকিব। এবারও ‘ফিল্মফেয়ার বাংলা’য় পেয়েছিলেন সেরা গায়কের মনোনয়ন। দুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গাওয়া নতুন গান ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।</p> <p><strong>ঈদের ছবি ‘দেয়ালের দেশ’-এ আপনার গাওয়া ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’ প্রকাশিত হয়েছে শনিবার। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?</strong><br /> এক দিন আগে গানটি প্রকাশিত হয়েছে। এখনো ঠিকমতো বুঝতে পারছি না। আরো কয়েক দিন গেলে বুঝতে পারব শ্রোতারা কিভাবে গানটি গ্রহণ করেছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ শেয়ার হচ্ছে গানটি। ইউটিউব-ফেসবুকে বেশ ইতিবাচক মন্তব্যও দেখছি। আশা করছি গানটি যাঁরা শুনবেন আশাহত হবেন না। অবন্তী সিঁথিও ইমন চৌধুরীর সঙ্গে প্রথম প্লেব্যাক করলেন।</p> <p><strong>দুজনের সঙ্গে আগেও গেয়েছেন। এই গানটির বিশেষত্ব কী?</strong><br /> অবন্তী সিঁথির সঙ্গে অডিওতে বেশ কয়েকটি গান গেয়েছি। ইমন দাদার (ইমন চৌধুরী) সঙ্গেও নাটকের গান, বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল বা আমার নিজের লেখা-সুর করা গান করেছি। তবে সেসব গানের চেয়ে এই গানটি একেবারেই আলাদা। অডিওর গানে নিজেদের ইচ্ছামতো এক্সপ্রেশন দিয়ে গাওয়ার স্বাধীনতা থাকে। সিনেমার গানে চরিত্রের সঙ্গে মিল রেখে গাইতে হয়। গানের দৃশ্যটা কেমন হবে, চরিত্রটা কেমন, গ্রাম না শহুরে দৃশ্য—এমন আরো কত কিছু মাথায় রাখতে হয়! এই গানটি গাওয়ার সময় ইমন দাদা আমাদের পুরো দৃশ্যটি বুঝিয়েছিলেন। তিনি যা চেয়েছিলেন, সেটা আদায়ও করে নিয়েছেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ওয়ান অব দ্য বেস্ট কম্পোজার ইমন চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য সব সময় অপেক্ষা করি। অবন্তী সিঁথিও এই সময়ের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী। তাঁদের সঙ্গে সিনেমায় গান করতে পেরে আমি খুশি।</p> <p><strong>এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ফিল্মফেয়ার বাংলা’য় সেরা গায়কের মনোনয়ন পেলেন, এবারও পুরস্কারটি হাতে উঠল না। মন খারাপ করেছেন নাকি?</strong><br /> না, না। মন খারাপ হওয়ার কিছু নেই। টু বি অনেস্ট, আমি কিন্তু পুরস্কারের দিনও এটি নিয়ে মাথা ঘামাইনি। পুরস্কার পাচ্ছি কি পাচ্ছি না—সেসব নিয়ে চিন্তা করার সময়ই পাইনি। আমি একটা গান করার পর নতুন গান নিয়ে চিন্তা করি। একবারও মনে আসে না, পুরস্কার পেতে হবে বা অন্য কিছু। আমার কাছে শ্রোতাদের ভালোবাসাই সবচেয়ে বড়। তবে হ্যাঁ, আমি যাঁদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছি সেটা অনেক বড় অর্জন। অরিজিৎ সিং, অনুপম রায়ের নামের পাশে ছোট্ট করে আমার নামটা এসেছে, আমি এতেই সন্তুষ্ট।</p> <p><strong>কলকাতায় নতুন আর কী গান করলেন?</strong><br /> আমি আসলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তিতে আছি। ২০২২ সালে শুরু হওয়া চুক্তিটি শেষ হবে ২০২৭ সালে। এই পাঁচ বছর তাদের গানই করব, বছরে পাঁচটি করে গান। তারা যখন কোনো ট্র্যাক তৈরি করে আমাকে পাঠায়, আমি বাংলাদেশ থেকে ভয়েস দিয়ে আবার তাদের পাঠাই। এখন কোন গান কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে, কবে মুক্তি পাচ্ছে—সব তাদের ব্যাপার। তবে বেশ কয়েকটি গানে ভয়েস দেওয়া আছে। হয়তো এ বছরই মুক্তি পাবে।</p> <p><strong>প্রথমবার দেশের বাইরে শো করলেন। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের শোটি কেমন হলো?</strong><br /> নতুন একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো। আগে কখনো দেশের বাইরে গান করতে যাওয়া হয়নি। মেলবোর্নে শোটি করেছি ২ মার্চ। শ্রোতারা ছিলেন খুবই শান্তশিষ্ট। গানগুলো তাঁরা যেমন উপভোগ করেছেন, তেমনি আমি গেয়েও খুব তৃপ্তি পেয়েছি। এই শোয়ের কথা সারা জীবন মনে থাকবে।</p> <p><strong>সংগীত পরিচালক হিসেবেও দারুণ করছেন। চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনায় কবে পাওয়া যাবে আপনাকে?</strong><br /> সিনেমা অনেক বড় একটা প্ল্যাটফরম। প্রত্যেক মিউজিশিয়ানের স্বপ্ন থাকে সিনেমায় কাজ করার। আমারও আছে। আমি চাই এই প্ল্যাটফরমে নিজের সেরাটা দিতে। দেখা যাক এই সৌভাগ্য কবে হয়।</p>