ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন

‘শালীনতার সঙ্গে নিজেকে আচ্ছাদিত করলে হিজাবের প্রয়োজন নেই’

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
‘শালীনতার সঙ্গে নিজেকে আচ্ছাদিত করলে হিজাবের প্রয়োজন নেই’

‘শালীনতার সঙ্গে নিজেকে আচ্ছাদিত করলে হিজাবের প্রয়োজন নেই’

শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের কথায়, ‘‘নারী নিজেকে শালীনতার সঙ্গে আচ্ছাদিত না করলে ইসলামের হুকুম লঙ্ঘন করা হয়৷ তবে শাড়ি পরেও কেউ যদি নিজেকে ঢেকে চলেন, তাহলে আলাদা বোরকা বা হিজাবের প্রয়োজন হয় না৷’’
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘‘যতটুকু দিয়ে তার শালীনতা বজায় থাকে এবং শরীয়তে যতটুকু বলেছে, সেটা করে বের হলে নারীর দুনিয়ার কোথাও বিচরণ করতে কোনোরূপ সমস্যা হবে বলে মনে হয় না৷''

ডয়চে ভেলে: ইসলামের দৃষ্টিতে হিজাব কি নারীর পর্দানশিনতার অপরিহার্য অংশ, আপনি কী মনে করেন?

মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ: মৌলিকভাবে কোরআনুল করিমে যেটা নাজিল হয়েছে, আয়াত সেটা বলছে, তোমরা যখন বের হও, তোমাদের চাদরটা মুখের উপর টেনে দিও৷ এটা হচ্ছে, মূল বিষয়টা৷ এখন প্রত্যেক দেশেই তার নিজস্ব সংস্কৃতি অনুসারে পর্দার রূপ বানিয়ে নিয়েছে৷ কেউ মনে করছেন, বোরকা পরলেই শরীর ঢাকা হয়৷ তাই তাদের সংস্কৃতিতে বোরকা এসেছে৷ কোনো জায়গায় মনে করছে, চাদরটা টেনে দেয়ার প্রশ্ন – তাহলে আমরা একটা হিজাব পরে নেই, এটা আদায় হয়ে যাবে৷ তাই ওনারা এটা পরছেন৷ কাপড়টাকে হিজাব বলা হয়নি৷ হিজাব হলো পর্দা, যেটা দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখা হয়৷

ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো নারী হিজাব না পরলে তাঁকে পরকালে কি শাস্তি পেতে হবে?

হিজাব না পরার প্রশ্ন না, প্রশ্নটা হলো, যেটা আমরা সাধারণভাবে বলি, শালীনতার সঙ্গে নিজেকে আচ্ছাদিত করা৷ সে যদি নিজেকে আচ্ছাদিত না করে, তাহলে সে ইসলামের হুকুমকে লঙ্ঘন করল এবং সেটার জন্য আল্লাহ যদি মাফ না করেন, তাহলে আল্লাহ কী শাস্তি দেবেন, তা আল্লাহই জানেন৷

বাংলাদেশে কি একজন মুসলিম নারীর হিজাব পরা বাধ্যতামূলক?

তিনি যে শাড়ি পরেন, সেটা দিয়েই যদি নিজেকে আচ্ছাদিত করে চলেন, তাহলে হয়ে যাবে৷ এর জন্য আলাদা কোনো বোরকা লাগানো, হিজাব লাগানোর প্রয়োজন হয় না৷

কেউ যদি স্বাভাবিক পোশাকের সঙ্গে হিজাব পরেন, তাহলে সেটা কি ‘পর্দা' হবে?

এখন দেখা যায়, কেউ একজন সাঁতারের পোশাক পরে মুখে একটা হিজাব টেনে দিলো, এর মানেই পর্দা হয়ে যাবে না৷ পর্দাটার ব্যাপারে যেটা বলা হয়েছে, সেটা হলো, তার অঙ্গগুলি যেন উৎকটভাবে প্রদর্শিত না হয়৷ সে একটা আঁটসাঁট পোশাক পরল আর মাথার মধ্যে একটা রুমাল গুজে দিল, এটা যে হিজাব হয়ে গেল সেটা তো নয়৷

তাহলে হিজাবটা কী?

এটা হলো, শালীনতার সঙ্গে নিজেকে আচ্ছাদিত করে চলা এবং সেটা হলো পর্দার হুকুম৷ এটা কিন্তু নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই আছে৷

 সেটা কেমন একটু ব্যাখ্যা করবেন?

যেমন ধরুন – নারীকে বলা হয়েছে, ‘‘তোমার চলাফেরার সময় তোমার দৃষ্টিকে আনত রাখবে৷'' আর পুরুষকেও বলা হয়েছে, ‘‘তুমি তোমার চলাফেরার সময় দৃষ্টিকে আনত রাখবে৷'' নারীকে আরো বলা হয়েছে, ‘‘তুমি তোমার শরীরকে আচ্ছাদিত করবে৷'' পুরুষকেও বলা হয়েছে, ‘‘তুমি তোমার শরীর আচ্ছাদিত করবে৷'' আবশ্যকীয় মাত্রা কতটুকু? এর মধ্যে কিছুটা বেশ-কম করা হয়েছে৷ পুরুষের জন্য বলা হয়েছে – নাভির নীচ থেকে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত অবশ্যই তার আচ্ছাদিত থাকতে হবে, না হলে সে ফরজ লঙ্ঘন করল৷ মেয়েদের জন্য কেউ কেউ বলছেন, তার হাত-পা মুখ ছাড়া বাকিটা ঢাকতে হবে৷ কেউ কেউ আবার বলছেন, তার চেহারাও ঢাকতে হবে৷

এই হিজাব নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোনো ব্যাখ্যা আছে?

এটা ঠিক মনে পড়ছে না তারা কী ব্যাখা দিয়েছেন৷

আমাদের কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এ ব্যাপারে কি কোনো ব্যাখ্যা আছে?

কোরআন শরীফের একটি আয়াতে এ নিয়ে তফসিরে ব্যাখা দেয়া আছে৷ ব্যাখা হলো – সুরা আল আহজাব-এর ৫৯ নম্বর আয়াত৷

সেখানে কী বলা আছে?

সেখানে বলা আছে, হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রীগণকে বলুন, কন্যাদেরকে বলুন এবং মোমিন নারীগণকে বলুন তারা যেন তাদের চাদরটা ঢেকে দেয়৷ চাদরটা টেনে দেয় তাদের চেহারার উপরে৷ এতে তাদের শালীনতার পরিচয় হবে৷ তাই তাদের বখাটেরা কষ্ট দেবে না৷ আল্লাহ অত্যন্ত মাশীল, দয়ালু৷

 কিছু দেশে হিজাব বাধ্যতামূলক করেছে, কিছু দেশে এটা নিষিদ্ধ করেছে৷ আপনি বিষয়টা কীভাবে দেখেন?

আয়াতে যেটা বলা আছে, যতটুকু হুকুম আছে, ততটুকু করবে৷ এটার জন্য নিষিদ্ধ করা বা বাধ্যতামূলক করার কিছু নেই৷ এটা একজন নারীর ধর্মীয় স্বাধীনতা৷ তার স্বাধীনতা কেউ হরণ করতে পারবে না৷

কেউ যদি হিজাব না পরে বের হন, সেই ক্ষেত্রে ধর্মীয় ব্যাখ্যা কী আছে?

এক্ষেত্রে দেখতে হবে, কতটুকু তিনি লঙ্ঘন করেছেন৷ লঙ্ঘনের মাত্রা অনুসারে শরীয়া আইন অনুযায়ী কাজি সেই ব্যাপারে তাকে সতর্ক করবে৷ এবং তাকে বিবেচনা মতো যে বিচার করার সেটা করবে৷

হিজাব পরার ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?

এটা তো আমার পরামর্শের প্রশ্ন না৷ যতটুকু দিয়ে তার শালীনতা বজায় থাকে এবং শরীয়তে যতটুকু বলেছে, সেটা করে বের হলে দুনিয়ার কোথাও বিচরণ করতে কোনোরূপ সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয় না৷

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শুধু কি মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শুধু কি মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়?
সংগৃহীত ছবি

বর্তমান বিশ্বে মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ডায়াবেটিস। বয়স বাড়লেই যে ডায়াবেটিস হবে, এই ধারণা থেকে বের হওয়ার সময় এসে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, তরুণদের মধ্যেও এই রোগ দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। তবে ডায়াবেটিস রয়েছে শুনলেই অনেকের মনে যে প্রশ্নটা সহজেই আসতে পারে, সেটি হচ্ছে ‘আমি তো এত মিষ্টি খাই না! তাহলে কি ডায়াবেটিস হতে পারে?’ এই ধারণা দু-একজনের নয়।

একটা বড় অংশই এমনটা মনে করেন, শুধু মিষ্টি খেলেই কি ডায়াবেটিস হবে?

এই ধারণাকে ভুল বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রয়েছে, এমন অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন যে কিভাবে তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলো। রক্তে শর্করার পরিমাণ থাকলে সেটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের উপসর্গ। তার মানে এই নয়, কেউ অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খান বলেই টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার পূর্বপ্রস্তুতি

ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার পূর্বপ্রস্তুতি

 

পুষ্টিবিদদের মতে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মূল শত্রু ইনসুলিন প্রতিরোধ। ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে লিভারে ফ্যাটি এসিড তৈরি হতে থাকে। পাশাপাশি মাংসপেশির কোষেও সমস্যা তৈরি হয়। ফলে সক্রিয়ভাবে রক্ত থেকে গ্লুকোজকে কোষ অবধি পৌঁছে দিতে পারে না।

ইনসুলিন প্রতিরোধের তিন প্রধান কারণ, বিশৃঙ্খল জীবনযাপন, অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার ও অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা।

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

প্রতিটি মা-বাবাই শিশুর সঠিক বিকাশ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শুধু সুশিক্ষা নয়, এর সঙ্গে সুস্বাস্থ্য়ও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য শিশুদের সঠিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে শিশুদের ভালো স্মৃতিশক্তি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে শিশুদের তীক্ষ্ণ মনোযোগ, তাদের পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টির মাধ্যমে শিশুদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করা যায়।

একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে তাদের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।

এ ছাড়া তাদের পড়াশোনা ও খেলাধুলায় সক্রিয় রাখুন, যাতে তাদের মন তীক্ষ্ণ ও সক্রিয় থাকে। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যকর খাবার সুস্থ মস্তিষ্কের চাবিকাঠি। চলুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক, এমন কোন খাবার আছে, যা আপনার শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক।

আরো পড়ুন
বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করার পর টিক টিক শব্দ হয় কেন

বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করার পর টিক টিক শব্দ হয় কেন

 

সবুজ শাক-সবজি

সবুজ শাক-সবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য় উপকারী, একথা আমরা সকলেই জানি।

এর মধ্যে পালং শাক, মেথি ও ব্রকলির মতো সবুজ শাক-সবজি শিশুদের মস্তিষ্ককে সুস্থ ও তীক্ষ্ণ করে তোলে। এসব শাকের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ফোলেট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কের কোষকে সক্রিয় রাখে। শিশুরা এই শাক-সবজি স্যুপ, পরোটা বা সবজি আকারে খাওয়াতে পারেন।

দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য

দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন দই, পনির ও ঘি শিশুদের মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দুধে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি ১২ থাকে, যা নিউরোট্রান্সমিটার গঠনে সহায়ক।

শিশুদের প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

ফল

বিশেষ করে ব্লুবেরি, কমলা, আপেল ও ডালিমের মতো ফলগুলো শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়। শিশুদের প্রতিদিন অন্তত একটি ফল দিন।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার পূর্বপ্রস্তুতি

ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার পূর্বপ্রস্তুতি

 

বাদাম

বাদাম শিশুদের মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে কার্যকরী। এতে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্ককে সক্রিয় ও তীক্ষ্ণ করে তোলে। সকালে শিশুদের ২-৩টি ভিজিয়ে রাখা বাদাম খাওয়ালে তাদের স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী হয়। এ ছাড়া আখরোটও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। শিশুদের প্রতিদিন ২টি আখরোট খাওয়ান, যাতে তাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

মাঝরাতের যে লক্ষণে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মাঝরাতের যে লক্ষণে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে
সংগৃহীত ছবি

মধ্যরাতে আমাদের অনেকেরই বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো বলে দেয় যে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে একাধিক উপসর্গ দেখা দেয় রোগীর শরীরে। অনেকে হয়তো বুঝতে পারেন না যে তার ডায়াবেটিস রয়েছে।

কিন্তু এসব লক্ষণ যদি আপনার শরীরে দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডায়াবেটিস রয়েছে। তখন সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

ডায়াবেটিস থাকলে আপনার শরীরে মধ্যরাতে কী কী লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে, দেখে নিন। 

খিদা পাওয়া

অনেকেরই মাঝরাতে হঠাৎ প্রচণ্ড খিদে পেয়ে যায়।

ডায়াবেটিস হলে এই লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকদিন ধরে এই উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। কারণ রাতে ভরপেট ডিনারের পর ফের খিদে পাওয়া স্বাভাবিক লক্ষণ নয়। অতএব প্রায়ই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে খিদে পেলে এবং বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে বুঝতে হবে ডায়াবেটিস রয়েছে আপনার।
 

ঘামতে থাকা

ঘুমের মধ্যে যদি প্রবলভাবে ঘামতে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। অনেক সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেও এই সমস্যা দেখা যায়। কিংবা আচমকা হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগেও প্রবলভাবে ঘাম হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস থাকলেও এ সমস্যা দেখা যায়।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার পূর্বপ্রস্তুতি

ডায়াবেটিক রোগীদের রোজার পূর্বপ্রস্তুতি

 

ঘন ঘন প্রস্রাব

ডায়াবেটিস থাকলে রাত্রিবেলা ঘনঘন প্রস্রাব পাবে।

বার বার বাথরুমে যেতে হবে। এই লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। এই সমস্যা অবহেলা করলে পরবর্তীতে প্রস্টেটের বড় সমস্যা হতে পারে। এতে জটিল রোগে ভুগতে পারেন আপনি। 

ঝাপসা দৃষ্টি

ডায়াবেটিস থাকলে রাতের দিকে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। চোখের সামনে সবকিছু ঘোলাটে লাগতে পারে। মাথা ঝিমঝিম করার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন
লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

 

একটানা ঘুম না হওয়া

ডায়াবেটিস থাকলে রাতে একটানা ঘুম হবে না। বারবার ঘুম ভাঙার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সামান্য আওয়াজ কিংবা কিছু না হলেও হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। 

আঙুলে চিনচিনে ব্যথা

হাতের আঙুলে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করতে পারেন রাতের দিকে। মনে হবে যেন সুচ ফোটাচ্ছে কেউ। ডায়াবেটিস থাকলে এই লক্ষণ দেখা যায়। শুধু হাতে নয়, পায়ের আঙুলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আচমকা মনে হতে পারে হাত-পা ঝিনঝিন করছে। 

পিপাসা পাওয়া

রাতে বারবার পানির পিপাসা পেলে বুঝতে হবে ডায়াবেটিস রয়েছে। এই উপসর্গ অবহেলা করবেন না। ডায়াবেটিস থাকলে রাত যত বাড়বে ঠোঁট ও গলা পানির তেষ্টার কারণে শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

আরো পড়ুন
কিডনি ভালো রাখতে কী কী খাবেন

কিডনি ভালো রাখতে কী কী খাবেন

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

কোন পুষ্টির ঘাটতিতে বাড়ে চুল পড়া

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কোন পুষ্টির ঘাটতিতে বাড়ে চুল পড়া
সংগৃহীত ছবি

শরীরের হাড় গঠন ও ইমিউনিটি বাড়াতে ভিটামিন ডি অপরিহার্য। কিন্তু এই ভিটামিনের ঘাটতিই আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং খুব সাধারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশই ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শরীরে রোদ না লাগানো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তার দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে দেহে নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। সেগুলো চিনে রাখলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় খুব সহজেই।

পেশির সমস্যা

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে শুধু যে হাড়ের সমস্যা দেখা দেয় বা হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়, তা নয়। পেশিতেও ব্যথা হয়। পেশির কার্যকারিতা কমে যায়।

মেজাজ পরিবর্তন

দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে।

মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশন বাড়ে। তাই মন খারাপ থাকলে শরীরে ভিটামিন ডি-র লেভেল পরীক্ষা করিয়ে নিন।

আরো পড়ুন
বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করার পর টিক টিক শব্দ হয় কেন

বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করার পর টিক টিক শব্দ হয় কেন

 

চুল পড়া

নামিদামি দামি তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার এবং স্পা করিয়েও চুল পড়া বন্ধ হচ্ছে না। এর পেছনে হেয়ার কেয়ার রুটিন নয়, ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দায়ী। শরীরে এর ঘাটতি থাকলে অস্বাভাবিক হারে চুল পড়ে।

পেটের গোলমাল

ইরেটিবেল বাওয়েল সিন্ড্রোমের পেছনে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকতে পারে। পেট ফাঁপা, ডায়ারিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পেছনে অনেকাংশে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দায়ী। ভিটামিন ডি অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়।

দুর্বল ইমিউনিটি

ঋতু পরিবর্তনের সময় ঘন ঘন সর্দি-কাশি, ভাইরাল জ্বর হওয়া খুব কমন। কিন্তু প্রায়শই জ্বর-সর্দি, সংক্রমণে ভুগলে সাবধান হওয়া জরুরি। দেহে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কমে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আরো পড়ুন
টেস্ট না করিয়েও যেভাবে বুঝবেন বেড়েছে কোলেস্টেরল

টেস্ট না করিয়েও যেভাবে বুঝবেন বেড়েছে কোলেস্টেরল

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ